প্রশ্ন: আমি কি আমার ল্যাপটপটা পরিবেশবান্ধবভাবে চার্জ করতে পারি, যেমন: সূর্যালোক দিয়ে?
উত্তর: অবশ্যই, সবচেয়ে ছোটখাটো যে সৌরচার্জার আমরা পাই, তা দিয়েই ২৬ ওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, যা এনার্জি স্টার^ চিহ্নিত নয় এমন ম্যাকিনটোশ ও বহনযোগ্য পিসি চার্জ দেবার জন্য যথেষ্ট।
প্রশ্ন: কাঁথা-কম্বল বানাতে পলিস্টার নাকি অ্যাক্রিলিক সুতা ব্যবহার করা পরিবেশবান্ধব হবে?
উত্তর: পরিবেশবান্ধব পথ মানেই প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপন্ন, বর্জ্য পুণঃচক্রায়ণ (recycle) সম্ভব এমন সামগ্রী ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত; যেমন: প্রাকৃতিক তুলা (কার্পাস, শিমুল ইত্যাদি)। কিন্তু যদি কৃত্রিম সুতা ব্যবহার করতেই হয়, তবে সেটা অবশ্যই পলিস্টার, অনেকটা দুই শয়তানের মধ্যে কম ক্ষতিকারক শয়তানকে গ্রহণ করা।
প্রশ্ন: যেসব যন্ত্রপাতি ‘ফ্যান্টম শক্তি’ (Phantom Energy) ব্যবহার করে সেগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর: প্রথমেই জেনে নেয়া যাক ‘ফ্যান্টম শক্তি’টা আসলে কী? আমাদের ঘরের অনেক যন্ত্রপাতি, আমরা বন্ধ করে দেবার পরও ঠিকই জ্যান্ত থাকে। মোবাইল ফোনের চার্জার, ডিজিটাল ক্যামেরা, ডিজিটাল ঘড়ি, রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রীত বৈদ্যুতিক সামগ্রি ইত্যাদি; টেলিভিশন, কম্পিউটার মনিটর, ডিভিডি প্লেয়ার ইত্যাদি সুইচ বন্ধ করে দেবার পরও বিদ্যুৎ গ্রহণ করতে থাকে, যদিনা প্লাগটা সকেট থেকে খুলে নেন। এই ফ্যান্টম শক্তি ব্যবহারকারী যন্ত্রপাতিগুলো আমাদের বিদ্যুত বিল ৫% বাড়িয়ে দেয়, যা বছরে ৳৫,৬০০ (পাঁচ হাজার ছয়শত টাকা) পর্যন্ত অযাচিত ব্যয় সৃষ্টি করে। এ থেকে রেহাই পাবার একমাত্র উপায় যন্ত্রটি বন্ধ করে দেবার পরও প্লাগটা খুলে রাখা… তাই প্রশ্ন হলো এভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে কি যন্ত্রটার কোনো ক্ষতি হয়? উত্তর হলো, না, ক্ষতি হয় না।
প্রশ্ন: একটা মোবাইল ফোন মাটিতে মিশে যেতে কতদিন লাগে?
wz.islam@gmail.com