একটা ছোট্ট মেয়ের কাহিনী বলি, তার নাম সুযান পোলগার (Susan Polgar), থাকে আমেরিকায়, বংশে হাঙ্গেরীয়-আমেরিকান। এই ছোট্ট মেয়েটা দাবা খেলা জিনিসটাকে দুইচোখে দেখতে পারে না। কিন্তু তার মনোবিজ্ঞানী বাবা ছিলেন নাছোড়বান্দা। তিনি মেয়েকে নিয়ে বসে জোর করে দাবা খেলাতেন। এভাবে খেলতে খেলতে একদিন তিনি সুযানকে নিয়ে গেলেন স্থানীয় একটি চেয ক্লাবে, মানে দাবার সংগঠনে। দাবা খেলার মতো ভারিক্কি খেলা সাধারণত বয়স্করা খেলে থাকেন, তাই ঐ ক্লাবের অধিকাংশ সদস্যই বয়ঃবৃদ্ধ। সুযানকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে তার বাবা তাকে একজন বয়স্ক দাবাড়ুর সাথে বসিয়ে দিলেন দাবা খেলায়। সুযান মনোযোগসহকারে খেলছে। খেলায় যখন প্রতিপক্ষ বৃদ্ধ চেকমেট হয়ে গেলেন, মানে হেরে গেলেন, তখন তিনি শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে উঠে পড়লেন, হারটা মেনে নিলেন না। এরপর আরেকজন এলেন সুযানের সাথে খেলতে। তিনিও একইভাবে শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে নিজের হারকে অদৃষ্টের উপর ছাড়তে চাইলেন। …সেই শুরু।
সুযান এর পর প্রায় সারা জীবনই কাটিয়েছে দাবার সাথে। যেখানেই গিয়েছে, সেখানেই দাবার সাথে ছিল। এমন অনেকের সাথে পরিচয় হয়েছে, যাদের ঘরটাই দাবা, শেলফের বই, দেয়ালে দাবার বোর্ড…মোটকথা এই এত্তটুকুন থেকে দাবার মধ্যেই ডুবে ছিল সুযান। সেই সুযান একসময় বড় হলো আর আজ সে যুক্তরাষ্ট্রের একজন গ্র্যান্ডমাস্টার [বিস্তারিত উইকিপীডিয়া নিবন্ধ^]।
গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাবটা সম্মানের হওয়াসত্ত্বেও আমরা এখানে কেন এতো এতো গ্র্যান্ডমাস্টারকে রেখে সুযানের আলোচনা করছি? কারণ সুযানের কিছু আলাদা বিশেষত্ব আছে। ধরা যাক, আমি আমার ঘরে বসে আছি, আমার সামনে একটা দাবার বোর্ড। দাবার বোর্ডে সাদা-কালো দুপক্ষের গুটি সাজানো। আমি সাদা দল নিয়ে আমার ঘোড়াটা (knight) চাল দিলাম f3-তে এবং সুযানের মোবাইল ফোনে সুযানের সাথে যোগাযোগ করলাম। সুযান তখন আমেরকার টেক্সাসে রাস্তা পার হচ্ছেন। আপনারা জানেন দাবার বোর্ডে নিচের দিকে এবং বামে প্রতিটা ঘরের জন্য নির্দিষ্ট ইংরেজি বর্ণমালার অক্ষর আর সংখ্যা দিয়ে প্রতিটা ঘরকে আলাদা আলাদা করে চেনা যায় অনেকটা মানচিত্রের মতো। তাই দাবার ঘরে প্রতিটা কোঠার আলাদা আলাদা নাম আছে, e5, f3 ইত্যাদি। আমি যখন সুযানকে বললাম ‘সুযান আমার নাইট f3-তে আছে’, তখন সুযান তার সামনে কোনো বোর্ড, গুটি না থাকাসত্ত্বেয়, রাস্তার মধ্যে হাঁটতে থাকাসত্ত্বেয় আমাকে ফোনেই তাঁর কোন গুটি কোথায় চাল দিতে হবে সেটা বলে দিলেন। এভাবে দুজনের চাল দিতে দিতে একসময় দেখা যাবে আমি সুযানের কাছে হেরে গেছি। অথচ সুযান পুরো খেলাটা খেললেন কল্পনায় আর আমি বাস্তবে সামনে বোর্ড, গুটি দেখে। …আশ্চর্য হোননি? তাহলে শুনুন, সুযান এভাবে ফোনের মাধ্যমেই পাশাপাশি (simultaneously) ৫[পাঁচ]টা বোর্ডে চাল দিতে সক্ষম।
সুযান একটা ক্যাফের বাইরের টেবিলে সামনে একটা ফাঁকা দাবার বোর্ড নিয়ে বসে আছেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির গবেষকরা করলেন কি, একটা কার্গো গাড়ির দেয়ালে একটা বিশাল দাবার বোর্ড সেঁটে দিলেন, যেখানে দাবার গুঁটিগুলো উল্টাপাল্টা করে এঘর ওঘরে রাখা। গাড়িটা মাঝামাঝি গতিতে সুযানের সামনে দিয়ে চলে গেলো; সুযান অল্পক্ষণের জন্য বোর্ডটা আর গুঁটির অবস্থান দেখতে পারলেন। এরপর তিনি নিজের সামনে ফাঁকা বোর্ডটা সাজাতে লেগে গেলেন। সাজানোর পরে দেখা গেলো ঐ কার্গোর গায়ে যেখানে যে গুঁটিটা আছে, সুযান এক পলকের দেখায় ঠিক সে সে জায়গায় গুঁটিগুলো সাজাতে পেরেছেন। …সুযানকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির গবেষকেরা নিয়ে গেলেন তাঁর মস্তিষ্কে এমআরআই পরীক্ষা করতে। এমআরআই পরীক্ষা শেষে দেখা গেলো তাঁর মস্তিষ্কের ডান দিকের পিছনের অংশটা খুব বেশি উর্বর, এই অংশটাই তিনি দাবা খেলার কাজে ব্যবহার করেন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের গবেষকেরা তাঁর এই অস্বাভাবিক ক্ষমতার ব্যাখ্যা দিলেন: আমাদের মস্তিষ্ক বা ব্রেনের ভিতরে ইনফরমেশনগুলো পাস করার জন্য বা চলাচলের জন্য আছে খুব সূক্ষ্ম এক ধরণের তারের মতো পরিবাহী। এগুলোকে বলা হয় অ্যাক্সন (axon) আর ডেনড্রন (dendron)। কাজ একই হলেও দেখতে দুরকম বলে এই আলাদা নাম। যাই হোক, এই অ্যাক্সন আর ডেনড্রন যেখানে এসে একটা আরেকটার সাথে যুক্ত হয়, ঐ জায়গাটাকে, মানে জোড়াটাকে বলে সিন্যাপ্স (synapse)। সোজা বাংলায় এই সিন্যাপ্স দিয়ে আমাদের ব্রেনের ভিতরে সব তথ্য-উপাত্ত চলাফেরা করে বৈদ্যুতিক পাল্সের মাধ্যমে, অনেকটা বৈদ্যুতিক তারের ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের মতো। যখনই সুযান দাবা সংক্রান্ত একটা চিন্তা করতেন, তখনই তাঁর ব্রেনের যে সিন্যাপ্সটা দিয়ে (আসলে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ সিন্যাপ্স দিয়ে) দাবার বৈদ্যুতিক প্রবাহটা যেত, সেটা দিয়ে আরেকটা বৈদ্যুতিক প্রবাহ চলে যায়।
ঘটনা এখানে না; ঘটনা অন্য জায়গায়। সুযান তাঁর ঐ সিন্যাপ্সের উপরে যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছেন একটার পর একটা দাবা সংক্রান্ত চিন্তা বা তথ্য দিয়ে, তাতে ঐ সিন্যাপ্সের বারোটা বেজে গেছে। ঐ সিন্যাপ্সে ডাটা বা উপাত্তের জট লেগে গেছে। ধরা যাক, একটা রাস্তায় একটা মাত্র ব্রিজ, আর দুপাশে যানজট লেগে আছে। তখন যদি আমি ওখানে আরেকটা ব্রিজ বানিয়ে দিতে পারি, তাহলে কিছু গাড়ি বাইপাস সড়ক ধরে দুটো ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে পারবে, জ্যামটা দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যাবে। সুযানের ব্রেনও একই কাজ করলো। তাঁর ব্রেনের ঐ সিন্যাপ্সটা তথ্যের জ্যাম কমাতে পাশ দিয়ে আরেকটা সিন্যাপ্স তৈরি করে নিলো। এই যে নতুন সিন্যাপ্সটা তৈরি হলো, এটা স্থায়ী সিন্যাপ্স। এই সিন্যাপ্সটা তখনই তৈরি হয়, যখন কোনো সিন্যাপ্সের উপর তথ্যের জ্যাম লেগে যায়। এভাবেই সুযানের ব্রেনে দাবা সংক্রান্ত অনেক স্থায়ী সিন্যাপ্স তৈরি হয়ে গেছে, যা তাঁকে এনে দিয়েছে এই জিনিয়াসনেস। …সুযানের গল্প শেষ। এই পর্যন্ত তথ্যগুলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ইউরোপীয় চ্যানেলের “My Brilliant Brain” অনুষ্ঠান থেকে নেয়া।
এবার আমি আপনাকে একটা ঘটনা বলি: একটা গাছ তৈরি হয় কী থেকে? …একটা মাত্র বীজ থেকে। বীজ থেকে প্রথমে কাণ্ড, তারপর শাখা, তারপর প্রশাখা, তারপর পাতা, সেই পাতায় শিরা, উপশিরা, এমনকি আমি দেখেছি সেই উপশিরারও উপউপশিরা… কত সময়সাপেক্ষ একটা ব্যাপার। এখন যদি আমি আপনাকে বলি, এই পুরো ব্যাপারটা ঘটবে এক সেকেন্ডের কয়েক ভাগের এক ভাগে, মানে চোখের পলকে, তাহলে ব্যাপারটা কী ঘটবে? আমি একটা বীজ মাটিতে ফেললাম, আর সাথে সাথে ভুষ! পুরো একটা আস্ত গাছ, শাখা-প্রশাখা, শিরা-উপশিরা-উপউপশিরা সব হয়ে গেছে।
ঠিক এই ব্যাপারটাই ঘটে আমাদের মস্তিষ্কে, যখন আমরা কোনো কিছু দেখি, কোনো কিছু শুনি, বলি, কিংবা অনুভব করি…। সাথে সাথে ঐ বিষয় সংক্রান্ত সিন্যাপ্স দিয়ে একটা বৈদ্যুতিক প্রবাহ চলে যায় খুব দ্রুত। যখনই আমি বললাম “মা”, তখনই আমার মস্তিষ্কে যত জায়গায় “মা” শব্দটি রাখা আছে, তার সাথে সংযুক্ত সিন্যাপ্স দিয়ে একটা বৈদ্যুতিক প্রবাহ চলে যাবে। অনেকটা Google-এর মতো, “Mom” লিখে সার্চ দিলে যত জায়গায় এই লেখাটি পাবে, তত জায়গায় সংযোগ ঘটাবে। আমাদের মস্তিষ্কেও একই প্রক্রিয়ায় সিন্যাপ্স দিয়ে কানে আসা, চোখে দেখা, অনুভব করা বিষয়সংশ্লিষ্ট তথ্যে সংযোগ ঘটায়। তাহলে যে বিষয়টা আমরা বেশি দেখবো, বেশি শুনবো, বেশি বলবো, বেশি অনুভব করবো, আমাদের মস্তিষ্কের ঐ বিষয়সংশ্লিষ্ট সিন্যাপ্স দিয়ে তত বেশি বৈদ্যুতিক প্রবাহ যাবে। আর এভাবে জ্যাম লাগলেই গড়ে উঠবে স্থায়ী সিন্যাপ্স।
কথা হলো, স্থায়ী সিন্যাপ্সগুলো যদি হয় “মা”-জাতীয় ভালো তথ্যের ক্ষেত্রে, তাতে তো কোনো দোষ নাই। কিন্তু যদি হয় “দুর্নীতি”, “সন্ত্রাস”, “খুনাখুনি”, “হানাহানি”-জাতীয় বাজে শব্দের সিন্যাপ্স? তবে মাথার মধ্যে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিবে এইসব বাজে শব্দ, বাজে অভ্যাসে চালিত করবে সেগুলো। তাতেও ক্ষতি হতো না, যদি এইসব স্থায়ী সিন্যাপ্সের ফলাফল শ্রেফ নিজের মাঝেই থেকে যেতো আর মৃত্যুর সময় সাথে করে চলে যেতো। সমস্যা হলো স্থায়ী এইসব তথ্য সন্তানের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পরবর্তি প্রজন্মেও, কিছুটা অথবা অনেক প্রবলভাবে। এখানে বলে নিই, সুযানের ছেলেও আমেরিকার ইন্টার-স্কুল চেয চ্যাম্পিয়ন।
তাহলে এবারে বলুন, টিভিতে যত বেশি রাজনীতিক প্যাঁচাল দেখানো হবে, দর্শকদের মধ্যে তত বেশি রাজনৈতিক স্থায়ী সিন্যাপ্স তৈরি হবে কিনা? যত বেশি “ক্রাইম ওয়াচ” দেখানো হবে, তত বেশি ক্রাইম জায়গা করে নিবে কিনা? যত বেশি ছাত্রদল-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ দেখাবে, তত বেশি খুনাখুনি, হানাহানি জায়গা করে নিবে কিনা? যত বেশি খ্যামটা নাচ, ননক্রিয়েটিভ কাজ দেখাবে, তত বেশি ননক্রিয়েটিভ, যৌনলিপ্সুতা জায়গা করে নিবে কিনা?
তাই আমাদের উচিত শ্রেফ ভালো’র কথা বলা। খারাপ আছে, থাকবে; খারাপকে গোপন করতে শিখতে হবে। যে খারাপ, তাকে কানে কানে বোঝাতে হবে, ওটা খারাপ। জনসমক্ষে খারাপকে খারাপ বলাতেও ভালো প্রভাব পড়বে না; মস্তিষ্কে ঐ খারাপের সিন্যাপ্স দিয়ে একটা বৈদ্যুতিক পাল্স চলে যাবে ঠিকই। …এমনকি ইসলাম ধর্মেও মুসলমানের দোষকে ঢেকে রাখার তাগিদ দেয়া হয়েছে, বলা হয়েছে, “যে মুসলমান অপর মুসলমানের দোষ ঢেকে রাখে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাঁর দোষ ঢেকে রাখবেন।” ব্যাপারটা কতটা গভীর তা বোঝাতে ইসলামী আইনজ্ঞরা (মুফতি) বলেন: কোনো মুসলমান যদি প্রকাশ্যে এশার কা’যা নামাজ আদায় করেন, তখন বিতরের নামাযের কা’যায় অতিরিক্ত তাকবিরের সময় হাত না উঠিয়ে মনে মনে তাকবির বলে নিলেই চলবে। কারণ পাশে বসা আরেকজন ব্যক্তি যদি ফজরের বা জোহরের নামাযের সময় কাউকে নামাযের মাঝখানে হাত উঠিয়ে অতিরিক্ত তাকবীর বলতে দেখেন, তবে বুঝে যাবেন এই ব্যক্তি নামাযে ডিফ’ল্টার। নিজের অপারগতার, অক্ষমতার এতটুকু ছোঁয়াও যেন পাশের ব্যক্তির উপর না পড়ে, ইসলাম সেই কথাটিই বলতে চেয়েছে; যাতে একটা বাজে চিন্তা সংশ্লিষ্ট সিন্যাপ্স দিয়ে একটা বৈদ্যুতিক প্রবাহ কম যায়।
আমরা আজ থেকে শ্রেফ ভালোর কথা বলবো, ভালোর গান গাইবো। খারাপ কথা কাউকে বলতে দিবো না, নিজে বলবো না, চলতে থাকলে থামিয়ে দিবো, থামানো না গেলে সরে পড়বো। ভালো ভালো ভালো ভালো ভালো ভালো…প্রচুর ভালোর মাঝখানে থাকলেই আমার মাথায় স্থায়ী সিন্যাপ্সগুলো “ভালো” হবে।
জ্ঞানের কথা বাড়িয়ে না দিলে আমরা জ্ঞানের পথে এগোব না।
-মঈনুল ইসলাম
“My Brilliant Brain” অনুষ্ঠানটি National Geographic-এর ইউরোপীয় সাবটেরিটরির চ্যানেলে প্রচারিত হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুন।
THIS IS HONESTLY A NICE MATTER TO KNOW AND ALSO TO UPGRADE OUR KNOWLEDGE INNERLY. THANK YOU. CAN I POST RELATED TOPICS HERE? OR ONLY YOU CAN POST?
ধন্যবাদ। এই ব্লগটি একটি ব্যক্তিগত ব্লগ, তাই একজন পাঠক/পাঠিকা হিসেবে আপনি মন্তব্যই শুধু করতে পারেন, আমি দুঃখিত। অথবা সংশ্লিষ্ট লেখকের সাথে যোগাযোগ করে আপনার বিষয়-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। তবে, মন্তব্যের উত্তম স্থান, আমার মতে সংশ্লিষ্ট ব্লগের মন্তব্য অংশই হওয়া উচিত। তাতে একই বিষয়ে লেখক-পাঠকের বক্তব্য এক জায়গায় থাকে। ধন্যবাদ।
>you have given 10/10. coz u r right. its me.
AWESOME!!! amar mone hoi just ei theme ta Bangladesh er manuser modhdhe 1 bar bujhano jaai, then hoito oneeek boro 1 ta change ashbe.
Thanx a lot my friend, well done!!
ধন্যবাদ নাকিব, আমার ভিতরের কথাটা বুঝাতে পেরে ভালো লাগছে। তুই অবশ্য এমনিতেই বুঝিস। যাই হোক, তোর বক্তব্যের সাথে আমি একমত।
ato! ato!! ato!!! valo laglo ja bojate chaina. r akta kotha ALLAH amader sonmaner proti atota srodhasil kolponai kora jayna!!!!!!!!!!!!!!