
যোগী হাফং – একটি ব্যর্থ অভিযান – ৩
যোগী হাফং-এর পথে অভিযানের শেষাংশ আর রেমাক্রি, বড় পাথর, তিন্দুর অপূর্ব সব বর্ণনা
যোগী হাফং-এর পথে অভিযানের শেষাংশ আর রেমাক্রি, বড় পাথর, তিন্দুর অপূর্ব সব বর্ণনা
« আগের পর্ব আমরা যখন সেন্ট মার্টিন পৌঁছে প্রথম দিন অতিবাহিত করা শেষ, তখনও রাস্তায় রয়েছে ঘুরবাজের হেকটিক ভ্রমণ দল। টেকনাফে, বিজিবি তাদের ট্রলার ছাড়ার অনুমতি দিল না, তারপর অনেক কাকুতি-মিনতি করে তারা যখন যাত্রা করবার অনুমতি পেল, তখন আঁধার নেমেছে চরাচরে… নাফ নদীতে… বঙ্গোপসাগরে… সূর্য অস্ত যাবার কিছুক্ষণ আগে টেকনাফে পৌঁছালো আমাদের ঘুরবাজ দল।…
« অজানা লেকের অভিযানে বান্দরবান : প্রথমাধ্যায়« আগের পর্ব তিন্দু থেকে পায়দল জিন্না পাড়ার পাশের ঔলাওয়া পাড়ায় রাত্রিযাপন শেষে পাহাড় বেয়ে পথচলা। সামনে পরপর দুইটা পাহাড় ডিঙাতে হবে অজানা লেকের কাছে যেতে হলে। একটা পাহাড় ডিঙিয়ে জিহ্বা বের করে এসে যখন রুনাজন পাড়ায় একটু প্রশান্তি খুঁজছিলাম, তখনই আমাদের জন্য ‘বাঁশ’ নিয়ে অপেক্ষা করছিল দ্বিতীয় গাইড…
« অজানা লেকের অভিযানে বান্দরবান : প্রথমাধ্যায় « আগের পর্ব [ঘোষণা: এপর্বের বিভিন্ন স্থানে ভৌগোলিক স্থানাঙ্কের উল্লেখ করা হয়েছে। নিজস্ব, কিংবা অগ্রজ ট্রেকারদের সংগৃহীত স্থানাংকগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যেখানে দুটোর কোনোটাই সহজলভ্য হয়নি, সেখানে গুগল আর্থে পিন নিয়ে তার স্থানাঙ্ক দেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে স্থানাঙ্কের আগে GE উল্লেখ করা হয়েছে।] পায়দল তিন্দু থেকে রেমাক্রি হয়ে…
« আগের পর্ব আমরা বাংলাদেশের সর্বউত্তর সীমান্তে বঙ্গমাতার শীর চুমে ফিরেছি আবার তেঁতুলিয়ায়। ফিরে দেখি আমাদের ভ্যানওয়ালারা অপেক্ষা করছে। বেচারারা আয়ের আশা ছাড়তে পারছে না। কিন্তু ও ব্যাটা অটোওয়ালা লাগালো বাগড়া: ভাই তিনশ’ ট্যাকায় অয় না, আপনেরাইতো দেকলেন, কদ্দুর পত। আমরা আমাদের মিডলম্যান ভ্যানওয়ালার দিকে তাকালাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুঝলাম, একটু বাড়িয়ে দিয়েই শান্তি আনতে…
« আগের পর্ব আমরা সাড়ে চারশো কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যে বাংলোয় থাকার নিশ্চিত অভিপ্রায়ে এসেছি এই সর্বদক্ষিণের উপজেলা তেঁতুলিয়ায়, সেই বাংলোর গেটে দাঁড়িয়ে নির্বিকারভাবে কেয়ারটেকার বলছে: ‘আমাকে তো কিছু জানাননি ইউএনও সাহেব।’ আরেফিনের কপাল কুঁচকে গেল, কোঁচকালো আমাদেরও। সাথে সাথে আরেফিন ফোন করলো ইউএনও-কে। নেতা বলে কথা, পরিচয় দিয়ে ফোনটা ধরিয়ে দিলো কেয়ারটেকারের কানে। কিছুক্ষণের…
বর্ষাবনে বৃষ্টিতে ভিজে কোনোরকমে একটা মাথা গোঁজার স্থান করেছেন বিয়ার গ্রিল্স^। এবার আগুন ধরাতে হবে। গাছের ভিতরের ছাল, আর হালকা-ভেজা কাঠ দিয়েই কিভাবে যেন আগুন ধরিয়েও ফেললেন তিনি। ব্যস, এইমাত্র ধরা খরগোশটাকে পুড়িয়ে খাবার পালা – ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড টিভি অনুষ্ঠানটির এই দৃশ্যটি বাস্তব(?)। কিন্তু দ্ব্যর্থহীন বাস্তব হচ্ছে আমাদের নিজস্ব তরু-কুটিরে বসে তাজা মাছ পুড়িয়ে…
গত রাতে রাসেলের অবস্থা পর্যালোচনা-পূর্বক, কারবারির কথা শুনে আবুবকর পরিস্থিতির স্বার্থে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর নেয়া সেই সিদ্ধান্ত যে আমাদেরকে আমাদের নিয়তির পরম আশ্চর্য অংশে নিয়ে যাবে, ঘুণাক্ষরেও জানতাম না। আবুবকর আমাদের গন্তব্য বদলেছেন। গত রাতেই কারবারির থেকে পথ জেনে নিয়ে ফিরতি পথ ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। রাসেলের পায়ের এই অবস্থা নিয়ে আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে…
আমরা প্রচন্ড উচ্চতায় দীর্ঘ পথ বেয়ে রুমানা পাড়ায় উঠে যখন প্রচন্ড ক্লান্ত, তখন আবুবকর ঘোষণা করলেন তাঁরা দুটো ঝরণা দেখতে যাবেন, কে কে যাবে? “আমরা” বলতে যে, কামরুলকেও যোগ করা হচ্ছে, এটা নিশ্চিত; কারণ আমরা তিনজন ছাড়া কামরুলকে নিয়েই এই পথে ট্রেক করার পরিকল্পনা ছিল আবুবকরের। আর আমি তখন নিজের চিত্তের উপর বাজি ধরে রাজি…
মশা নিরোধক হিসেবে ভারতীয় এই ঔষধটি খুব জনপ্রিয়। কিভাবে এটি কাজ করে, এর ব্যবহারবিধিইবা কী – এর প্রমাণপত্রসহ একটা আলোকপ্রদায়ী বিবরণ পাওয়া যাবে এই নিবন্ধে…
অন্ধকারের পথ ধরে আমরা চলছি কোনো এক অজানা পাড়ার সন্ধানে, কেউ জানিনা, আদৌ আছে কি নেই। পাড়া না পেলে অনেকটা পথ আবার ফিরে গিয়ে আস্তানা গাড়তে হবে নদীর বাঁকে। এমন সময়… আবুবকর চিৎকার করে বললেন, পাড়া, পাড়া। পাড়া আছে এখানে। সাথে সাথে মরুভূমির মধ্যে পানির কূপ পাবার মতো সবার মনে কী যে অনাবিল আনন্দ ছেয়ে…
আমাদের প্রকৃত যাত্রাপথ রুমা খালের মুখ (22° 1’57.00″N, 92°24’53.48″E) থেকে শুরু বলে শেষবারের মতো আমরা সম্মিলিতভাবে হাত তুলে প্রার্থণা করে নিলাম আল্লাহ’র কাছে। স্বাভাবিকভাবেই সে প্রার্থণায় বিকাশ আর আপেল সামিল হলো না। আমরা পানিতে পা রাখলাম, ভিজিয়ে ফেললাম পরনের অ্যাংকলেট, এবং এটাও বুঝলাম, আমাদেরকে এভাবে পথে অনেক অনেকবার ভিজতে হবে, শুকাতে হবে —এগুলো গোনায় ধরা যাবে…