ধারাবাহিক: ট্যুর টু শরিয়তপুর ২০১০ —এর একটি পর্ব
~ রহস্য…সমাধান…কিন্তু… ~
কার্ত্তিকপুর যাবার সময় মাথার উপর দিয়ে অজানা বিচিত্র পাখির উড়ে যাওয়া, কার্ত্তিকপুরে পোল্টারগাইস্ট আক্রান্ত বাড়িতে রাত্রিযাপন, আসার সময় এক পথচারির সাথে মোটর সাইকেল এক্সিডেন্ট, অথচ উঠে দাঁড়িয়ে কাউকে না পাওয়ার ঘটনা একত্রিত করলে অনেকগুলো রহস্য। আর, যারা আমাকে জানেন, তারা হয়তো আরেকটু পিছন ঘাঁটতে গিয়ে রহস্যটাকে আরো ঘোলাটে করে ফেলবেন: কেননা বিগত ফেব্রুয়ারি মাসে আমি যেবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই, সেবার আমি আর দুই ফুফাতো ভাই গভীর রাতে জ্বীন-উপদ্রুত গাছে অভিযানে বেরোই, যে ব্যাপারটা বাড়ির কেউ পছন্দ করেননি। আমার এই এক্সিডেন্টের পর আমার দাদুর অভিমত হলো, ঐ গাছ থেকে জ্বীন আমার পিছু নিয়েছিল, এবং এই এক্সিডেন্ট শ্রেফ তারই একটা প্রতিশোধমাত্র। বলা বাহুল্য, এই এক্সিডেন্টের এরকম ভৌতিক ব্যাখ্যা নাকিবেরও মন কাড়লো।
রহস্য ৩ (সমাধান)
তবে আমার মনটাই খুঁতখুতে, বিজ্ঞানমনষ্ক: এক্সিডেন্টের পর শাকিল ভাই যখন কথা বলার মতো পর্যায়ে এলেন, তখনই আমি রহস্যভেদ করলাম- কারণ ইতোমধ্যেই নাকিব আমাকে ঢাকা-মাওয়া রোডে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের তৃতীয় প্রক্রিয়ার কথা বলেছে। …কিন্তু আমি আমার ব্যাখ্যাটা বলার আগে নাকিবের দেয়া একটা ব্যাখ্যা আছে, সেটা উল্লেখ করতে চাই।
নাকিবের ব্যাখ্যা: আমরা যখন ঢাকা ৫ কি.মি. লেখা মাইলস্টোন পার হলাম, তখন রাস্তার ডান পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তিন বন্ধু। তিন বন্ধুর দরকার ছিল রাস্তাটা পার হয়ে বামদিকে আসার। দূর থেকে তারা দেখতে পাচ্ছিলো একটা মোটর সাইকেল আসছে। কিন্তু ঘুটঘুটে অন্ধকারে তারা বুঝতে পারেনি মোটর সাইকেলটা কতটুকু দূরে ছিল। সত্যি কথা বলতে কি, মোটর সাইকেল কিংবা গাড়ির হেডলাইট যখন চোখে পড়ে, তখন বুঝতে পারা যায়না গাড়ির অবস্থানটা, কতটুকু দূর থেকে আলোটা আসছে। একই ব্যাপার ঘটে একজন টর্চধারীর সামনে দাঁড়ালেও। সেজন্য এক বন্ধু ঠিক বুঝতে পারেনি কতটুকু দূর থেকে আলোটা আসছিল। সেকারণে সে চেয়েছিল মোটর সাইকেলটা কাছে আসার আগেই দৌঁড়ে রাস্তা পার হয়ে যেতে। কিন্তু তার হিসাবে ভুল ছিল। সে যখনই রাস্তার মধ্যে ঢুকলো, তখনই আমাদের মোটর সাইকেলটা তার গায়ের উপর উঠে পড়লো। শেষ মুহূর্তে সে দু-হাত দিয়ে মোটর সাইকেলটা আটকাতে চেয়েছে। কিন্তু চলমান, সত্যি বলতে কি ধাবমান মোটর সাইকেল আটকানো কি চাট্টিখানি কথা? সে আহত হলো। শাকিল ভাই আর আমি গুরুতর আহত হলাম। শাকিল ভাইয়ের রক্তপাত দেখে ছেলেগুলো রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলো। তারা ভাবলো মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কেসে জড়িয়ে পড়তে পারে তারা। সাথে সাথে তারা তাদের আহত বন্ধুটিকে নিয়ে দ্রুত ঐ স্থান ত্যাগ করলো। আমরা উঠে দাঁড়িয়ে কাউকে পেলাম না। …নাকিব তার এই হাইপোথিসিসের ব্যাপারে বেশ কনফিডেন্ট এবং তার বিশ্বাস এটাই প্রকৃত ঘটনা ছিল।
নাকিবের এই ব্যাখ্যা আমরা গ্রহণ করবো কি করবো না, সেটা বিবেচনার আগে এবারে আমি আমার ব্যাখ্যাটা বলি:
আমার ব্যাখ্যা: আমি ইতোমধ্যেই গত পর্বে ছিনতাইয়ের দুটো পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছি। শাকিল ভাইয়ের সাথে কথা বলে, নাকিবের বলা তৃতীয় পদ্ধতিটা মিলিয়ে আমি আমার ব্যাখ্যা দাঁড় করালাম। আমরা যখন মাইলপোস্ট বা কিলোমিটারপোস্টটা পার হলাম, তখন রাস্তার পাশে যারা দাঁড়িয়েছিল, তারা আসলে তিন বন্ধু হলেও তিনজন নিষ্পাপ বন্ধু ছিল না। তারা আসলে ছিল মোটর সাইকেল ছিনতাইকারী।
ছিনতাইয়ের তৃতীয় পদ্ধতি অনুসারে তারা রাস্তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। একজন ছিল মূল অভিনেতার ভূমিকায়। অভিনয়টা খুব সহজ: যখন একটা মোটর সাইকেল এগিয়ে আসতে থাকবে, তখন সে রাস্তা পার হবার অভিনয় করবে। এতে চালক দূর থেকে দেখতে পাবে, সামনে একজন পথচারী রাস্তা পার হতে চাইছে। সে কিছুটা ইতস্তত পরিস্থিতিতে পড়বে।
এবারে শাকিল ভাইয়ের বক্তব্য তুলে ধরি, কারণ উনি মোটর সাইকেলটা চালাচ্ছিলেন। উনি বলেছেন যে, উনি আগে থেকেই দেখতে পাচ্ছিলেন একজন পথচারী রাস্তা পার হতে চাইছে। কিছুটা সতর্ক ছিলেন। মোটর সাইকেলটা আরো এগিয়ে পথচারীর কাছে যেতেই পথচারী রাস্তা পার হতে গিয়ে সরাসরি মোটর সাইকেলের সামনে এসে দাঁড়ায়। শাকিল ভাই এই অকষ্মাৎ উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। কারণ আর যাই হোক জেনেশুনে কেউ গাড়ির নিচে ঝাঁপ দিবে এমন কল্পনা করে রাখে না কোনো চালকই। তাই মোটর সাইকেল চালনার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হিসেবে জান-প্রাণ দিয়ে কষে হাতের আর পায়ের ব্রেক চেপে ধরেন। কিন্তু বড্ড দেরি হয়ে গেছে। মোটরসাইকেল থামেনি, পথচারীর গায়ে আঘাত করে। ব্যস, এক্সিডেন্ট।
এদের এই অভিনয়টা খুব কাজের। যখনই চলমান মোটর সাইকেলের সামনে এভাবে পার হবার অভিনয় করবে, তখনই চালক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবে, আর মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে। এক্সিডেন্ট করবে এবং আহত হয়ে পড়ে থাকবে, এই সুযোগে মোটর সাইকেল নিয়ে চম্পট দেয়া যাবে।
কিন্তু এই ব্যাখ্যার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো: আমাদের একটাও মোটর সাইকেল খোয়া যায়নি।
এবারে একটু পরিষ্কার করি (উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার মুহূর্ত কিচ্ছু মনে নেই। শ্রেফ যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যাপারটা জোড়া লাগানোর চেষ্টা): অভিনেতা ছিনতাইকারী আর-সব ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে যে অভিনয়টা খুব পাকাপোক্তভাবে সুস্থতার সাথে করে ফেলতো, এবারে সেই অভিনয়টা আসলে ঠিকমতো করতে পারেনি। এর কারণটা তার অভিনয়ে অদক্ষতার মধ্যে না, কারণটা আমাদের মোটর সাইকেলের হাইড্রোলিক ব্রেকের মধ্যে। মোটর সাইকেলের হাইড্রোলিক ব্রেকটা নিয়ন্ত্রণ করা হয় হাতের ব্রেক দিয়ে। এই ব্রেকটা খুব কাজের, এমনই কাজের যে, এই ব্রেকটা চেপে ধরলে মোটর সাইকেল প্রায় জায়গায় দাঁড়িয়ে যাবে। হার্ড ব্রেক করলে যেমনটা হয় আরকি। আমি আগেই উল্লেখ করেছি, শরিয়তপুরে থাকতেই শাকিল ভাই ওনার হাইড্রোলিক ব্রেকের ব্রেক শু নিঃশেষ হবার খবর দিয়েছিলেন। এই ব্রেক শু জিনিসটাই আসলে চাকাকে কামড়ে ধরে মোটর সাইকেলকে জায়গায় থামিয়ে দেয়।
যেকোনো পথচারী মোটর সাইকেলের সামনে এসে পড়লে চালক যখন হাইড্রোলিক ব্রেক চাপেন, তখন মোটর সাইকেল হয় জায়গায় দাঁড়িয়ে যায়, প্রচন্ড গতির কারণে পিছনের চাকা উল্টে সামনে চলে আসে এবং দুর্ঘটনাটা ঘটে; নতুবা চালক ব্রেক চাপার পাশাপাশি সামনে আসা পথচারীকে বাঁচাতে মোটর সাইকেলের নাক ঘোরাতে গিয়ে কাত হয়ে পড়ে যান, রাস্তায় ঘষে ঘষে দুর্ঘটনাটা ঘটে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হতো, কিন্তু হাইড্রোলিক ব্রেকের নষ্ট ব্রেক শু-টাই অনেক দিক থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
ছিনতাইকারী যখন সামনে এসে পড়লো, তখন শাকিল ভাই আর-সব চালকের মতো হাইড্রোলিক ব্রেক চেপেছিলেন। কিন্তু ছিনতাইকারীর দুর্ভাগ্য আর আমাদের সৌভাগ্যবশত ব্রেক শু না থাকায় কামড় বসাতে পারেনি চাকায়। পায়ের ব্রেক অতোটা শক্তিশালী না। তাই স্কীড করে আরো খানিকটা এগিয়ে যায় মোটর সাইকেল। ব্রেক কষার সাথে সাথেই ছিনতাইকারী পিছিয়ে যেতো, কিন্তু মোটর সাইকেলটা তাকে সে সুযোগ দেয়নি, স্কীড করে সরাসরি তার গায়ের সাথে গিয়ে ধাক্কা খায়। এতে গতিশীল মোটর সাইকেলের ধাক্কায় আহত হয় ছিনতাইকারী। ধাক্কার সাথে সাথে শাকিল ভাই উপুড় হয়ে গিয়ে সামনে মুখ থুবড়ে পড়েন রাস্তায়। আধুনিক হেলমেট পরনে, থুতনির জায়গাটায় কোনো বাধা না থাকায় হেলমেট থাকাসত্ত্বেয় তাঁর ঠোঁট-মুখ গুরুতর জখম হয়। আর আমি হালকা-পাতলা মানুষ হওয়ায় শাকিল ভাইকেও টপকে রীতিমতো সুপারম্যানের মতো উড়ে গিয়ে পড়ি আরো সামনে। যেহেতু ডান-হাতি মানুষ, তাই আকষ্মিক পতন ঠেকাতে অবচেতন মনই আমার ডান হাতকে সামনে বাড়িয়ে দিয়েছিল। পড়ার সময় কনুইটা আগে পিচ স্পর্শ করে। তাই কনুইয়ের বলটা ভেঙ্গে যায়, নাড়ি ছিড়ে যায়।
আর মোটর সাইকেলের গতির কারণে আমি পড়ে গিয়েও রাস্তায় গড়াতে থাকি। শেষ গড়ান দেবার সময় আমার স্মৃতি ফিরে আসে এবং আমি শেষ গড়ান দিয়েই উঠে দাঁড়াই। পিছন ফিরে শাকিল ভাইয়ের কাছে যাই। গিয়ে তাঁকে চিৎ অবস্থায় পাই। তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। আমি তাঁকে রাস্তার পাশে সরানোর চেষ্টা করি। তখন নাকিবদের মোটর সাইকেল থামিয়ে নাকিব সামনে, আর রবিন পিছনে দৌঁড়ে আসতে থাকে। বাকিটুকু আর দরকার নেই।
এবারে মূল প্রশ্নে আসি: কেন মোটর সাইকেল ছিনতাইকারী আমাদেরকে পরিকল্পনামতো ফেলে দেয়াসত্ত্বেয় মোটরসাইকেল নিয়ে পালায়নি?
আমাদেরকে, ছিনতাইকারী ঠিক পরিকল্পনামতো ফেলতে পারেনি, তার কারণ আগেই বলেছি ‘হাইড্রোলিক ব্রেক’। যাহোক, এতে ছিনতাইকারী আহত হয়ে যাওয়ায় সঙ্গী আরো দুই ছিনতাইকারী তাদের বন্ধুকে বাঁচাতেই দ্রুত তাকে নিয়ে সটকে পড়ে। এতক্ষণ এক জন ছিনতাইকারীর কথা বললেও এখন আরো দুজন কোথা থেকে হাজির করলাম, সেই প্রশ্নটা আপনাদের মনে জাগা স্বাভাবিক। কথা হলো: আমি যখন উঠে দাঁড়িয়ে শাকিল ভাইয়ের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন আমার ডান পাশ দিয়ে দুজন লোক দুপাশ দিয়ে কাঁধঝোলা করে আরেকজন মানুষকে নিয়ে যাচ্ছিলো -এই দৃশ্যটা আমি দেখেছি, কোনো সন্দেহ নেই। আমার চোখের কোণায় দৃশ্যটা ধরা পড়ে। পরে আমি শাকিল ভাইয়ের সাথে ব্যাপারটা আলোচনা করেছি। এই রিপোর্টটা লেখার সময় তিনি আমাকে তিনজন ছিনতাইকারীর ব্যাপারটা নিশ্চিত করেন। তবে এটা পরিষ্কার না, তিনি কি আমার বর্ণনা শুনে তিনজন বলছেন, নাকি দুর্ঘটনা ঘটার আগেই তিনজনকে সনাক্ত করেছিলেন। …ছিনতাইকারী মোটর সাইকেল না নিয়ে যাওয়ার এটাই কারণ যে, তাদের একজন সেখানে আহত হয়ে গিয়েছিল।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে, ছিনতাইকারীর গায়ে তো আর সিল-ছাপ্পড় দেয়া থাকেনা, তাহলে আমি কী করে নিশ্চিত হচ্ছি এরা ছিনতাইকারীই ছিল, নির্দোষ পথচারী ছিল না?
এর কারণ হলো, যদি একজন সাধারণ পথচারী কোনো মোটর সাইকেলের ধাক্কায় আহত হতো, তবে সে ওখানেই পড়ে থাকতো। মোটর সাইকেল চালককে শ্রীঘরে না পাঠানো পর্যন্ত শুয়ে শুয়ে কাতরাতো। তাদের দ্রুততার সাথে সঁটকে পড়াটাই জানান দিচ্ছে, তারা পালিয়ে গেছে।
এবারে নাকিবের হাইপোথিসিসটার ব্যাপারে আসি: নাকিবের হাইপোথিসিসটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না মনে হবার অনেকগুলো কারণ আছে।
কারণ ১: নাকিব বলছে, তিন বন্ধু রাস্তার ‘ডান’ পাশে ছিল, পার হয়ে বামপাশে আসতে চাইছিল। আপনারা জানেন বাংলাদেশের নিয়মানুযায়ী গাড়ি রাস্তার বামদিক ধরে চলে। আমরাও রাস্তার বামদিক ধরে অগ্রসর হচ্ছিলাম। শাকিল ভাই এবং আমি দুজনই নিশ্চিত করেছি, ঐ তিন পথচারী রাস্তার ‘বাম’ দিকে ছিল। এক্ষেত্রে নাকিবের বক্তব্যের চেয়ে আমার বক্তব্য তুলনামূলক অগ্রগণ্য, কারণ আমি ওর সামনে ছিলাম, আর দূর্ঘটনা কবলিত মোটর সাইকেলেই ছিলাম। তাছাড়া দুর্ঘটনা ঘটার পর আমি আবার শাকিল ভাইয়ের কাছে ফিরে আসা পর্যন্ত নাকিব এসে হাজির হয়নি, তাতেই বোঝা যায়, নাকিব কতটা পিছনে ছিল। আর এক্ষেত্রে আমার আর নাকিবের চেয়েও অগ্রগণ্য শাকিল ভাইয়ের মত, কারণ তিনি নিজে চালাচ্ছিলেন।
কারণ ২: নাকিব বলছে, মোটর সাইকেলের আলো চোখে পড়ায় দূরত্বের আন্দাজ পায়নি পথচারীত্রয়। কিন্তু কথা হলো (১) যদি নাকিবের থিওরিমতো পথচারীরা রাস্তার ডান দিকে থাকে, তাহলে আলোর ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা কম। (২) মোটর সাইকেলের আলো এতো তীব্র হয় না যে, তার ফাঁদে আটকা পড়ে দূরত্ব আন্দাজ করা সম্ভব হবে না। আর যদি তা হয়ও, তাহলে মোটর সাইকেল যখন কাছে চলে এলো, তখন আর ভ্রম থাকার কথা না, কারণ এতক্ষণ যে আলোকে সরলরেখায় দেখা যাচ্ছিল বলে ভ্রম হচ্ছিলো, এখন সেই আলোকে তীর্যকরেখায় দেখা যাচ্ছে, ভুল হবার প্রশ্নই উঠে না।
কারণ ৩: যতই ভয় পাক, আহত হবার সাথে সাথে সটকে পড়ার মতো দ্রুত চিন্তা-ভাবনা একমাত্র ছিনতাইকারীর পক্ষেই নেয়া সম্ভব। কারণ তারা সটকে পড়ার সিদ্ধান্তটা কতটুকু দ্রুততার সাথে নিয়েছে, পাঠক নিশ্চয়ই তা উপরের বর্ণনা থেকে আঁচ করতে পারছেন?
কারণ ৪: নাকিবের বর্ণনায় ইতোমধ্যেই আমি বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছি। তাই ওর কথাকে ঠিক প্রামাণ্য হিসেবে নিতে আমার খানিকটা আপত্তি আছে। যেমন: আহত হবার পর শাকিল ভাইয়ের কাছে সবার আগে পৌঁছি আমি। আমি তাঁর মুখে রক্ত দেখতে পাই। আমি যখন তাঁকে রাস্তার পাশে টেনে সরাবার জন্য একবার টান দিয়েছি, তখন নাকিব দূর থেকে মানা করতে করতে এসে উপস্থিত হয়। নাকিব এখন একটা কথা প্রায়ই বলে যে, শাকিল ভাইকে সে উপুড় অবস্থায় এসে দেখতে পেয়েছে, তারপর যখন সে মুখটা ঘুরিয়ে তাঁকে চিৎ করলো, তখন সে, তাঁর মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখলো। অথচ আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি যখন শাকিল ভাইকে সরাবার চেষ্টা করছিলাম, তখন শাকিল ভাইয়ের চেহারার দিকে আমার নজর ছিল। তাছাড়া একজন মানুষকে উপুড় করে রেখে কোন বুদ্ধিতে আমি ছেঁচড়ে টানা শুরু করবো? তাতে তো তাঁর মুখ, পিচের ঘষায় আরো থেতলে যাবে?
একারণে আমি নাকিবের হাইপোথিসিসটাকে ঠিক গুরুত্ব দিতে পারছি না, এবং অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য হাইপোথিসিস না পাওয়া পর্যন্ত আমার হাইপোথিসিসটাকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরে নিচ্ছি, বলা যায় ওটা একটা prima facie evidence।
রহস্য ২ (সমাধান)
এবারে আসি পোল্টারগাইস্ট উপদ্রুত বাড়ির প্রসঙ্গে। পোল্টারগাইস্ট-জাতীয় ভূতগুলো ঢিলাঢিলি করতে খুব মজা পায়। তারা শুধু ঢিলাঢিলিই করে না, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত Amityville হরর ঘটনায় ১১২ ওশ্যান এভিনিউ’র বাড়িটিতে পোল্টারগাইস্ট আস্ত মানুষকে হাওয়ায় পর্যন্ত ভাসিয়ে রেখে দিয়েছিল (বিস্তারিত: The Amityville Horror^)। এই পোল্টারগাইস্ট নামক ভূতগুলোর কোনো ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান ঠিক সঠিকভাবে বলতে পারে না। বরং এই অব্যাখ্যাত স্থানটিকে ব্যাখ্যার ছুতায় তৈরি হয়েছে নানা রকম উদ্ভট অথবা বিজ্ঞান-ভিত্তিক হাইপোথিসিস। সেই সব হাইপোথিসিসগুলোর মধ্যে অনেকের মতে, হয়তো কোনো স্থির বিদ্যুৎ ঐস্থানটায় জড়ো হয়ে থাকে; আর বিশেষ পরিবাহীর সংস্পর্শে এসে হঠাৎ তা চলাচল শুরু করে, আর তাতেই জিনিসপত্র এদিক-সেদিক উড়ে যেতে থাকে। আরো যেসব হাইপ আছে, সেগুলো আপনারা উইকিপিডিয়ার নিবন্ধ^ থেকে জানতে পারবেন অনায়াসে, আমি আর পুণরাবৃত্তি করছি না।
তবে এব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে রহস্য-অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা থেকে একটা ভজকটমার্কা হাইপোথিসিস দিতে আগ্রহী, উদ্ভট শোনালেও আপাতত সেটাকে উড়িয়ে দিতে পারছি না। এই রহস্যের সমাধান আপনারা দেখেছেন বিখ্যাত ম্যাট্রিক্স (Matrix) ছায়াছবিতে। আপনারা ম্যাট্রিক্স ছায়াছবিতে দেখেছেন:
মর্ফিয়াস, নিও-কে (নায়ক) নিয়ে যায় ওরাকল নামের এক মহিলার সাথে দেখা করাতে। সেখানে ড্রয়িংরুমে কয়েকটা বাচ্চা ছেলে বৌদ্ধ সন্ন্যাসির মতো পোষাকে বসে ছিল। তাদের একজন, হাতে একটা চামচ নিয়ে তার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো, আর অমনি চামচটা বেঁকে গেল। তারপর দৃষ্টি সরিয়ে নিও’র দিকে তাকাতেই চামচটা সোজা হয়ে গেল।
কোনো স্পর্শ ছাড়াই চামচটা বাঁকিয়ে দেয়ার ব্যাপারটা আমাকে বেশ আকর্ষণ করেছিল। আমি সাইকোলজি’র প্রতি বেশ আগ্রহী এবং আমি এবিষয়ে ঘাঁটতে গিয়ে পেয়ে যাই telekinesis শব্দটি। একটাই মাত্র শব্দ, অথচ অনেক কথা সেটার ভিতর। উইকিপিডিয়ায় খুঁজতে গিয়ে পেয়ে গেলাম psychokinesis শব্দটা। সাইকোকাইনেসিস বা টেলিকাইনেসিস হলো মানুষের এমন এক অস্বাভাবিক ক্ষমতা, যার বদৌলতে ঐ মানুষ শুধু প্রচন্ড মনের ইচ্ছায় তার থেকে দূরবর্তি কোনো কিছুকে নাড়াচাড়া করতে পারে। এই শিশুটা যেমন চামচ বাঁকিয়ে ফেলেছিল, তেমনি এই সকল অত্যাশ্চর্য ক্ষমতাধর মানুষেরা বড় বড় চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত নাড়িয়ে ফেলতে পারতো বলে শোনা যায়। আপনারা উইকিপিডিয়ার নিবন্ধে^ এসম্বন্ধে অনেক বিস্তারিত বিবরণ পাবেন। আমি ঐ সাইকোকাইনেসিসকে পোল্টারগাইস্টের একটা ব্যাখ্যা হিসেবে ধরতে আগ্রহী। তবে তারপরও কথা থাকে, কথাটা এখানে যে, এটা একটা অস্বাভাবিক ক্ষমতা, বলা যায় rare case। অথচ বিভিন্ন দেশে যত পোল্টারগাইস্ট-দুর্গত ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়, তাতে মনে হয় সাইকোকাইনেসিসটা চাইলেই অর্জন করে নেয়া যায়। নাহলে এতো এতো মানুষের এই অস্বাভাবিক ক্ষমতা থাকে কিভাবে, আর যদি থাকেই, তবে সেটাকে আর ‘অস্বাভাবিক’ইবা বলা হচ্ছে কেন? যদি ম্যাট্রিক্স ছায়াছবির বক্তব্যকে কেউ বিশ্বাস করতে পারে, তবে হয়তো তা অর্জন করাও সম্ভব, কারণ ঐ শিশুটি [নায়ক] নিও’র হাতে চামচটি দিয়ে বলেছিল, “There’s no spoon.”। অর্থাৎ, অস্বীকার করো। চিন্তা করে নাও যে, এখানে কোনো চামচ নেই, তাহলে তুমিও পারবে।
আমি একটা কথা অনেকদিন আগে আমার বন্ধু প্রান্তিককে বলেছিলাম যে, আমরা পানিতে পা দেবার আগে ভাবি, আমি ডুবে যাবো। তাই আমরা পানিতে দাঁড়াতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা পানিতে পা দেবার আগে মনকে বোঝাতে পারি: না, আমি ডুববো না, তাই ভেবে পানিতে পা দিতে যাই, তখনও মনের গহীনে, গভীরে, গভীরতর অংশের কোনো না কোনো অংশ ঠিকই স্বীকৃতি দেয়: নাহ, পানিতে পা দিয়ে কেউ ডোবে না, এটা কি হতে পারে? তাই তখনও আমরা ডুবে যাই। কিন্তু সত্যিই যদি মনের সকল অংশকে 3 Idiots-এর মতো দিল ইডিয়ট হ্যায়, পেয়ার সে উসে সামঝা লে… বলে প্রবোধ দিতে পারি, বুঝিয়ে নিতে পারি: না, পানিতে পা দিলে আমি ডুববো না, ডোবার প্রশ্নই উঠে না, তখন সত্যি সত্যিই আমি আবিষ্কার করবো, আমি পানির উপর দাঁড়িয়ে আছি। প্রান্তিক হয়তো আমার কথাকে বিশ্বাস করেছে।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।
যদি আমার কথা সত্যি হয়, তাহলে টেলিকাইনেসিস ক্ষমতাটা জন্মগত অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি, চেষ্টা করেও অর্জন করা যেতে পারে। যে-কেউ প্রচন্ড ধ্যানের মাধ্যমে এটা অর্জন করে নিতে পারে এবং দূর থেকে বস্তুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
টেলিকাইনেসিস ব্যাপারটাই এখনও পরিষ্কার না। তাই একটা অপরিষ্কার বিষয় দিয়ে আরেকটা অপরিষ্কার বিষয়কে ব্যাখ্যা করতে চাওয়াটা আমার একপ্রকার বাতুলতা বলা যায়। তবে টেলিকাইনেসিস আর-সবার কাছে অপরিষ্কার হলেও আমার কাছে খানিকটা পরিষ্কার। কারণ আপনারা যারা জেট লী অভিনীত “Twin Warriors” ছায়াছবিটা দেখেছেন, তাঁরা দেখেছেন, জেট লী ‘তাই চী শেখার কৌশল খুঁজে পান। কৌশলগুলো ছিল ঠিক আমারই কথার অনুরূপ:
Gather energy together. But don’t use force. Force will cause cease. Use the power of air and water, not force. Force will cause the flow to cease. No immovable roots. No starring of dust. Only the ‘Tao, the way of nature -this is called ‘Tai Chi.
জেট লী এই সূত্র কাজে লাগিয়ে কাজে নেমে যান। হাত-পায়ের দ্রুততর সঞ্চালন দিয়ে তিনি বাতাসকে আয়ত্বে নিয়ে আসেন। তার হাতের তীব্র গতিতে আশেপাশের বাতাসে তীব্র ঘূর্ণি উঠে। তিনি ‘তাই চী’র কৌশল রপ্ত করেন। যদিও ছবিতে অনেক ভূগিচুগি থাকে, তবে আমি এসকল চায়নীজ লিজেন্ড বা উপকথা বিশ্বাস করি। কেননা, আমি বিশ্বাস করি, প্রচন্ড গতিতে হাত-পায়ের সঞ্চালনে বাতাসের ঐ জায়গাটায় একটা ফাঁকা অবস্থা তৈরি করা সম্ভব, আর ফাঁকা অবস্থা তৈরি হলে ঐ জায়গা দখল করতে আশ-পাশ থেকে বাতাসও আসতে বাধ্য। আর তখনই সৃষ্টি করা সম্ভব এরকম ঘূর্ণি। কারাতে-কুংফু’র গতি যে কতটা বাস্তবসম্মতভাবে গতিশীল হতে পারে, তা জেনেছিলাম National Geographic-এর ইউরোপীয় চ্যানেলের “Fight Science” অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
তাহলে, এইভাবেই মস্তিষ্কের মধ্যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারলে মস্তিষ্কের আশেপাশের বাতাসে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হবে। আর এভাবে দূর থেকে বাতাসকে সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করে পোল্টারগাইস্টের মতো ইফেক্ট তৈরি করা সম্ভব বলেই আমার মত।
যাহোক, পোল্টারগাইস্টের আপাতত কোনো ব্যাখ্যা নেই। যা আছে, শ্রেফ আমার মতো কিছু হাইপোথিসিস।
রহস্য ১ (সমাধান)
এবারে আসি ঐ বিশাল পাখির বিষয়টায়। পাখিটার গায়ে কী রং ছিল -এই প্রশ্নটা আমি আলাদা আলাদা সময়ে, শাকিল ভাইকে তিনবার জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি প্রতিবারই আমাকে “নীল” আর “ধুসর” রংটার কথা বলেছেন। এমনকি এই ব্লগ নিবন্ধটি লেখার সময়ও আমি ভুল করে ‘লাল’ লিখেছিলাম, তখনও তিনি সেটা শুধরে দিয়েছিলেন। সে হিসেবে ধরে নিতে পারি, তিনি সত্যিই পাখির গায়ে বা পালকে নীল রং দেখতে পেয়েছিলেন।
কিন্তু অতো বিরাট পাখিটা কী হতে পারে, যে মাথার উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে?
আমার মাথায় যে পাখিটার নাম ভাসছে, সেটা হলো ‘ময়ূর’। এই কথা শুনে সবার আগে যে প্রশ্নটা করবেন, সেটা হলো:
ময়ূর কি উড়ে নাকি!
হ্যা, ময়ূর উড়ে। আমি সেটা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের কোনো একটা ভিডিওতে দেখতে পেয়েছিলাম। পাখিদের মধ্যে একমাত্র উটপাখি আর অস্ট্রিচ বোধহয় উড়তে পারে না।
কিন্তু এই ব্যাখ্যা বেশিক্ষণ ধোপে টিকে না। কারণ আমরা যে জায়গায় পাখিটাকে দেখতে পেয়েছি, সেই জায়গাটা শরিয়তপুর। শরিয়তপুরে বড় কোনো জঙ্গল নেই যে, ময়ুর বাস করবে। যা আছে, সব বন্যাপ্রবণ, নিচু, ধান চাষোপযোগী মেঠো জমি। সেখানে ময়ূর বাস করবে কোথায়?
তাই এই রহস্যটা শেষ পর্যন্ত পূর্ণ রহস্যই হয়ে রইলো।
থাক না কিছু রহস্য আমাদের ভবিষ্যতের জন্য। তারাই হয়তো বের করে আনবে সত্যটা… ছাই থেকে বেরিয়ে আসবে অমূল্য রতন। কিন্তু যে রতন আমি জড়ো করেছি এই ভ্রমণ থেকে, তা কি দিতে পারবে আর কেউ? এক আল্লাহ ছাড়া আমি সে ভরসা আর কারো উপর রাখতে পারি না।
ভ্রমণ যে কী দিতে পারে, শ্রেফ ভ্রমণকারী বৈ সে কথা আর কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।
(সমাপ্ত)
-মঈনুল ইসলাম
rohossho 1 e amar ektu kotha ase….pisoner motorcycle er headlight er direction upward silo…nd ter znno samner motorcycle er arohider saya bisal dekhassilo…eta zdi true hoi tahole bla zai oi alor znno zekono hotat nme asa pakhir sayao onk boro dekhabe…apner sathe ze bhai silen….tni sra rat motocycle driving kresen… cold night e eye er upor ek dhoroner liquid joma hoi ztake kator bli…so ter chok khub besi kj krtesilo na…esrao physically tired silen… kno shadaron pakhir bisal saya dekhe prokkhone oi pakike dekle brain optical illusion e chole gselo hoito. amra football khelar pr cricket khelle cricket ball khub sto lage, ekhane tr vise versa hoeche… oto boro saya dekhar pr jorano choke uni pakike onk boro dekhesen…pisoner zatrider smprkeo eki kotha bla zai….karon tarao tik same situation e silo.
ছায়া সংক্রান্ত ব্যাখ্যাটা সুন্দর এবং আপাত গ্রহণযোগ্য।চোখে ময়লা সংক্রান্ত ব্যাখ্যাটা যৌক্তিক হলেও বলছি, ঐ সময় আমার চোখে এতো পরিমাণ ময়লা জমেনি যে, আমার দৃষ্টি ঘোলা হয়ে এসেছিলো, যা হ্যালুসিনেশন ঘটাতে পারে। সুতরাং চোখে চশমা পরা শাকিল ভাইয়ের (আমার মোটরসাইকেল চালক) চোখেও ময়লা জমেনি -ব্যাপারটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। তাছাড়া, আমরা পথিমধ্যে আসর এবং মাগরিবের নামাজের জন্য দুবার ওযু করেছি। ময়লা সংক্রান্ত ব্যাপারটা গ্রহণ করতে পারছি না। আর ক্লান্তি, দুর্বল চিত্ত, হ্যালুসিনেশন মার্কা ব্যাখ্যাগুলো contradict approach-এর দিকে টানে বলে আমি সেসব ব্যাখ্যাকে একেবারে শেষে স্থান দিতে চাই। এজাতীয় ব্যাখ্যাগুলো আমি প্রায়ই উচ্চতর বিজ্ঞানমনষ্কতার চিন্তায় প্রায় এড়িয়ে চলি।তারপরও আপনার, ধৈর্য্য ধরে পড়ার এবং যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাই। আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধূসর রংয়ের বড় পাখি … শকুন নাকি ? অামি একবার গ্রামের শ্মশানে বিরাট অাকারের শকুন দেথেছিলাম , যা প্রায় ময়ূরের মতই বড়। হয়ত পাশে কোন শ্মশান ছিল… অাপনার মতামত কি ?
হুম, শকুনের ব্যাখ্যাটা দারুণ মনে ধরেছে। সমস্যা শুধুমাত্র ঐ “নীল” রংটায়। তবে গুগল করে প্রাথমিকভাবে যেটা পেলাম, টার্কি ভালচার-এর গায়ে নীল পালক থাকতে পারে। কিন্তু এরা বাংলাদেশে কোত্থেকে আসবে। আর যদি এরকম কোনো শকুন প্রজাতি ওদিকে থেকেই থাকে, তবে এটা নিশ্চিত, আমরা শকুনের আনকোরা একটি জাত দেখেছিলাম, তাহলে।