প্রেক্ষিত: ২২ জুলাই ২০০৯ ও ১৫ জানুয়ারি ২০১০
২১ জুলাই ২০০৯ আমরা অবস্থান গ্রহণ করি ঢাকা’র আশকোনায় আমার বাসার ছাদে, ভোর ৬টা ৫১মিনিটে। আমরা বলতে, আমি (আয়োজক: অত্যুৎসাহী), বন্ধু নাকিব (ক্যামেরা’র মালিক: ঘুমানোটাই বেশি আনন্দের), বন্ধু স্মরণ (পর্যবেক্ষক: ‘তোরা না দেখলে দেখতাম না’)। আমরা আমাদের নিজেদের জন্য সংগ্রহ করেছি এক্স-রে প্লেট (যদিও ওগুলোও নিরাপদ নয় বলে জেনেছি)। ক্যামেরার ল্যান্সের সামনে বসানোর জন্য গোল করে কেটে নিয়েছি কয়েক টুকরা এক্স-রে ফিল্ম, স্কচটেপ দিয়ে তা লাগিয়ে নিয়েছি ক্যামেরা’র ল্যান্সে। যাহোক ছবিগুলো দেখুন। এখানে মাত্র ৪টা ছবি দেয়া হলো:
এবারে, একটু হিসাব-নিকাশ: আমাদের অবস্থান থেকে উপরের ডানদিক থেকে গ্রহণ শুরু ভোর ৬:৫৯। আমি তখনই প্রথম স্ন্যাপটা নিই। তারপর গড়ে ৮মিনিট পরপর শার্টার পড়তে থাকে আমার। অবশ্য গ্রহণ চলাকালীন সময় থেকে আরো তাড়াতাড়িই পড়ে। আমাদের অবস্থানে আংশিক [পূর্ণ]গ্রাস হয় ভোর ৭:৫৯। গ্রহণ শেষ আমরা দেখতে পারিনি মেঘের জন্য। তবে সর্বশেষ গ্রহণ-ছবি নিই ৮:৫৬। আমাদের ক্যাম্প পরিত্যাগ করি সকাল ০৯:০৫।
এই ছবিগুলোসহ আমাদের তোলা। আরো ছবি ও পর্যবেক্ষণ বৃত্তান্ত পাওয়া যাবে আমার অনলাইন ড্রাইভে^।
এই গ্রহণটা ছিল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, যা পঞ্চগড় থেকে দেখা গিয়েছিল। সুখের কথা হলো আরেকটা গ্রহণ খুব শিগগিরই দেখা যাবে, তবে সেটা হবে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হলো, সূর্য আরো কিছুটা কাছে চলে আসবে, ফলে চাঁদ ঠিক মাঝখান দিয়ে পার হলেও (যেমনটা পূর্ণগ্রাসের সময় হয়) সূর্যকে পুরোপুরি আড়াল করতে পারবে না, চাঁদের চারপাশে সূর্যের একটা অবয়ব বা বলয় বা রিং দেখা যাবে। পুরোপুরি দেখা যাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত থেকে। এবিষয়ে বাংলাদেশের কৃতি মহাকাশ পর্যবেক্ষক নাঈমুল ইসলাম [অপু] প্রথম আলোতে বিস্তারিত লিখেছেন। তাঁর লেখাটি পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়^।