কীর্তিনাশার বুক চিরে এফোঁড়-ওফোঁড়
পদ্মা, কীর্তিনাশা – যে নামেই ডাকুন না কেন, খরস্রোতা সেই নদীর বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করেই গড়ে উঠছে এক মানবীয় মহাযজ্ঞ – পদ্মা সেতু
পদ্মা, কীর্তিনাশা – যে নামেই ডাকুন না কেন, খরস্রোতা সেই নদীর বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করেই গড়ে উঠছে এক মানবীয় মহাযজ্ঞ – পদ্মা সেতু
১৯৭১ সালে একদল সিভিলিয়ান কিভাবে ছিলেন, তাঁদের সুদূর পথযাত্রার বিস্তারিত বর্ণনা খুদ সিভিলিয়ানের জবানিতে…
ট্রেইলের শুরুতেই বিপত্তি – খাল পানিতে টইটুম্বুর, তাই উঁচু পাড় ধরে এগোনো ছাড়া কোনো গত্যান্তর নেই। সেই উঁচু পাড়ের কাছে গিয়ে থমকে দাঁড়াতে হলো। খাড়া ঢাল নেমে গেছে পানিতে, আর সামনেই ঘন ঝোঁপ। আর বেশি সামনে এগোলে পাড় ভেঙে সোজা পানিতে পড়তে হবে। এতো এতো ঢল যে, ওপাড়ে যাওয়ারও উপায় নেই। তাছাড়া বর্ষার কোনো প্রস্তুতিই আমাদের…
« আগের পর্ব আমরা যখন সেন্ট মার্টিন পৌঁছে প্রথম দিন অতিবাহিত করা শেষ, তখনও রাস্তায় রয়েছে ঘুরবাজের হেকটিক ভ্রমণ দল। টেকনাফে, বিজিবি তাদের ট্রলার ছাড়ার অনুমতি দিল না, তারপর অনেক কাকুতি-মিনতি করে তারা যখন যাত্রা করবার অনুমতি পেল, তখন আঁধার নেমেছে চরাচরে… নাফ নদীতে… বঙ্গোপসাগরে… সূর্য অস্ত যাবার কিছুক্ষণ আগে টেকনাফে পৌঁছালো আমাদের ঘুরবাজ দল।…
বিয়ে করেছি ৭ মাস হয়ে যাচ্ছে, দেশের অবস্থা ভালো ছিল না বলে কোথাও বেরোন হয়নি। ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে একটা সস্ত্রীক ট্যুর আয়োজন করা হলো, কিন্তু অফিস থেকে ছুটি ম্যানেজ না করায় শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে যোগ দিতে হলো। ওরা প্রায় একমাস আগে থেকে ট্যুরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের ট্যুরের নাম: Hectic Tour to Saint Martin, বাংলা…
« অজানা লেকের অভিযানে বান্দরবান : প্রথমাধ্যায় « আগের পর্ব [ঘোষণা: এপর্বের বিভিন্ন স্থানে ভৌগোলিক স্থানাঙ্কের উল্লেখ করা হয়েছে। নিজস্ব, কিংবা অগ্রজ ট্রেকারদের সংগৃহীত স্থানাংকগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যেখানে দুটোর কোনোটাই সহজলভ্য হয়নি, সেখানে গুগল আর্থে পিন নিয়ে তার স্থানাঙ্ক দেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে স্থানাঙ্কের আগে GE উল্লেখ করা হয়েছে।] পায়দল তিন্দু থেকে রেমাক্রি হয়ে…
তিন্দু থেকে পায়দল রেমাক্রি বাজারে যাওয়ার পর, সেখান থেকে দুপুরে রওয়ানা করেছি নাফা খুমের উদ্দেশ্যে। নাফা খুমে পৌঁছতে বড্ড দেরি করে ফেলেছি। কিন্তু তাতে আমাদের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। নাফা খুমে গোসল করতে হবে -এটাই এখন কাজ। খুমের জলে ঝাঁপ দেবো ভাবছি, কিন্তু ডুবো-পাথরের ভয় করছি। যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্তে এলাম: আমার এখন ঝাঁপ দেয়াটা শখ — প্রয়োজন…
« আগের পর্ব আমরা বাংলাদেশের সর্বউত্তর সীমান্তে বঙ্গমাতার শীর চুমে ফিরেছি আবার তেঁতুলিয়ায়। ফিরে দেখি আমাদের ভ্যানওয়ালারা অপেক্ষা করছে। বেচারারা আয়ের আশা ছাড়তে পারছে না। কিন্তু ও ব্যাটা অটোওয়ালা লাগালো বাগড়া: ভাই তিনশ’ ট্যাকায় অয় না, আপনেরাইতো দেকলেন, কদ্দুর পত। আমরা আমাদের মিডলম্যান ভ্যানওয়ালার দিকে তাকালাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুঝলাম, একটু বাড়িয়ে দিয়েই শান্তি আনতে…
এই প্রস্তুতি “ভ্রমণ ২০১২ : শস্য-শ্যামলা উত্তর বাংলার টিউবওয়েলের মুখে” নামক ভ্রমণের প্রস্তুতি। যার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ হলো: পর্ব ১, পর্ব ২, এবং পর্ব ৩-এ। যারা এই ভ্রমণের বিবরণ পড়েছেন, তারা জেনে গেছেন, এই ভ্রমণ ছিল আমাদের এপর্যন্ত করা সব ভ্রমণের মধ্যে সবচেয়ে সর্বনিম্ন খরচের ভ্রমণ: জনপ্রতি মাত্র ৳১৮৫০। বোঝাই যাচ্ছে এটা সম্ভব হয়েছিল সরকারি ডাকবাংলো’য়…
« আগের পর্ব আমরা সাড়ে চারশো কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যে বাংলোয় থাকার নিশ্চিত অভিপ্রায়ে এসেছি এই সর্বদক্ষিণের উপজেলা তেঁতুলিয়ায়, সেই বাংলোর গেটে দাঁড়িয়ে নির্বিকারভাবে কেয়ারটেকার বলছে: ‘আমাকে তো কিছু জানাননি ইউএনও সাহেব।’ আরেফিনের কপাল কুঁচকে গেল, কোঁচকালো আমাদেরও। সাথে সাথে আরেফিন ফোন করলো ইউএনও-কে। নেতা বলে কথা, পরিচয় দিয়ে ফোনটা ধরিয়ে দিলো কেয়ারটেকারের কানে। কিছুক্ষণের…
“ধুত্তোর [গালি], এতো কম টাকায় ট্যুর, ক্যামনে কী?” – আরেফিনের উষ্মা শুনে বিশ্বাস হতে চাইছিল না, এটা সম্ভব হয়েছে! বাংলাদেশের ভিতরে দীর্ঘতম দূরত্ব অতিক্রম করলাম আমরা এপর্যন্ত সবচেয়ে কম খরচে। পরিকল্পনাটার শুরু হয়েছিল ফেসবুকের একটা ফ্যানপেজ দেখে, দেখে নাকিব পাগল হয়ে যায়। তথ্যসূত্র হিসেবে জুটলো সামহোয়্যারইনব্লগের একটা ব্লগপোস্ট^। গুগল করতেই বেরিয়ে এলো আরো বেশ কিছু…
আমরা আছি কেওকারাডং পর্বতেই, পাসিং পাড়ায়। রাসেল ইস্যুতে কামরুল আর আবুবকর একটু দ্বিমত পোষণ করায় কামরুল রাগ করে বেরিয়ে গেছে পথে। উদ্দেশ্য জানা আছে, কিন্তু একা… কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই আমি নিয়েছি পিছু। যেহেতু পথটা একটাই, সামনে এগিয়েছে, ধরে নিলাম কামরুল সামনেই কোথাও আছে। এবারে আমরা কেওকারাডং-এর পথ ধরেছি। আমি খুব দ্রুত চলছি।…