রহস্যময় পাণ্ডুলিপি

কদিন পরপরই অদ্ভুত সব খেয়াল চেপে বসে বোহেমিয়ার রাজা দ্বিতীয় রুডল্‌ফের মাথায়। একবার রাজার মাথায় কী ভূত চাপলো, দুনিয়ার সব বেঁটেখাঁটো বামনদের নিয়ে রীতিমতো এক যুদ্ধবাজ বাহিনী গড়ে ফেললেন তিনি। কদিন পরেই আবার উল্টো কাণ্ড: এবার রাজার খায়েশ দৈত্যাকৃতির মানুষদের নিয়ে সেনাদল গড়ার। এমন অদ্ভুত সব বাতিক ছাড়াও দুর্বোধ্য সব ধাঁধা, সংকেত, গুপ্তভাষা এসব কিছুতে রাজার আগ্রহ ছিলো বাড়াবাড়ি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঁয় বসে ওসব খটমটে বিষয় নিয়ে মাথা ঘামিয়ে ভীষণ সুখ পেতেন রুডল্‌ফ। তাঁর এই গুপ্তভাষা আর সংকেতপ্রীতির কথা টের পেয়েই কিনা জানিনা, একদিন রুডল্‌ফের দরবারে কোথা থেকে অজানা, অচেনা এক আগন্তুক এসে হাজির। রাজার কাছে পুরোনো এক পাণ্ডুলিপি বিক্রি করতে চায় সে। রাজা দাম জানতে চাইলে আগন্তুক তিনশ’ স্বর্ণমুদ্রা (ডুকাট) দাম হাঁকলো। দাম শুনে তো আক্কেল গুড়ুম, বলে কি এই ব্যাটা? অনেক দরকষাকষি চললেও আগন্তুকের এক কথা, তিনশ’ স্বর্ণমুদ্রাই তার চাই। স্রেফ লোকটার এই গো-ধরা স্বভাবটাই ভিতরের খচখচানিটাকে জাগিয়ে তুললো রাজার। কৌতুহল দমাতে না পেরে কিনেই ফেললেন পাণ্ডুলিপিটা। কয়েক পাতা উল্টোতে না উল্টোতেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন তিনি। অসম্ভব, এই কিতাব কি এই বিশ্ব ব্র‏হ্মাণ্ডের কারো লেখা! বইয়ের পাতায় পাতায় রঙিন কালিতে আঁকা অদ্ভুত সব গাছপালা, ফুল, লতাপাতা। এক দেখাতেই বলা যায়, আর যাই হোক এই দুনিয়ার গাছগাছালি নয় সেগুলো। কোনো পাতায় চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-নক্ষত্রের বিচিত্র সব ছবি, কোথাও আজব এক রাশিচক্র। আবার কোনো পৃষ্ঠায় বিবসনা নারী-পুরুষের ছবি। জীবনে অনেক গুপ্ত ভাষার রহস্যের কিনারা করেছেন তিনি। কিন্তু এই বইয়ের ভাষা সেগুলোর কোনোটার ধারেকাছে দিয়ে যায় না। হাজার চেষ্টা করেও বইটার মাথামুণ্ডু কিছু বুঝতে না পেরে শেষে হাল ছেড়ে দিলেন রুডল্ফ। এবং অবাক করা ঘটনা হচ্ছে: সেই ১৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের পাগলাটে রাজা হিসেবে খ্যাত বোহেমিয়ার দ্বিতীয় রুডল্ফ (১৫৫২-১৬১২) তো ননই, হাজার মাথা ঘামিয়েও আজতক তামাম দুনিয়ার কোনো গবেষকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি চিররহস্যে ভরা এই পাণ্ডুলিপির সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার। আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে আজ অবধি ভয়নিক পাণ্ডুলিপি দুনিয়ার চির অমিমাংসিত এক রহস্যের নাম। বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেইনিকি দুর্লভ পাণ্ডুলিপি লাইব্রেরিতে রক্ষিত এই মধ্যযুগীয় পাণ্ডুলিপিকে এখন বলা হচ্ছে দুনিয়ার দুর্বোধ্যতম পাণ্ডুলিপি।

ভয়নিক পান্ডুলিপি: বোটানিক্যাল বিভাগের একটি পাতা (সংগ্রহ: venganza.org)
ভয়নিক পাণ্ডুলিপি: বোটানিক্যাল বিভাগের একটি পাতা (সংগ্রহ: venganza.org)

পাণ্ডুলিপির পয়লা হদিস

আধুনিককালে নতুন করে এই পাণ্ডুলিপির হদিস পাওয়া যায় ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে। মার্কিন প্রাচীন পুস্তক সংগ্রাহক ও বিক্রেতা উইলফ্রেড এম. ভয়নিক এটির খোঁজ পান। রোমের কাছাকাছি ফ্রাসকাতি এলাকার মনদ্রাগন ভিলার বহু পুরোন পাণ্ডুলিপির মধ্য থেকে এটিকে উদ্ধার করেন উইলফ্রেড এবং তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে মিল রেখেই এটির নাম হয়ে যায় ভয়নিক পাণ্ডুলিপি। পাণ্ডুলিপির ক্যালিগ্রাফি (নকশা করে লেখা), আঁকা চিত্রের ধরণ, ভেড়ার চামড়ার কাগজ এবং ব্যবহৃত রঞ্জক পদার্থ থেকে উইলফ্রেড ভয়নিক অনুমান করেন ত্রয়োদশ শতকের শেষের দিককার কোনো সময়ে লেখা হয়েছে এই পাণ্ডুলিপি। তবে এবিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যায়নি কিছু। অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা পঞ্চদশ-সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে ইউরোপে তৈরি হয়েছে এই পাণ্ডুলিপি। শোনা যায়, পাণ্ডুলিপির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া একটি চিঠিতে লেখা ছিল এই পাণ্ডুলিপির স্রষ্টা ত্রয়োদশ শতকের ইংরেজ জ্যোতির্বিদ রজার বেকন (১২১৪-১২৯২)। নানা হাত ঘুরে একসময় এটির মালিক হন রাজা রুডল্‌ফ। পরে কোনো না কোনোভাবে এই পাণ্ডুলিপি চলে আসে তার বাগান পরিচালক জেকোবাস ডি. টিপিনেজের কাছে। ১৬৪৪ সালে অজ্ঞাত পরিচয় একজনের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাণ্ডুলিপির মালিক হন প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর জোহান্স মার্কাস মার্সি। রহস্যময় এই পাণ্ডুলিপির কথা আগে থেকেই জানতেন তিনি। তাঁর হাতে পৌঁছামাত্র তিনি দেরি না করে রোমের যাজক ও পন্ডিত এথানাসিয়াস কিরশারের কাছে পাণ্ডুলিপিটি পাঠোদ্ধারের জন্য পাঠিয়ে দেন। ধারণা করা হয়, এই রোমে এসেই লাপাত্তা হয়ে যায় এই পাণ্ডুলিপি। আগেই বলেছি ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এসে এটিকে আবার খুঁজে পান ভয়নিক। ভয়নিকের হাতে আসার সময়েই ওই পাণ্ডুলিপির সঙ্গে সংযুক্ত মার্সির লেখা চিঠিতে লেখা ছিল এর সম্ভাব্য লেখক রজার বেকন। এরপর নানা হাত ঘুরে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে পাণ্ডুলিপিটি কিনে নেন নিউইয়র্কের প্রত্নসংগ্রাহক এইচ. পি. ক্রাউস। সে সময়ই ২৪,৫০০ ডলারে এটি কিনেছিলেন ক্রাউস। পরে তিনি এর দাম হাঁকেন ১,৬০,০০০ ডলার কিন্তু সেসময় কেউ কিনতে রাজি না হওয়ায় হতাশ ক্রাউস ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে এটি দান করে দেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেইনিকি রেয়ার বুক লাইব্রেরিতে। এখন পর্যন্ত সেখানেই আছে ওটা।

ভয়নিক পান্ডুলিপি: একপাতার ভিতরে ভাঁজ করা তিন পাতা (সংগ্রহ: bibliotecapleyades.net)
ভয়নিক পাণ্ডুলিপি: একপাতার ভিতরে ভাঁজ করা তিন পাতা (সংগ্রহ: bibliotecapleyades.net)

এ বড় আজব পাণ্ডুলিপি

ভয়নিক পাণ্ডুলিপি আকারে ছোট, মাপ ৬ ইঞ্চি বাই ৯ ইঞ্চি। প্রতিটি পৃষ্ঠাই বেশ পুরু। এই পাণ্ডুলিপির মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৪৬। পাণ্ডুলিপিটি এমন এক ভাষায় লেখা, যে ভাষার সাথে পৃথিবীর কোনো ভাষারই মিল নেই, এবং এই ভাষার কোনো বই বা পাণ্ডুলিপিও এপর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রায় প্রতিটি পাতাতেই আছে রঙচঙে সব ছবি, অলঙ্করণ আর লেখা। এই পাণ্ডুলিপির ২১২ পৃষ্ঠাজুড়ে আছে ছবি এবং লেখা, বাকি পৃষ্ঠাগুলোতে শুধুই হস্তলিপি। ভেতরের চিত্রকলাগুলো আঁকা হয়েছে লাল (R), নীল (B), বাদামি, হলুদ ও সবুজ (G)- এই পাঁচ রঙ দিয়ে।

এই পাণ্ডুলিপিতে যেসব বস্তুর ছবি আঁকা আছে সেগুলো হচ্ছে, অপরিচিত নাম না জানা গাছগাছালি, লতাপাতা (সম্ভবত কোনো ভেষজ ওষুধ তৈরির নিয়মাবলী)। বাথটাবে জলক্রীড়ায় মত্ত উদোম গায়ের নারী (বাথটাবের সঙ্গে সংযুক্ত জড়ানো প্যাঁচানো নলগুলোকে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো দেখায় অনেকটা)। রহস্যময় সব সারণী বা তালিকা এবং সেগুলোর আশেপাশে বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের ছবি (টেলিস্কোপের বা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মধ্য দিয়ে দেখলে যেভাবে দেখা যায়)। কিছু জীবন- দেহকোষ (মাইক্রোস্কোপের বা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ভিতর দিয়ে দেখলে যেমনটা দেখা যায়)। আস্তাকুঁড়ের মাঝে বসে থাকা অর্ধ-উলঙ্গ পুরুষ মানুষ এবং অদ্ভুত কিছু রাশিচক্র।

মোটামুটি পাঁচভাগে ভাগ করা হয়েছে পুরো ভয়নিক পাণ্ডুলিপিকে। ছবি, লেখা মিলিয়ে প্রথম এবং সবচেয়ে বড় অংশটির আকার ১৩০ পৃষ্ঠা: বোটানিক্যাল বিভাগ। দ্বিতীয় ভাগ ২৬ পৃষ্ঠা: জ্যোতির্বিদ্যা বিভাগ। তৃতীয় ভাগ ২৮ পৃষ্ঠা: জীববিদ্যা বিভাগ। চতুর্থ ভাগ: ওষুধপত্র সংক্রান্ত। শেষ ভাগকে অনুমান করা হয় শব্দের বিভিন্ন ব্যাখ্যা বা নির্দেশনা অংশ হিসেবে। ২৩ পৃষ্ঠা জুড়ে এই বিভাগের প্রতিটি প্যারা শুরু হয়েছে তারকা চিহ্ন দিয়ে। পঞ্চম এবং শেষ বিভাগে আছে বেশ কিছু নির্দেশনা এবং টীকা। এ-তো গেলো এতোদিনে গবেষকদের হাজার মাথা ঘামানোর ফলাফলের কথা। কম্পিউটার বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে আরো চমকপ্রদ কিছু তথ্য। কম্পিউটার বলছে, আদতে একই ভাষার মতো দেখালেও গোটা পাণ্ডুলিপিটি রচনায় অনুসরণ করা হয়েছে দুই ধরণের ভাষারীতি। হস্তলিপি বিশারদরা এই দুটি ভাষার নাম দিয়েছেন ‘ভয়নিক এ’ এবং ‘ভয়নিক বি’। কম্পিউটার বিশ্লেষণে দেখা গেছে ভয়নিক টেক্সটের এনট্রফি (হস্তলেখা বোঝার একটি সংখ্যাবাচক পরিমাপক) অধিকাংশ মনুষ্য ভাষার তুলনায় বেশ খানিকটা নিচু।

রহস্যের ঘোলাজল

কম জল ঘোলা হলো না, কিন্তু লাভও তো হলো না। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো এই পাণ্ডুলিপির ভাষার রহস্য উদ্ধার করতে পারার ঘোষণা দিয়ে সাড়া ফেলে দেন উইলিয়াম রোমানি নিউবোল্ড। তিনি জানান, ভয়নিক পাণ্ডুলিপি আসলে রজার বেকনের জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক গবেষণার ফলাফল। তিনি দাবি করেন, সে সময়ই টেলিস্কোপ এবং মাইক্রোস্কোপ ব্যবহারের কায়দা-কানুন জানতেন রজার বেকন। অথচ সেই ত্রয়োদশ শতকে কোষের জটিল গতি-প্রকৃতি এবং মহাশূণ্য সম্বন্ধে কারোরই এত স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা খুবই অস্বাভাবিক। রোমানির মতে, ওই সময়ে রজার বেকন এনড্রোমিডা‌ নক্ষত্রপুঞ্জ এবং দেহকোষের যে নিখুঁত ছবি এঁকেছিলেন তা শুধু জ্যোতির্বিদ্যা এবং জীববিদ্যায় অসাধারণ দখল থাকলেই সম্ভব।

১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যাবিশারদ হিউ ওনিল দাবি করেন, ভয়নিক পাণ্ডুলিপিতে আঁকা ছবিগুলো আদতে নিউ ওয়ার্ল্ড প্রজাতির গাছগাছালির ছবি। তিনি এর মাঝে দুই ধরণের গাছকে আমেরিকান সূর্যমুখী ও লাল গোলমরিচের গাছ বলে বিশেষভাবে সনাক্ত করেন। তিনি অভিমত দেন, এই সূর্যমুখী হচ্ছে সেই সময়কার, যখন কলাম্বাস ইউরোপে প্রথম সূর্যমুখীর বিজ নিয়ে এসেছিলেন। এর অর্থ দাঁড়ায় ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দের কোনো এক সময় লেখা হয়েছিল এই পাণ্ডুলিপি। কিন্তু ওনিলের ব্যাখ্যায় গলদ আছে। আসল গোলমরিচ ও সূর্যমুখীর সঙ্গে রঙসহ অনেকাংশেই অমিল ভয়নিক পাণ্ডুলিপিতে আঁকা গোলমরিচ ও সূর্যমুখীর।

ভয়নিক পাণ্ডুলিপি নিয়ে গবেষণাকারী অপর দুই ব্যক্তি হচ্ছেন ডব্লিউ ফ্রিডম্যান আর জে. টিল্টম্যান। কোনো নির্ভরযোগ্য ভিত্তি ছাড়াই এই দুই সংকেতবিশারদ সিদ্ধান্তে পৌঁছান, ভয়নিক পাণ্ডুলিপির ভাষা আসলে কৃত্রিমভাবে তৈরি একটি ভাষা। কিন্তু এই ধারণার সমস্যা হচ্ছে, তারা যে ধরণের কৃত্রিম ভাষার কথা বলছেন সে ভাষার জন্মই হয়েছে আজ থেকে মাত্র শ’খানেক বছর আগে। এই পাণ্ডুলিপির বয়সের সঙ্গে যার অনেক ফারাক।

অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক সময়ে সত্তরের দশকে এসে এই পাণ্ডুলিপি সম্বন্ধে বেশ কয়েকটি নতুন ধারণার কথা জানান প্রেসকট কুরিয়ার। এই প্রেসকটই ওয়াশিংটনে এক সিম্পোযিয়ামে তাঁর বক্তব্যে প্রথম জানান, এই পাণ্ডুলিপি লেখা হয়েছে আসলে দুই ভাষায় এবং হাতের লেখার ধরণ বিশ্লেষণ করে তিনি সিদ্ধান্তে আসেন, পাণ্ডুলিপিটি আসলে একাধিক ব্যক্তির লেখা। প্রেসকট প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, শুধু দুজনের নয় পাঁচ বা আটজন মানুষের হাতের লেখাও এই পাণ্ডুলিপিতে থাকতে পারে।

ভয়নিক পাণ্ডুলিপির রহস্য উন্মোচনের জন্য এরকম অনেক গবেষকই আদা-জল খেয়ে লেগে আছেন আজ অবধি। কিন্তু পুরোপুরি সফল হতে পারেননি কেউই। আবার এটিকে স্রেফ মধ্যযুগীয় একটি হেঁয়ালি বা ধাপ্পাবাজি হিসেবে বিবেচনা করেন এমন গবেষক পণ্ডিতের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।

:: সমাপ্ত ::

[তথ্য সংগ্রহ: দৈনিক প্রথম আলো, অন্য আলো, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ; ‘রহস্যময় পাণ্ডুলিপি’, ইকবাল হোসাইন চৌধুরী]

এতটুকু পর্যন্ত পুরো লেখাটিতে জনাব ইকবাল হোসাইন চৌধুরী’র লেখা প্রায় হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। ন্যূনতম কিছু পরিবর্তন ছাড়া আমি আর হাত লাগাইনি। লেখকের এই লেখাটি বেছে নেয়ার কারণটা হলো, এখানে পুরো বিষয়টির একটি সার-সংক্ষেপ আছে।

আরো বিস্তারিত জানতে রয়েছে ইন্টারনেটের প্রচুর সোর্স। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে হলে লাগবে ইংরেজি বানান। তাই আমি শ্রেফ ইংরেজি বানানটা দিলাম: Voynich manuscript। যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে বানানটা বসিয়ে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন বিস্তারিত। আমি চাই একজন বাংলাদেশীই প্রথম উন্মোচন করুক এর রহস্য।

সেই সাথে আরেকটা চমক দিই: আপনি পুরো ভয়নিক পাণ্ডুলিপিই ডাউনলোড করে নিতে পারেন ইন্টারনেট থেকে, পিডিএফ ফরম্যাটে, এখান থেকে: http://awesta.sibirjak.ru/files/Voynich.pdf। পুরো বইটির আকার ৫৩.৬ মেগাবাইট। বেশি সময় লাগবে না নামতে! সবচেয়ে বড় কথা এই বইটি দেখতে পারাইতো অনেক বড় অভিজ্ঞতা।

– মঈনুল ইসলাম

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল প্রকাশ করা হবে না

আপনি এই HTML ট্যাগ এবং মার্কআপগুলো ব্যবহার করতে পারেন: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

*