একজন মহান মানুষের প্রয়ান…
পুরোনো ঢাকার “চুড়িহাট্টা মসজিদ” নামে একটা ঐতিহাসিক মসজিদ ছিলো। “ছিলো” বলছি, কারণ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মূল সেই মসজিদটি ভেঙে ফেলে সেখানে এখন বহুতল ভবন তৈরি করা হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোতে মসজিদটা ভেঙে ফেলার সংবাদ ছাপা হতেই আমি এই ঐতিহাসিক মসজিদটার ইতিহাস রক্ষার শেষ চেষ্টায় নিয়োজিত হই। যেখান থেকে পারি মসজিদটির তথ্য সংগ্রহ করে জড়ো করতে থাকি বাংলা উইকিপিডিয়ার “চুড়িহাট্টা মসজিদ” নিবন্ধে।
তখনই আমার নজরে আসে “এরশাদ আহমেদ” নামের এক ব্যক্তি প্রাচীন চুড়িহাট্টা মসজিদটির কিছু ছবি তুলে রেখেছেন। তাঁর ব্লগ থেকে তাঁর ইমেইল নিয়ে আমি তাঁর সাথে যোগাযোগ করি। তাঁকে আমার উদ্দেশ্য জানাতেই তিনি তাৎক্ষণিক তাঁর তোলা ছবিগুলো উন্মুক্ত লাইসেন্সে দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যান। আর তাঁর তোলা সেসব ঐতিহাসিক, বিলুপ্ত ছবি নিয়েই সেজে আছে আজকের চুড়িহাট্টা মসজিদের নিবন্ধটি।
কে এই এরশাদ আহমেদ?
তাঁর বৃত্তান্ত আমিও জানি না। তবে এতোটুকু জানি, তিনি বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তরে কর্মরত একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, যিনি ১৯৯৪ সালে অবসরে যান। ২০০৫ সালে ব্লগারে DhakaDailyPhoto নামে একটি ব্লগ খুলেন, আর সেখানেই তাঁর তোলা ছবিগুলোর সন্ধান পাই আমি। ছবিগুলো তিনি তুলেছিলেন ২০০৭-এর ২৮ অক্টোবর।
সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিলো ২০১৩’র জুলাইতে। কিছুদিন আগে হঠাৎই তাঁর কথা মনে পড়ায়, তাঁকে মেইল পাঠালাম।
কিন্তু তাঁর সাথে সাথে তাঁর ইমেইল ঠিকানাটিও নিভে গেছে।
🤲 আল্লাহ তাঁর যাবতীয় দোষত্রুটি ক্ষমা করে তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।
প্রাচীন চুড়িহাট্টা মসজিদের ছবিগুলো কমন্সে রয়েছে “Churihatta Mosque” বিষয়শ্রেণীতে।
তাঁর রেখে যাওয়া ছবিগুলো পাওয়া যাবে তাঁর ব্লগে।