অবসরে কী করো?
অবসরে কী করে মানুষ, তা দিয়ে তৈরি হয় তার অন্তঃকরণ। তাই আমি সুযোগ পেলেই মানুষকে প্রশ্ন করি: “অবসরে কী করে তারা…”। তার কারণও আছে…
অবসরে কী করে মানুষ, তা দিয়ে তৈরি হয় তার অন্তঃকরণ। তাই আমি সুযোগ পেলেই মানুষকে প্রশ্ন করি: “অবসরে কী করে তারা…”। তার কারণও আছে…
চান্দা পাড়া থেকে বেরিয়ে ঝরণা দেখার কথা দুইটা… একটা দেখিয়ে বেটা বলে কি, “আমাকে যেতে হবে।” ব্যাটা পয়সাকড়ি বুঝে নিয়ে মানে মানে কেটে পড়লো… অকুল পাথারে পড়লাম।
পাইন্দু হেডম্যান পাড়া থেকে একপ্রকারে বিতাড়িত আমরা বৃষ্টির মধ্যেই পায়দল পরবর্তি পাড়ার উদ্দেশ্যে একাকি রওয়ানা করে বিজিবি ক্যাম্প এড়াতে ফের ঐ পাড়ায়ই ফিরে এলাম। সময়ের সাথে পাল্লা দিতে আমরা বাড়তি দামেই জহির (ছদ্মনাম) মাঝির ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করেই রওয়ানা দিয়েছি পরবর্তি পাড়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু কাল রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি পড়েছে। খালে এসে সেই…
কোমর পানি দিয়ে পাইন্দু খাল পার হয়ে পাড়াবাসীদের একপ্রকারের ঠেলে সরিয়ে দেয়াকে উপেক্ষা করে আমরা আশ্রয় পেয়েছিলাম পাইন্দু হেডম্যান পাড়ায়। রাতভর চললো অঝোর ধারায় বৃষ্টি। সকালেও সেই ধারা অব্যাহত থাকলো। কিন্তু বৃষ্টির প্রস্তুতি না থাকাসত্ত্বেয় এই পাড়াবাসীরা আর আমাদেরকে রাখতে রাজি না। মানে মানে বুঝিয়ে দিয়েছেন কারবারি, আমাদের বেরিয়ে পড়া উচিত। বৃষ্টির মধ্যেই বেরোতে হবে…
পাইন্দু খাল ট্রেক করতে গিয়ে পাহাড়ি ঢল এড়াতে জঙ্গলের সাথে যেভাবে যুদ্ধ করতে হলো, তারপর পথহারা আমরা পথের দিশা পেয়ে এগিয়ে গেলাম একটা পাড়ার দিকে। কোমর পানির স্রোত পেরিয়ে আমরা যখন পাড়ায় পৌঁছলাম, তখন সেই পাড়াবাসীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত আমরা: কোথা থেকে এসেছি? কোথায় যাবো? আমরা এখানে কেন এসেছি? ওদের পাড়ায়ইবা কেন এসেছি? আবু বকরের মতোই আমারও ভ্রু কুঞ্চিত…
রৌদ্র্যোজ্জল শরতের কড়া রোদে পাইন্দু খালের বালুময় প্রান্তরে হাঁটার অভিপ্রায়ে বের হওয়া আমরা চারজন গিয়ে পড়লাম একেবারে পাহাড়ি ঢলে উত্তাল পাইন্দু খালের তোপের মুখে। সেই তোপে পা না দিতে পাশের পাহাড় ধরে চলতে গিয়ে সামনে পড়লো ঘন জঙ্গল। আর সেই ঘন জঙ্গলে ঢুকে বিভিন্ন পথে, বিভিন্নভাবে ঘুরে চেষ্টা করলাম আমরা, কিন্তু ঘন জঙ্গল আমাদের সকল…
ট্রেইলের শুরুতেই বিপত্তি – খাল পানিতে টইটুম্বুর, তাই উঁচু পাড় ধরে এগোনো ছাড়া কোনো গত্যান্তর নেই। সেই উঁচু পাড়ের কাছে গিয়ে থমকে দাঁড়াতে হলো। খাড়া ঢাল নেমে গেছে পানিতে, আর সামনেই ঘন ঝোঁপ। আর বেশি সামনে এগোলে পাড় ভেঙে সোজা পানিতে পড়তে হবে। এতো এতো ঢল যে, ওপাড়ে যাওয়ারও উপায় নেই। তাছাড়া বর্ষার কোনো প্রস্তুতিই আমাদের…
লাতুর ট্রেন — ছোটবেলা নানাবাড়ি যাবার বাহন ছিল এই লক্করঝক্কর মার্কা ট্রেন। এখন আমরা মেইল ট্রেন বলতে যেসব ‘খোদার গরু ধর্মের রাখাল’ ট্রেনকে বুঝি, এই ট্রেন ছিল হুবহু তাই। কিন্তু তখন, এখনকার মতো অহরহ বাস ছিল না, ছিল না জনে জনে মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেট কার। তাই লাতুর ট্রেন ছিল খুব সমাদৃত। একটাই মাত্র ট্রেন, সেটাই চলতো…
একটা পরীক্ষা এখনই করে ফেলুন তো… আপনার আশেপাশে যে-ই আছেন, তাঁকে জিজ্ঞেস করুন, প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের নাম শুনেছেন কিনা? বলবেন, হ্যা। এবার সেগুলোর নাম বলতে বলুন। মোটামুটি নিশ্চিত, তিনি সর্বোচ্চ ৪টার বেশি নাম বলতেই পারবেন না। যিনি ৭টাই পারলেন, তাঁকে আপনি সাধুবাদ দিতেই পারেন। …হ্যা, ঘটনা এটাই, প্রাচীনকালের সপ্তাশ্চর্যগুলোর নাম আমরা সবাই শুনেছি, কিন্তু কেউই আসলে জানি…
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, ক্রিসমাস – এরকম যত জন্মদিবসের উৎসব আছে, সেগুলোর ভিত্তি কী? কবে জন্মেছিলেন যিশু? কবে জন্মেছিলেন মুহাম্মদ [স.]?
আমরা সবাই-ই জানি, নদীর শুরু হয় পাহাড় কিংবা পর্বত থেকে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটা নদী আছে, যার উৎপত্তি হয়েছে একটা কুয়া থেকে।
২০০১ খ্রিস্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েই আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে একটা পাণ্ডুলিপি লিখে রেখেছিলাম। আজ ১৫ বছর পরে, তখনকার চিত্রের সাথে এখনকার চিত্রের যদিও বিস্তর ফারাক, তখন সেলফি ছিল না, ডিজিট্যাল ক্যামেরা ঘরে ঘরে রমরমা হয়নি, মোবাইল ফোন সবার কাছে ছিল না, ঢাকার রাস্তায় গাছ ছিল না; কিন্তু এই বর্ণনায় সবসময়কারই বিদেশ-বিভূঁই-এর কিছু চিত্র উঠে…