বান্দরবান ভ্রমণ ২০১১ : পর্ব ২

রাতেই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, এদেরকে নিয়ে বগা লেকে যাওয়া যাবে না। বন্ধু সাকিবকে ফোনে জানালাম সিদ্ধান্তের কথা, সেও সায় দিল। এরকম পিছুটান নিয়ে কোনোভাবেই দুর্গম ভ্রমণে যাওয়া ঠিক হবে না, কারণ বগা লেক ভ্রমণে অনে-ক কষ্ট করতে হবে, চার-পাঁচটা পাহাড় ডিঙানো লাগবে, কম কথা না।

যেহেতু একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, তাই বাকিগুলো এখন খুব সহজেই নেয়া সম্ভব। পরদিন ভোরে নাকিব আর শাকিল ভোর ৭টায় বান্দরবান পৌঁছে গেল সরাসরি, পৌঁছে ঘুম ভাঙালো আমাদের। দুজনেই গোসল-টোশল করে প্রস্তুতি নিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হোটেলের গোসলের পানি মানে হলো কাদাগোলা পানি। মুখে দিয়ে কুলি করা তো দূরে থাক, গায়ে ঢালতেও ইচ্ছা করে না। অথচ ২০০৮-এর ট্যুরে এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি আমাদের। তাছাড়া এবার হোটেলগুলোতেও খাবার পানি নিরাপদ না, ফিল্টার পানিও নেই; পানি তাই এবার পুরো ট্যুরেই আমাদেরকে কিনে খেতে হয়েছে। ট্যুরিস্ট ট্যুর আর কাকে বলে? ব্যাপারটা ঠিক আমার বোধগম্য হলো না। ঝরণার এলাকা বান্দরবান, তাছাড়া বর্ষা আসন্ন, এসময় পানির এই বিরূপ চেহারা দেখা লাগবে ভুলেও ভাবিনি।

যাহোক, আমার প্ল্যান জানালাম নাকিব আর শাকিলকে, যেহেতু আমরা বগা লেক যাচ্ছি না, আজকের দিন তাহলে আমরা নীলগিরি, শৈলপ্রপাত এসব জায়গাগুলো ঘুরে দেখে আসি। ব্যস, যেই কথা সেই কাজ। বান্দরবানে ১০টার সময় আর নাস্তার টিকিটাও পাওয়া যায় না। মহা মসিবতের সময় শেষ পর্যন্ত মাংসের ঝোল দিয়ে ভাতই খেলাম আমরা (জনপ্রতি ৳৪৮)। তারপর রেস্টুরেন্টের ক্যাশিয়ারের থেকেই জানতে চাইলাম নীলগিরি সম্বন্ধে। তিনি আমাদের কিছু গাজাখুরি উপকথা শুনিয়ে শেষ পর্যন্ত একজন পিকাপ ড্রাইভারের খোঁজ দিলেন। তাঁকে ফোন করে তাঁর রেট জেনে নেয়া হলো। জানা গেলো: শৈলপ্রপাত, চিম্বুক আর নীলগিরি ঘুরিয়ে নিয়ে আসার প্যাকেজ ট্যুরের জন্য তাঁকে দিতে হবে সাকুল্যে ৳৩,৫০০। ফোন রাখতেই সেই ড্রাইভার এসে সরাসরি রেস্টুরেন্টে হাজির। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি এর কম নিতে পারবেন না। আমরা তাঁকে জানাবো মর্মে সেখান থেকে সরে পড়লাম। হোটেলে ফিরে হোটেলের ম্যানেজারের পরিচিত ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে এরচেয়ে বেশি রেট পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আগের লোককেই ফোন করে আসতে বলে দেয়া হলো।

পনেরো মিনিটের মধ্যে সবাই বাক্স-পেটরা নিয়ে প্রস্তুত। আমরা হোটেল ছেড়ে দিব। কারণ বন্ধু সাকিব জানিয়েছে, মিলনছড়ি নামের একটা জায়গা পড়বে পথে, সেখান থেকে অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়। আমরা ঠিক করেছি সেখানে থাকার চেষ্টা করবো। আর যদি না পারি, তাহলে আবার হোটেলে ফেরত আসবো। হোটেল খুব একটা লোকে-লোকারণ্য না, তাই খালি পাবো আশা করি।

কোথায় বৃষ্টি কোথায় কী, আকাশে একফোঁটা মেঘও নেই! রোদের তাপ সরাসরি গায়ের যতটুকু অংশে লাগে, মনে হয় যেন পুড়িয়ে নিয়ে যাবে। তারপরও জিপ-পিকআপ গাড়িতে উঠেই সবাই সমস্বরে মত দিলো, গাড়ির তেরপল সরিয়ে দিতে হবে। তথাস্থ। তেরপল সরিয়ে দিতেই রোদ এসে শরীর ভেদ করে যেতে লাগলো। কিন্তু গাড়ি ছাড়তেই সাথে সাথে সবাই যখন উপরের রডের ফাঁক গলে মাথা বের করে দিলো, তখন চলমান গাড়ির বাতাস এসে সব গরম উড়িয়ে নিয়ে গেলো। আমিও উঠে দাঁড়ালাম।

গাড়ি, বান্দরবান বাসস্টেশনে যাবার আগেই বামের একটা পথে মোচড় নিল। তারপর শুরু হলো আমাদের মূল যাত্রা। আকাবাঁকা রাস্তা সিলেটের মতোই, তবে অতোটা না। বান্দরবানের আকাবাঁকা রাস্তা শুধু আকাবাঁকাই না, উঁচু-নিচুও। চড়াই-উৎরাই দিয়ে পরিপূর্ণ। পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিলাম আদিবাসিদের বিভিন্ন গ্রাম, ওরা বলে আদিবাসী পল্লী। সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল গাড়ির উপর মাথা বের করে থাকা একঝাঁক বানরের দলকে। বান্দরবানে আমার, নাকিবের আর প্রিয়মের এটা দ্বিতীয় ট্যুর হলেও বাকি সবার এটা প্রথম ট্যুর। তবে আমাদের তিনজনেরও বান্দরবান সদরের বাইরে ঘুরতে যাওয়া এটাই প্রথম। তাই সবার অবস্থাই এক: প্রচণ্ড উত্তেজিত সবাই।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা মিলনছড়ি ছাড়লাম। আমাদেরকে জায়গাগুলোর পরিচয় দিচ্ছে আমাদের গাড়ির হেল্পার: আধা আদিবাসী-আধা বাঙালি এক ছেলে। কুব সুন্দোর সুন্দোর জায়গা দেকাবে সে আমাদেরকে –এরকমই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলো ক্ষণেক্ষণে। তবে, মিলনছড়ি সত্যিই দারুণ জায়গা, শহরের কাছাকাছি বেশ সুন্দর জায়গা বলা যায়। সবারই চিল্লাচিল্লি বন্ধ হয়ে গেল। উপভোগ করতে থাকলো অনেক নিচে বান্দরবান শহরটাকে। তবে চলমান গাড়ি থেকে ঠিক মন ভরে উপভোগ করা গেল না। মনে মনে বললাম, আসছি এখানে, একটু অপেক্ষা করো।

আরো কিছুদূর যেতেই রাস্তার পাশে চোখে পড়লো একটা পানির-প্রবাহ। আমাদেরকে আমাদের গাইড মহাশয় জানালো, এটা শৈলপ্রপাত; তবে এখানে এখন সময় নষ্ট করার মানে নেই, সামনে অনেক সুন্দর জায়গা অপেক্ষা করছে। অগত্যা আমাদেরকে শৈলপ্রপাতের স্বাদ না নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হলো।

পথ একই রকম। তবুও তার মাঝে যেন কী একটা বৈচিত্র্য! তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে পুরোটা পথই। কিন্তু সবাই কি আর শুধু তাকিয়ে আছে, বাঁদরামি চলছেই। ফয়সাল রাজনৈতিক ভাষণ ঝেড়ে দিচ্ছে, তো নাকিব একটা কথাকে ভ্যাংচি কাটছে, তো ইফতি হেরে গলায় গান ধরছে, তো শাকির আমার নীরবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। নীরব কি আর থাকা যায়? কেউ না কেউ আনন্দ করছেই, আর বাকিরা, না পারলে, তা উপভোগ করেই ঢের আনন্দ পাচ্ছে।

সঙ্খ আর সাঙ্গু যাই বলেন, দূরে সেই অপূর্ব দৃশ্য, আর সামনে আমরা ৭ নাদান
সঙ্খ আর সাঙ্গু যাই বলেন, দূরে সেই অপূর্ব দৃশ্য, আর সামনে আমরা ৭ নাদান

 আরো কিছুদূর যেতেই হঠাৎ রাস্তার বাম পাশে চোখ পড়তেই সবাই একযোগে “ওয়াও” বলে চিৎকার করে উঠলো। দৃশ্যটা আসলেও ‘ওয়াও’-টাইপের। বান্দরবানের নদী “সাঙ্গু”। আমাদের গাইড অবশ্য সাঙ্গু মানতে রাজি না, সে বারবার শুধরে দিলো “শঙ্খ” নদী।  আমাদের রাস্তার বাঁপাশে অনেক নিচে দেখা যাচ্ছে একটা ছোট্ট খাল, গাইডের বক্তব্য অনুযায়ী এটা শঙ্খ নদী। দৃশ্যটা অপূর্ব! নয়নাভিরাম! পরে যখন নাকিবের ১২এক্সঅপটিক্যাল যুম ক্যামেরার ছবিগুলো আমরা বড় করে দেখেছি কম্পিউটারে, তখন দেখেছি খালের মতো মনে হওয়া শঙ্খ নদী আসলে বেশ খানিকটা বড়, উপর থেকে দেখছিলাম বলে মনে হচ্ছিলো একটা খাল। আমাদের গাড়ি অবশ্য থামিয়ে আমাদেরকে ছবিগুলো শান্তিতে ধারণ করার সুযোগ দিলো। পরে ঘাটাঘাটি করে জেনেছি, সাঙ্গু নদীরই আরেক নাম শঙ্খ নদী।

তারপর আবার যাত্রা। ও…, বলা হয়নি, ইফতি এতক্ষণ একটা দারুণ জায়গা বেছে নিয়েছে বসার জন্য: ড্রাইভারের মাথা। ড্রাইভারের মাথায় বসে যে থ্রিল পেয়েছে সে, সেটা নাকি তুলনাহীন –হ্যা, ড্রাইভারের মাথাই বলা যায়: পিকআপের সামনের অংশের হুডের উপর রড আকড়ে বসে চলছে সে। তাকে বারবার সতর্ক করে দেয়া হচ্ছিলো যেন, সে মরে আমাদেরকে বিপদে না ফেলে।

এই দুই নাদান, গাড়ি ছাড়তে চায়না। তারা যে যার জায়গায় অবস্থানরত। আপনারা এই ছবিতেই ইফতির বিশেষ অবস্থানটা দেখতে পাবেন।
এই দুই নাদান, গাড়ি ছাড়তে চায়না। তারা যে যার জায়গায় অবস্থানরত। আপনারা এই ছবিতেই ইফতির বিশেষ অবস্থানটা দেখতে পাবেন।

আমাদের যাত্রা চলছেই…। অপূর্ব সুন্দর পাহাড়ি রাস্তা। আমি কখনো শাকিরের ছোট্ট ক্যামেরাটা দিয়ে তুলছি, কখনো আমার মোবাইল দিয়ে তুলছি। সমস্যা হলো রাস্তা আঁকা-বাঁকা। রডের মধ্যে শরীর ঘষা খেতে খেতে ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে হাতে ক্যামেরা ধরে রেখে ছবি তোলা রীতিমতো কষ্টকর। আমার মোবাইলের রেযোল্যুশনে আস্থা আছে, তাই বেশ কসরত করে ওটাকে চার আঙ্গুলে আঁকড়ে ধরে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে স্ন্যাপ নিয়ে কোনোরকমে রাস্তার সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে চাইলাম, কারণ আরেকটা হাত দিয়ে তো রড ধরে দাঁড়ানো লাগবে। আর রাস্তাগুলো ভয়ঙ্কর তো বটেই। একটু এদিক-ওদিক হলেই কয়েক শ’ ফুট নিচের খাদে। সুতরাং সেই ভয়ঙ্কর সুন্দরকে ছেঁড়ে আসতে চাইলাম না।

চিম্বুক

একসময় আমাদের গাড়ি গিয়ে থামলো একটা টং দোকানের সামনে এক বড় গাছের নিচে। এটাই নাকি চিম্বুক। টং দোকানের গাছপাকা কলা সবাই পেটপুরে খেলো। তারপর পাশের ঢাল বেয়ে সবাই উঠে যেতে শুরু করলাম চিম্বুকে; আসলে এটা হলো চিম্বুকের উপত্যকা(?), আর পাশের লাগোয়া পাহাড়টা হচ্ছে চিম্বুক পাহাড়।

চিম্বুক উঠার এই পথটা বেশ লাগলো আমার।

চিম্বুক পাহাড়ের উপরে উঠে সবাই কিছুটা যেন আশাহত হলাম। সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করলো, চিম্বুক কী জন্য বিখ্যাত? সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করে কেন, আমি কি লাইব্রেরী নাকি? আমিও নিজেকে প্রশ্ন করে জানতে পারলাম না, চিম্বুকের বিখ্যাত হবার কারণ। যা জানি চিম্বুক হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড়। কিন্তু ঐ যে দূরের পাহাড়টা তো এটা থেকেও উঁচু? তখন মনকে প্রবোধ দিলাম, হয়তো “পাহাড়”-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী এটাই সর্বোচ্চ, বাকিগুলো পর্বতশ্রেণীভুক্ত, কিন্তু নামডাক নেই, কারণ ওগুলো কেওক্রাডংয়ের মতো অতো উঁচু হতে পারেনি। পরে অবশ্য পড়ালেখা করে জেনেছি, চিম্বুক হচ্ছে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পাহাড়। কিন্তু এক আর দুই নাম্বারে কী আছে জানা গেলো না। যদি ধরে নিই, তাজিংডং আর কেওক্রাডং হলো যথাক্রমে ১ ও ২, তাহলে ওদুটো হলো পর্বত, আর চিম্বুক তাহলে পাহাড়দের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু! তাহলে আমার হাইপোথিসিসটা ঠিক হয় আরকি। কিন্তু বাস্তব সত্যটা কী, জানিনা।

চিম্বুকে মঞ্চস্থ হলো আমাদের আনোখা ড্রামা: একজন আত্মহত্যা খেতে যাচ্ছে, আরেকজন নিচ থেকে আকাশে উঁকিঝুকি মারছে- যা-তা অবস্থা।।

এখানেই প্রথম এবং শেষবার আমরা নয় অভিযাত্রী একত্রে ক্যামেরাবন্দী হলাম। চিম্বুক থেকে দেখলাম নিচে ঐ…যে একটা আঁকাবাঁকা রাস্তা এগিয়ে গেছে আরো সামনে, যেতে ইচ্ছে করলো রাস্তাটা ধরে। কিন্তু চাইলেই তো আর হয় না, আমাদেরকে এখান থেকে নীলগিরি যেতে হবে। যেহেতু উঠেছি খাঁজকাটা পথে, তাই এবারে পিছন দিকের গাড়ি-চলা পথ ধরে নামা ঠিক করলাম। যারা এই নামা-উঠাকে মনে করছেন ‘বহুত কিছু’, তাদেরকে নিরাশ করতে হয়, আসলে এটা পাহাড় চড়ার অপমান বলা চলে। যাহোক, পেছনের এই পথটাও দারুণ। নেমে আবার উঠলাম গাড়িতে। আর আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে গাড়ি এগিয়ে চললো সেই পথে, যে পথে যাবার ইচ্ছা হচ্ছিলো চিম্বুকের চূঁড়া থেকে।

চিম্বুক থেকে নামার পিছন দিকের পথটাও খুব সুন্দর!

পথগুলো আবারও অসাধারণ। পথ চলছি, গল্প করছি। আর শাকিল ভাইয়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে পিছন ফিরেছি, এমন সময়, হঠাৎ… এ্যাই সর সর, কিন্তু রক্ষা হলো না। ঠাশ্‌ করে একটা গাছের সরু ডাল এসে লাগলো ঠিক আমার ডান চোখে। ভালো ব্যাথা পেলাম। আমি দাঁড়িয়েছিলাম ডানদিকে, আর তাই, ডালটা রেহাই দেয়নি আমাকে। ইফতি সামনে বসা ছিল, সে সরে আমাকে সাবধান করতে না করতেই যা ঘটার ঘটে গেছে। সৌভাগ্যবশত আল্লাহ মানুষকে কিছু ইন্সটিঙ্কট দিয়েছেন, যার বদৌলতে আঘাতের ঠিক আগমুহূর্তে চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তাই চোখের ভিতরে কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে চোখের পাতা ছড়ে গেছে খানিকটা। একটু পরেই আমার আর কোনো কষ্টই রইলো না, কিন্তু যে-ই আমার দিকে তাকাচ্ছে, একটা করুণ চাহনি, আহারে!-টাইপের একটা অভিব্যক্তি। তবে, ধাক্কা আমি খেলেও সবাই ঐ এক ধাক্কায় সচেতন হয়ে গেল।

একসময় আমরা নীলগিরির কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম। বাতাস ঠাণ্ডা এখানে। তবে আকাশে মেঘের কিঞ্চিত আনাগোনা, কিন্তু যে বৃষ্টির প্রত্যাশায় এসেছিলাম, তার গুড়ে বালি। অবশেষে আমরা পৌঁছলাম সেই কাঙ্ক্ষিত নীলগিরিতে। বন্ধু [ট্রেকার] সাজ্জাদের ছবি আর ফেসবুক ফ্যানপেজের ছবি দেখে যে রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম, সেই নীলগিরিতে পৌঁছলাম অবশেষে। রাস্তা থেকেই দেখা যাচ্ছিলো পাহাড় চূড়ার কটেজ। গাড়ি এগিয়ে চললো গন্তব্যে…।

চলবে…

-মঈনুল ইসলাম

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল প্রকাশ করা হবে না

আপনি এই HTML ট্যাগ এবং মার্কআপগুলো ব্যবহার করতে পারেন: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

*