আমি কেউ না

নিশাচর - nishachor.com - অমানিশায় লুকানো যত রহস্য আমার চাই
নিশাচর – nishachor.com – অমানিশায় লুকানো যত রহস্য আমার চাই

আমার পুরো নাম মঈনুল ইসলাম, সার্টিফিকেট নাম মঈনুল ইসলাম মঈন, পারিবারিক নাম নয়ন। নয়ন নামটি আমার খালার দেয়া, আর মঈনুল ইসলাম আবার আব্বা’র দেয়া। বংশের ঠিকুজি অনেকটা এরকম: মঈনুল ইসলাম বিন বদরুল ইসলাম বিন আব্দুল মন্নান বিন সাজিদ আলী বিন আঞ্জব আলী বিন আব্দুল করিম। জন্ম ২৮ নভেম্বর, ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে। গ্রামের বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার অধীন রফিনগর নামক গ্রামে, এলাকার স্থানীয় নাম আজিমগঞ্জ। আজিমগঞ্জ বাজারের লাগোয়া পশ্চিম দিকের বাড়িটিই আমার বাপ-দাদার।

বাড়ির পশ্চিম দিক থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর “হাকালুকি হাওর”। খোলামেলা পরিবেশ, পাখির কলকাকলীমুখর গ্রামে আমি বেড়ে উঠি। গ্রামের “আজিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”-এ পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করি। ক্লাসে প্রথম সারির ছাত্র হিসেবে সুনাম ছিল। কিন্তু নাড়ির টান ছিঁড়ে জীবন গড়ার প্রয়োজনে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে চলে আসি ঢাকায়। প্রথমে পড়ালেখা করি খিলগাঁও’র একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে- “খলিলুর রহমান প্রি-ক্যাডেট এ্যান্ড হাই স্কুল”। প্রতিষ্ঠানটা এখন আর নেই। এই স্কুলের নামটা উচ্চারণ করতেই কষ্ট হতো। এই স্কুলে পড়তে পড়তে শিশু একাডেমীতে দু’বছরব্যাপী চিত্রাংকন কোর্সে কাজ চালিয়ে যাই। প্রথম বছরই, “ফুলকুঁড়ি আসর” থেকে আয়োজিত একটা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় খ বিভাগে দ্বিতীয় হই। পুরো স্কুল সেই খুশিতে খুশি হয়েছিল, কারণ স্কুলটা ছিল খুব ছোট।

পাশ করতেই স্কুল বদল, চলে গেলাম, পূর্ব রামপুরার ওয়াপদা রোডের জাহাজ বিল্ডিংখ্যাত স্কুল “আইডিয়াল গ্রামার স্কুল”-এ। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দিতেই আবার স্কুল বদল। সরকারি স্কুলে সুযোগ হয়ে গেল, ব্যস চলে গেলাম তল্পিতল্পা গুটিয়ে সেন্ট্রাল গভমেন্টখ্যাত “মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়”-এ। সেখানে আবারও প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দিতে হলো। মনে আছে, গণিত পরীক্ষায় ৫০-এ ৪৯ পাওয়ায় সব ছাত্ররা আমার দিকে একবার হলেও তাকাচ্ছিল। ক্লাস ক্যাপ্টেন অনি আমাকে জিজ্ঞেস করতে এলো কোথা থেকে এসেছি আমি। (পড়ুন: স্কুল জীবন: মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়)

যাহোক, পড়ালেখার উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চললো স্কুল জীবন। ক্লাস সেভেন বা এইটে একবার গণিতে ফেলও করলাম। মাথায় রক্ত উঠে গেল। তারপরই ধীর-উত্থান। সরকারি স্কুলে নাকি ১০-এর মধ্যে রোল নম্বর থাকলেই তা অনেক কিছু। ধীরে ধীরে একসময় রোল নম্বর ১০-এর ভিতর এলো, একসময় ক্লাসে আমার রোল নম্বর হলো ২। ক্লাস এইটে সুযোগ এলো [নাকি দুর্যোগ এলো] বিষয় পছন্দের। বিজ্ঞান আমার প্রিয় বিষয় হওয়াসত্ত্বেয় রসায়নকে অযথা ভয় করে চলে এলাম ব্যবসায় শিক্ষায়। কেউ ছিলনা এটা বোঝানোর জন্য যে, তোমার ভয়টা অমূলক, তোমার জন্য বিজ্ঞানই সই। এসএসসি পরীক্ষায় আমাদেরকে দিয়ে প্রবর্তন করা হলো গ্রেডিং পদ্ধতি। প্রথম দিকে আমার রেযাল্ট শুনে কেউ বুঝতোই না কী করেছি। সবাই, না বুঝেই বলতো “ভালো করেছো, মিষ্টি কোথায়?” যাহোক, রেযাল্ট খারাপ ছিল না আসলে, আগের হিসাবে প্রথম শ্রেণী, আলহ্বামদুলিল্লাহ।

এরপর কোনো রকম বিশেষ প্রস্তুতি ছাড়াই একটা ভর্তি পরীক্ষা দিলাম, আর হয়ে গেলো “নটরডেম কলেজ”-এ। এই কলেজজীবন ছিল আমার জন্য এক অন্যরকম দিকনির্দেশক। ব্যবসায় শিক্ষায় থাকাসত্ত্বেয় বিজ্ঞানকে, ধর্মকে নতুন করে দেখার সুযোগ হলো এই কলেজে। পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করে ছাড়লো কলেজের পরিবেশ। জ্ঞানার্জনের স্পৃহা ভরিয়ে দিল এই কলেজের আবহ। এরপর এইচএসসিতে আবারও আমাদেরকে গিনিপিগ বানিয়ে পরীক্ষা করা হলো গ্রেডিং-এর নতুন সংস্করণ। ফলে রেযাল্ট এসএসসি’র অনুরূপ হওয়াসত্ত্বেয় চোখের দেখায় তা মনে হয়, রেযাল্ট খারাপ হয়েছে। অথচ এবারও প্রথম শ্রেণী, আলহ্বামদুলিল্লাহ।

এক নজরে…
শিক্ষা শুরু আজিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুজানগর, বড়লেখা, মৌলভীবাজার
১৯৯৫ ঢাকায় আগমন, খলিলুর রহমান প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাই স্কুল, খিলগাঁও
১৯৯৫ দ্বিতীয় স্থান, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, কেন্দ্রীয় ফুলকুড়ি আসর
১৯৯৬ মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা
১৯৯৭ বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে (ঢাকা) ২ বছরব্যাপী চিত্রাংকন কোর্সের সমাপ্তি
১৯৯৮ পারিবারিক পাঠাগার “জ্ঞানসুধা গ্রন্থাগার” শুরু করি
২০০১ এসএসসি, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা
২০০৩ এইচএসসি, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা
২০০৩ পার্ফেক্ট অ্যাটেনডেন্স সার্টিফিকেট, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা
২০০৭ মার্কেটিং অনার্স, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
২০০৮ মার্কেটিং মাস্টার্স, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
২০০৯ অনলাইনে বিনামূল্য ব্লগ খুলে লেখালেখি শুরু
২০০৯ (সেপ্টেম্বর) নোঙর কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্য এবং পরবর্তিতে বিভিন্ন মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন
২০১০ (২ জানুয়ারি) বাংলা উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনা শুরু
২০১০ চাকরি জীবনের শুরু। গ্রাফিক্স ডিযাইনার অ্যান্ড ওয়েব ডেভলপার, ইনোটেক (innotech.com.bd), বাসাবো (পরে শান্তিনগর), ঢাকা
২০১১ উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দলগত গ্রাউন্ডওয়ার্ক শুরু, এবং অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব শুরু
২০১১ (নভেম্বর) সহ-উদ্যোক্তা হিসেবে ন্যানোডিযাইন্‌স প্রতিষ্ঠা করি
২০১২ ওয়েব ডেভলপমেন্ট কোর্স (চার মাসব্যাপী), ইন্সটিটিউট অফ ইনফোরমেশন টেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৩ (১৭ মে) বিবাহিত জীবনের শুরু
২০১৪ ওয়ার্ডপ্রেসের বাংলা অনুবাদ প্রকল্পের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু
২০১৫ (ফেব্রুয়ারি) ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান্‌স গ্রুপের সহ-অ্যাডমিন হিসেবে দায়িত্বপালন শুরু
২০১৫ (মার্চ) ফ্রন্ট এন্ড ডিযাইনার অ্যান্ড ওয়েব ডেভলপার, টেকনোভিস্তা লিমিটেড, ঢাকা
২০১৫ (২৩ এপ্রিল) আমার উদ্যোগে, কিন্তু অনেক অনেক অবদানকারীর সক্রিয় অবদানে, এবং ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান্‌স গ্রুপের সহায়তায় বাংলা ভাষায় ওয়ার্ডপ্রেসের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ (4.2) প্রকাশিত হয় (যদিও বাংলায় ওয়ার্ডপ্রেসের সূচনা হয়েছিল মেঘদূত প্রজেক্টের মাধ্যমে)
২০১৫ (জুলাই) টেকনোভিস্তার পক্ষ থেকে কৃতিত্বপূর্ণ উপহার পাই
২০১৫ (২২ মে) পুত্র সন্তানের পিতা হই
২০১৬ (জানুয়ারি) উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদ থেকে অব্যহতি
২০১৬ (এপ্রিল) উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করি
২০১৬ (১৭ আগস্ট) ওয়ার্ডপ্রেসের একজন কোর কন্ট্রিবিউটর হিসেবে আমার সামান্য অবদান যোগ হয় ওয়ার্ডপ্রেসে (4.6)
২০১৭ (সেপ্টেম্বর) ওয়ার্ডপ্রেসের বাংলা অনুবাদ প্রকল্পের একজন লোক্যাল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করি
২০১৮ (১৪ এপ্রিল) আমার সম্পাদনায় “উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ”-এর অনলাইন ম্যাগাজিন “উইকিবার্তা” প্রকাশিত হয়। প্রথম সংস্করণে আমি একটি PDF সংস্করণও তৈরি করেছিলাম
২০১৮ (এপ্রিল) টেকনোভিস্তায় ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ: Performance Award প্রাপ্তি
২০১৯ (এপ্রিল) টেকনোভিস্তায় ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে CMMI সনদপ্রাপ্তিতে একজন সক্রীয় অবদানকারী হিসেবে সত্যয়ন প্রাপ্তি।
২০১৯ (১ মে) কন্যা সন্তানের পিতা হই
২০২১ (১২ ফেব্রুয়ারি) সালেহীন আরশাদী’র “ট্রেকিংয়ে হাতেখড়ি” বইটিতে সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি
২০২৩ (জানুয়ারি) জায়েদ ফরিদ-এর সম্পাদনায় “জাদুঘর বিশ্বময়” বইটিতে “অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় জাদুঘর” বিষয়ে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়
২০২৩ (মার্চ) আমার সম্পাদনায় “অদ্রি” ম্যাগাজিনের প্রথম প্রিন্ট সংস্করণ প্রকাশিত হয়
২০২৩ (জুলাই) আমার সম্পাদনা ও শিল্প-নির্দেশনায় “উইকিবার্তা”র প্রথম প্রিন্ট সংস্করণ প্রকাশিত হয়
আল্লাহ নেক মৃত্যু দিন…

এবার শুরু হলো যুদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য রীতিমতো কোচিং করলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত না হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, না হলো জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে “তেজগাঁও কলেজ”-এ গিয়ে স্থান নিলাম। তেজগাঁও কলেজে গেলাম, কারণ আমি অ্যাকাউন্টিং ভয় পাই, ফিন্যান্স তো ভয় পাই-ই। আবার ম্যানেজমেন্ট-এর নাকি বাজারে চাহিদা নেই। তো, মার্কেটিং পড়া যায়…। তেজগাঁও কলেজে মেধা তালিকায় ২য় হয়ে টিকলাম। সে হিসেবে আমি যেকোনো বিভাগে পড়তে পারি। কিন্তু আমি যখন উর্ধ্বতন সব বিভাগ ছেঁড়ে মার্কেটিং নিতে চাইলাম, তখন বিভাগের প্রধান আমার দিকে অন্যচোখে তাকাচ্ছিলেন।

তেজগাঁও কলেজ তথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক ৪ বছর (আদতে ৬ বছর) ছিল আমার মনের সাথে যুদ্ধ। আমি না পারছিলাম ঐসব তথাকথিত নিয়মকে মাথা পেতে নিতে, আর না পারছিলাম এসবকে তোয়াক্কা না করে বাস্তবসম্মত শিক্ষা-দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করতে। যুদ্ধ করতে করতে মার্কেটিংকে আয়ত্ব করতে করতে একসময় আবিষ্কার করলাম, মার্কেটিং-এর সম্পূর্ণ বিপরীত আমি। আমি মানুষটা ইনট্রোভার্ট, অথচ মার্কেটিং চায় এক্সট্রোভার্ট মানুষ। আবারো নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ভাঙা নৌকাটা বেয়ে নিয়ে চললাম কিনারে।

একসময় যখন রেযাল্ট দিলো, প্রথম শ্রেণী দেখে বন্ধুরা যার-পর-নাই খুশি। আমি কি খুশি হবো নাকি বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু এবার আর জীবনটাকে হেলায় ঠেলে দেয়া যায় না। বুদ্ধি হয়েছে, চিন্তা করার সুযোগ হয়েছে, সেই চিন্তাকে কাজে লাগানোর সুযোগ হয়েছে, এবার আর পেছনে তাকালে চলবে না। “দিল কি বাত সোনো”– আমি মার্কেটিং-এ জীবন গড়বো না। একটা কোম্পানীতে গ্রাফিক্স ডিযাইনিং-এ ইন্টারভ্যু দিলাম, হয়ে গেলো, আলহ্বামদুলিল্লাহ। আমার মনের মতো কাজ। ছবি আঁকাআঁকি করতাম সেই ছোটবেলা থেকেই। কম্পিউটারে হাতেখড়ি সেই ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষার পরপরই। এইচএসসিতে নটরডেম কলেজের সান্নিধ্যে কম্পিউটার বিষয়ে খানিকটা পড়ালেখা, আর এডোবি ফটোশপের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ আমাকে লাগিয়ে দিল মনের মতো কাজটিতে।

এবার দেখা যাক, ভবিষ্যত কী বলে। আমি যাতে ভালো দেখছি, আল্লাহ কি তাতে ভালো দেখছেন কিনা। আমার পথচলা থেমে থাকবে না। আমি সব সময়ই সচল। গবেষণা করাটা আমার নেশা। তুচ্ছ বিষয়ে গবেষণা করে থিসিস করে ফেলাটা আমার অন্যতম একটা কাজ যেন। বই পড়া, বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অবদান রাখা, গবেষণামূলক লেখালেখি-বিশ্লেষণ করা, গল্প-কবিতা-উপন্যাস-রহস্যগল্প লেখা আমার নেশা। ভৌতিক অভিজ্ঞতাগুলোকে বিজ্ঞান দিয়ে একটু খুঁটিয়ে দেখা আমার প্রিয়তম শখ। রংতুলি নিয়ে কদাচিৎ বসতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু ঈযল্‌টা কোথায় রেখেছি আর খুঁজে দেখি না- অগত্যা বসে বসে পেনসিল দিয়ে একটা স্কেচ করি।

ইসলাম ধর্ম পালন করতে মন থেকে তাগাদা পাই। ঈশ্বরের সান্নিধ্য ভালোবাসি। কিন্তু গোড়া ধারণা থেকে সবসময় মুক্ত থাকতে চাই। অযৌক্তিক আচরণ, হয়তো সমাজের জন্য দরকার, করিনা বলে অনেক সময় সমাজের চোখে হেয় হয়ে থাকি। তবু আমি স্বকীয়তা রাখতে চাই। আমার জগতকে অনুকরণীয় করতে চাই। অন্যের অনুকরণে নয়, সত্যের অনুসরণে জীবন গড়তে চাই। আর অবশ্যই বিশ্বাস করি: ভবিষ্যতের জন্য আমাদের কিছু করে রেখে যেতে হবে।

এই পৃথিবীটা আমরা বাপ-দাদা থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে যাইনি, এই পৃথিবীটা বরং আমাদের সন্তানদের থেকে ধার নিয়েছি মাত্র। – সংগৃহীত

মনে-প্রাণে ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে। এই দেশের বিরুদ্ধে অঙ্গুলি চললে, কেটে ফেলবো সেই আঙ্গুলসুদ্ধ হাত। ঈশ্বর আমায় শক্তি দিন। আমীন।

১৭ thoughts on “আমি কেউ না

    1. আপনার আমন্ত্রণের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই মুহূর্তে অন্য প্লাটফর্মে লেখার ইচ্ছা আমার নেই।
      আপনার ব্লগ আরো সুন্দর হোক, সবার উপকারে আসুক- এই কামনা থাকবে সবসময়। 🙂

  1. বাহ! চমৎকার বিশ্লেষণ..। ভালো লেগেছে খুব। আপনার ভ্রমণলগগুলোও পড়লাম কয়েকটা। বেশ ঝরঝরে। আমিও অসম্ভব ইন্ট্রোভার্ট বলেই হয়তো আপনার আত্ম-বর্ণনা বেশ ভালো লাগলো। ভ্রমণের ইচ্ছা রইলো আপনার সাথে কোনদিন সুযোগ পেলে। আমি ভীষণ ছন্নছাড়া টাইপের। অসামাজিকও বলা চলে..। সারাক্ষণ ছুটে বেড়াতে ইচ্ছে হয় ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো। ভালো থাকবেন খুব। অনেক শুভ কামনা রইলো।

  2. আপনার লেখার উপস্থাপন টা দারুন! আর এই লাইন ” যুদ্ধ করতে করতে মার্কেটিংকে আয়ত্ব করতে করতে একসময় আবিষ্কার করলাম, মার্কেটিং-এর সম্পূর্ণ বিপরীত আমি।” টা পড়ে ভীষন হাসি আসছিলো আমার 😛 যাই হোক বেস্ট অফ লাক 😉

  3. আপনি সত্যিই দারুণ, বিশেষ করে আপনার কাজগুলি ( ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে ) । যাই হোক, আপনি আমার ডাক নামের মিতা । আমি আপনার থিমকে অনেকটা নেড়ে চেড়ে দেখে ( ডেভেলপ করে ) আমার ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করতে চাই । এটা কি কপিরাইট আইনে পড়ে ?

    1. হা হাহাহা, ঠিক বলেছেন, আমি সত্যিই দারুণ বিরক্তিকর 🙂
      থিমটা, ওয়ার্ডপ্রেসের মতোই ওপেনসোর্স। এখান থেকে ফর্ক করে নিয়ে ইচ্ছেমতো বদলে ফেলুন।
      তবে ভালো কোনো বদলের প্রেক্ষিতে পুল রিকোয়েস্ট পাঠানোরও অনুরোধও থাকলো। 🙂

      1. ভাইয়া আমি কোনোদিন গিটহাবে কাজ করিনি । পুল , ফর্ক এই জাতীয় শব্দগুলো আমার কাছে একটু অপরিচিত । যাইহোক পিএইচপি’র আর ওয়ার্ডপ্রেসের সামান্য জ্ঞান নিয়ে যা পারা যায় তাই চালাচ্ছি । চেষ্টা করছি এমনভাবে থিমটাকে ঢেলে সাজাতে যাতে আপনার কাজ আপিনি নিজেই না চিনতে পারেন । আর পুল আর ফর্কের কথাও মাথায় রাখলাম । কলেজের কুইজ আর ল্যাবের ব্যস্ততায় হয়ত তা গুগল করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে । দোয়া রাখবেন ।

          1. আমার ওয়েবসাইটে আপনার ন্যানো-প্রজ্ঞা থিমটি ব্যবহার করা শুরু করেছি । Banglakontho.org – আমি জানিনা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব কিনা? তবে দোয়া রাখবেন । (থিমের আগের ভার্সনটাও আমাকে ভালো লাগত । ওটার কোনো কম্প্রেসড কপিও পাচ্ছিনা । ওটাকে কি কোনো ভাবে পাওয়া যাবেনা ?)

  4. আপনার মতো মানুষ খুব কমেই আছে… আপনার সাথে পরিচয় না হলে জানতাম না… এমন ব্যক্তিত্ব সম্পন্য মানুষ এখনো আছে…
    অনেক কিছু শিক্ষছি , আশাকরি আরও শিক্ষবো … আপনার অনেক বড় ফ্যান হয়ে গেলাম যে বস ।।

    1. আমার কাছ থেকে যে অনেক অনেক ভুলভাল শিখছো, সেটা এই মন্তব্য থেকে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে লিস্টার। 🙂
      তোমার সাপোর্টও অসাধারণ। উই আর আন অ্যাকসেলেন্ট টীম!

      1. ভুলভাল শিক্ষার মজাই আলাদা … এই ভুলভালই আমার কাছে অনেক মূল্যবান যা টাকা দিয়ে কেনার মতো না।। আমি যদি ভুল না করতাম তাহলে আপনাকে পেতাম না।।

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল প্রকাশ করা হবে না

আপনি এই HTML ট্যাগ এবং মার্কআপগুলো ব্যবহার করতে পারেন: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

*