ক্যাম্পেইন: সুইচ উল্টো দিকে চাপলেই বাতি নেভানো যায়
দিন আসে-যায়…
কিন্তু আমাদের অভ্যাস বদলায় না।
এই স্বাধীনতা দিবসে একটা নাহয় ভালো অভ্যাস গড়ে তুলি?
#বিদ্যুৎ_সাশ্রয়
দিন আসে-যায়…
কিন্তু আমাদের অভ্যাস বদলায় না।
এই স্বাধীনতা দিবসে একটা নাহয় ভালো অভ্যাস গড়ে তুলি?
#বিদ্যুৎ_সাশ্রয়
একজন আমির খান আর জলহিতৈষী কার্যক্রম বদলে দিলো পুরো একটা নয়, একাধিক জনপদ – এখন সেটা এক মহাযজ্ঞ, একই সাথে অর্থনৈতিক আর জীবনমানের উন্নয়ন সাধনের এক অভূতপূর্ব প্রয়াস
সুন্দরবনের করমজলের প্রধান বন কর্মকর্তার সাথে কথা হচ্ছিলো পানীয় জলের ঘাটতি নিয়ে…
মরুভূমিতে থাকতে পারে বালুর জঙ্গল। কিন্তু আমি যদি বলি, মাত্র একজন মানুষের প্রচেষ্টায় শুরু হওয়া উদ্যোগ মরুতেও হতে পারে গাছের জঙ্গল – সেই খবর তো জানতেই হবে।
~ রজ্জু তীরোপার ~ আমাদের চারজনের দলটা মিরসরাইয়ের খইয়াছড়া ঝরণায় গেল পানির ঢলে গা ডুবাতে, কিন্তু সেখানে গিয়ে হতাশ হতে হলো। সেই হতাশা ঢাকতে আমরা যখন সঙ্গে করে আনা রশি দিয়ে রজ্জু তীরোপার করবার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছিলাম, তখন দলনেতা, অভিজ্ঞ আবুবকর করছিলেন দোনমনা। নেতার এই সিদ্ধান্তহীনতায় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল এক অশুভ পরিণাম। নেতার জায়গাটি…
প্রথমাধ্যায়: অজানা লেকের অভিযানে বান্দরবান : প্রথমাধ্যায় থানচি থেকে ভাগ্যক্রমে তিন্দু, আর সেখান থেকে ভাগ্যক্রমে তিন্দুর অভিজ্ঞ চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনায় আমাদের অজানা লেকের সন্ধান লাভ (কাল্পনিক মানচিত্রে অবশ্য), এবং একজন গাইড নুং চ মং পাওয়া গেছে। সাথে রয়েছেন ওদিকে যাওয়া আরেকজন পাহাড়ি থং প্রি মুং। সুতরাং দুজন গাইডসহ আমরা তিনজন – আমি, রাসেল আর প্রভা, তিন্দু…
পাহাড়ে-জঙ্গলে ট্রেক (Trek) করা, মানে পাহাড়-জঙ্গলের বন্ধুর পথে কসরত করে চলার জন্য চাই কিছু প্রস্তুতি, বিশেষ করে আমরা সমতলের মানুষরা যখন সেখানে যাই, তখন সেই প্রস্তুতিটা না থাকলে বেশ খানিকটা কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়। আর ভ্রমণের প্রস্তুতি হতে হয় ভ্রমণের আগে। বন্ধুরা সবাই যাবে বগাকাইন হ্রদ ঘুরতে, তো তাদেরকে কিছু পরামর্শ দিতে গিয়ে তথ্যগুলো গোছানো…
« আগের পর্ব আমরা বাংলাদেশের সর্বউত্তর সীমান্তে বঙ্গমাতার শীর চুমে ফিরেছি আবার তেঁতুলিয়ায়। ফিরে দেখি আমাদের ভ্যানওয়ালারা অপেক্ষা করছে। বেচারারা আয়ের আশা ছাড়তে পারছে না। কিন্তু ও ব্যাটা অটোওয়ালা লাগালো বাগড়া: ভাই তিনশ’ ট্যাকায় অয় না, আপনেরাইতো দেকলেন, কদ্দুর পত। আমরা আমাদের মিডলম্যান ভ্যানওয়ালার দিকে তাকালাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুঝলাম, একটু বাড়িয়ে দিয়েই শান্তি আনতে…
বর্ষাবনে বৃষ্টিতে ভিজে কোনোরকমে একটা মাথা গোঁজার স্থান করেছেন বিয়ার গ্রিল্স^। এবার আগুন ধরাতে হবে। গাছের ভিতরের ছাল, আর হালকা-ভেজা কাঠ দিয়েই কিভাবে যেন আগুন ধরিয়েও ফেললেন তিনি। ব্যস, এইমাত্র ধরা খরগোশটাকে পুড়িয়ে খাবার পালা – ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড টিভি অনুষ্ঠানটির এই দৃশ্যটি বাস্তব(?)। কিন্তু দ্ব্যর্থহীন বাস্তব হচ্ছে আমাদের নিজস্ব তরু-কুটিরে বসে তাজা মাছ পুড়িয়ে…
আমরা আছি কেওকারাডং পর্বতেই, পাসিং পাড়ায়। রাসেল ইস্যুতে কামরুল আর আবুবকর একটু দ্বিমত পোষণ করায় কামরুল রাগ করে বেরিয়ে গেছে পথে। উদ্দেশ্য জানা আছে, কিন্তু একা… কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই আমি নিয়েছি পিছু। যেহেতু পথটা একটাই, সামনে এগিয়েছে, ধরে নিলাম কামরুল সামনেই কোথাও আছে। এবারে আমরা কেওকারাডং-এর পথ ধরেছি। আমি খুব দ্রুত চলছি।…
আমরা প্রচন্ড উচ্চতায় দীর্ঘ পথ বেয়ে রুমানা পাড়ায় উঠে যখন প্রচন্ড ক্লান্ত, তখন আবুবকর ঘোষণা করলেন তাঁরা দুটো ঝরণা দেখতে যাবেন, কে কে যাবে? “আমরা” বলতে যে, কামরুলকেও যোগ করা হচ্ছে, এটা নিশ্চিত; কারণ আমরা তিনজন ছাড়া কামরুলকে নিয়েই এই পথে ট্রেক করার পরিকল্পনা ছিল আবুবকরের। আর আমি তখন নিজের চিত্তের উপর বাজি ধরে রাজি…
যে দুজন আমাদের গাড়িতে লিফ্ট চাচ্ছিল, তাদের একজন বয়স্ক মানুষ, সাথে একটা ছোট্ট ছেলে। তাদেরকে নেয়ার প্রশ্নই উঠে না, কারণ এরা স্থানীয়। কিন্তু কেন জানি আমার মনে হলো এরা আসলেই বিপদগ্রস্থ। কারণ, আমাদের গাড়ি যখন নীলাচলে, ঢাল বেয়ে উঠছিল, তখনও এরা আমাদের গাড়ি থামাতে চাচ্ছিল, লোকটার গলায় একটা ঢোল ছিল, আর ছেলেটা নিয়ন্ত্রণ করছিল লোকটিকে।…