রাজাকার দর্শন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা

পৃথিবীর অনেক দেশই যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে, যুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত থাকলেও যুদ্ধের পরে তারা সকলে এক ও অভিন্ন হয়ে শ্রেফ দেশের মতে এক হতে পেরেছে। দুর্ভাগ্য আমার বাংলাদেশের, কারণ আজ মুক্তিযুদ্ধের ৩৮তম বার্ষিকী পালনকালেও বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি দল বিরাজমান। এমনকি এই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ বিতর্কে জড়ানো হচ্ছে ইসলামের মতো মহান একটি ধর্মকেও। কিন্তু আসলে কী বলছে ইসলাম? রাজাকাররা যেই ইসলামের কথায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন, তারা কি আদৌ তা সঠিক করেছিলেন? নাকি মুক্তিযোদ্ধারা মুসলমান রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন আর গোনাহগার বা পাপিষ্ট হয়েছেন? …কী বলে ইসলাম? কী ছিলো রাজাকারদের মনের ভিতরে? আর মূল সত্যটাইবা কী?

প্রশ্নটা যতটা সহজ, উত্তরটা তার চেয়েও অনেক কঠিন আর গূঢ়। তাই আমাদেরকে একটু গভীরে যেতে হবে; আপনাদের ধৈর্য্য কামনা করছি।

ইসলামে “স্বাধীনতা”

প্রথমেই জানতে হবে ইসলামে স্বাধীনতা কী বা কেমন? …ইসলামে স্বাধীনতা চার প্রকারের (কোনোটায় অনুমতি আছে, কোনোটায় নেই):

  1. নিজের অন্তরের স্বাধীনতা (নফ্‌সের স্বাধীনতা);
  2. ব্যক্তি-স্বাধীনতা;
  3. বিধর্মী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ধর্মীয় স্বাধীনতা;
  4. অত্যাচারীর বিরুদ্ধে নিপীড়িতদের যুদ্ধ করে স্বাধীনতা।

১. স্বীয় অন্তরের স্বাধীনতা

নিজের অন্তরের স্বাধীনতা মানে, মন যা চায় তা করার স্বাধীনতা ইসলামে নিষিদ্ধ (হারাম)। ইসলামে এই স্বাধীনতার অনুমতি নেই; বরং ইসলামমতে সর্বজ্ঞানী ঈশ্বরের (আল্লাহর) অনুমোদিত কিংবা আদিষ্ট কর্মেই সফলতা, নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে করা কর্মে সফলতা নেই।

২. ব্যক্তি-স্বাধীনতা

ব্যক্তি স্বাধীনতা, অর্থাৎ যেমনটা ইসলাম-পূর্ব যুগ থেকে চলে আসছিলো (ইসলাম প্রচলন করেনি), গোলাম বা দাসপ্রথা, যা ছিলো ব্যক্তিস্বাধীনতার লঙ্ঘন। ইসলাম এক্ষেত্রে দাস/দাসী মুক্ত করে দেয়াতে উৎসাহ দিয়েছে এবং তাকে সওয়াব বা পূণ্যের কাজ ঘোষণা করেছে। জনাব আবু বকর [আল্লাহ তাঁর প্রতি দয়া পরবশ হোন] জনাব বেলাল-কে [আল্লাহ তাঁর প্রতি দয়া পরবশ হোন] কিনে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। জনাব উসমান [আল্লাহ তাঁর প্রতি দয়া পরবশ হোন] বহু গোলামকে কিনে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। এমনকি কোনো মালিক যদি এরকম শর্ত দেয় যে, তোমার কাজের বাইরে এতো পরিমাণ অর্থ আমাকে দিতে পারলে আমি তোমাকে মুক্ত করে দিবো, তাহলে সেক্ষেত্রে ইসলাম সেই গোলামকে যাকাত দিয়ে সহায়তা করে খুব দ্রুত মুক্ত করার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।

৩. বিধর্মী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ধর্মীয় স্বাধীনতা

অমুসলিম রাষ্ট্রে, ইসলাম প্রতিষ্ঠায়, ইসলামিক নের্তৃত্বের আহ্বানে, বিধর্মী রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কথা ইসলাম বলেছে, এবং ইসলামিক নেতা বা খলিফা এরূপ যুদ্ধের আহবান জানালে তাতে অংশীদার হওয়া ইসলাম ফরয বা অবশ্য পালনীয় করেছে মুসলমানদের উপর।

৪. অত্যাচারীর বিরুদ্ধে নিপীড়িতদের যুদ্ধ করে স্বাধীনতা

যখন নেতা তার অধঃস্তনের প্রতি অন্যায় করবে, যুলুম-অত্যাচার করবে, তখন নিপীড়িত হিসেবে ঐ নের্তৃত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পক্ষে ইসলাম সমর্থন দিয়েছে। এবং ইসলাম এও বলে, নিপীড়িত আর আল্লাহর (ঈশ্বরের) মধ্যে কোনো পর্দা থাকেনা (অর্থাৎ নিপীড়িত, আল্লাহর কাছে যা চাইবে তা সরাসরি মঞ্জুর হবে)।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা

এবারে একটু রাজাকার প্রসঙ্গে আসি। আমি ধরে নিচ্ছি বাংলাদেশ এবং ১৯৭১-এ তার স্বাধীনতা সম্পর্কে পাঠকের প্রাথমিক ধারণা আছে। শুধু এতটুকু বলি, ব্রিটিশরা ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে এদেশ থেকে চলে যাবার সময় ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমান অধ্যুষিত পাকিস্তান আর হিন্দু অধ্যুষিত ভারত নামে দুটো দেশ তৈরি করে দিয়ে যায়। অথচ সেই পাকিস্তানের দুটো ভূখণ্ডের মধ্যে প্রায় ১,০০০ মাইলের ব্যবধান; ব্রিটিশদের দ্বিভাজন প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি ছিলো ধর্ম; কারণ এই দুই পাকিস্তানের মধ্যে না ছিলো সংস্কৃতির মিল, না ছিলো ভাষার মিল, না ছিলো জলবায়ুর মিল। ইসলাম বলে, যদি তার পরেও এই দুই ভূখণ্ড শ্রেফ ইসলামের জন্য একত্রে থাকতে পারতো, নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতো, তবে সেটা ভালো ছিলো। …কিন্তু একপক্ষ অন্যায় অত্যাচার করবে, হোক না সে [নামে] মুসলমান, সেখানে কী করে ঐক্য থাকে? সেখানে কী করে ইসলাম এক থাকে?

যখনই দুই পাকিস্তানের আলাদা হবার প্রশ্ন সামনে এলো, কতিপয় মুসলমানের কাছে তখন ধর্ম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ালো। তারা দেখতে পেলেন, সম্ভাব্য এই বাংলাদেশের পক্ষে ভারত নামক একটি হিন্দু রাষ্ট্র সহায়তা করছে, তার মানে বাংলাদেশ নামে যে দেশ হতে যাচ্ছে, তা একটি হিন্দু রাষ্ট্রই হতে যাচ্ছে। তাই তারা ইসলাম রক্ষার্থে, বিধর্মী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ফরয বা অবশ্য পালনীয় মনে করে, অত্যাচারী পাকিস্তানীদের পক্ষে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। উল্লেখ্য, ‘রাজাকার’ শব্দের মূল অর্থ ‘স্বেচ্ছাসেবক’। তাদের এই যুক্তি মোটেই ফেলনা নয়, কারণ তারা এক ঈশ্বরের পক্ষে লড়াই করছেন, ইসলাম রক্ষার্থে লড়ছেন, পাকিস্তানের মুসলমান নেতার আহ্বানে লড়ছেন, এটা করা তাদের জন্য ফরয হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু যে যুক্তিটা তারা টপকে গেছেন, তা হলো অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিতের লড়াই। পরাশক্তির বিরুদ্ধে নিজের ভূখণ্ডের লড়াই (প্রকারান্তরে নিজের ভাষা রক্ষারও লড়াইও)। ইসলাম ধর্মের বাণীবাহক জনাব মুহাম্মদ-এর [আল্লাহ তাঁর প্রতি শান্তি বর্ষণ করুন] জীবন ঘাঁটলেও পাওয়া যায় এই দেশপ্রেম। যখন শত্রুরা তাঁকে ঘিরে ফেললো, তাঁকে স্বদেশ ত্যাগের অনুমতি দিয়েছেন ঈশ্বর, তখনও তিনি মুসলমানদের তীর্থ কা’বা ঘরের সামনে গিয়ে কাঁদছিলেন, কা’বা ঘরের সামনে নিজের মনের বক্তব্য উজাড় করে দিচ্ছিলেন, জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে যাবার সময় বারবার পিছন ফিরে তাকাচ্ছিলেন, চোখের পানি ছেড়ে দিচ্ছিলেন। …যুক্তির খাতায় তখন একটা বড় অংশ যুক্ত হলো: একাধারে দেশপ্রেম (প্রকারান্তরে ভাষাপ্রেম), অত্যাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই। মূলত মুক্তিযোদ্ধা নামক যে ছন্নছাড়া বাহিনী তৈরি হয়েছিলো, তারা এই মতেরই অনুবর্তী ছিলেন।

কথা হচ্ছে, দুপক্ষের যুক্তিই সঠিক; যার যার অবস্থান থেকে দুপক্ষই যৌক্তিক। মুসলমানের কাছে ইসলাম, তার ঈশ্বর; আবার অত্যাচারীতের কাছে তার ন্যায্য পাওনা, নিপীড়িতের কাছে তার দেশ। এই ক্রান্তিলগ্নে আমি কোন পক্ষ নিবো? যে পক্ষেই আপনি থাকুন না কেন, এটা আপনাকে মানতেই হবে, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানীদের (বর্তমান বাংলাদেশীদের) অত্যাচার করেছিলো, ন্যায্য পাওনা ছিনিয়ে নিয়েছিলো, যত কলকারখানা তার অধিকাংশ উন্নয়ন এদেশে না করে ওদেশে করা হয়েছিলো, একপর্যায়ে এদেশের মাথাপিছু আয়ও ওদেশের তুলনায় কমে গিয়েছিলো, যদিও এদেশের জমি যথেষ্ট উর্বর ছিলো, কিন্তু এদেশের উৎপাদন নিয়ে গিয়ে ওদেশকে ভরপুর করা হচ্ছিলো, এদেশের সংখ্যাগরিষ্টের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা দিয়েও নিয়ে গিয়েছিলো তারা… এতো অন্যায় যারা করলো, তারা কি মুসলমান থাকলো? মুসলমান হলো সে, যে তার আপন খেয়াল-খুশিকে আল্লাহর ইচ্ছায় পরিবর্তন করে নিলো; এক পক্ষকে নির্যাতন করা কি আল্লাহর ইচ্ছা থাকলো? …না, পরিষ্কার কথা: নির্যাতনকারী হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানী নির্যাতনকারী শাসকেরা মোটেই মুসলমান থাকলেন না। তাহলে সেই অমুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পক্ষে আর কি কোনো যুক্তির বাধা থাকলো?

সুতরাং অনায়াসেই আপনি স্বেচ্ছাসেবকদের যুক্তিকে অগ্রাহ্য করতে পারেন। ওটা আর স্বেচ্ছাসেবা রইলো না। ওটা অন্যায়ের পক্ষে সমর্থন হয়ে গেলো। এখন আপনি অনায়াসে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে সমর্থন দিতে পারেন এবং তাদেরকে সম্মান করে ‘তাঁরা বলতে পারেন। ঈশ্বর হয়তো শ্রেফ এই কারণেই ঐ বিপুল শক্তিধর পাকিস্তানী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সৈন্যদের বিরুদ্ধে মাত্র ৯ মাসে আমাদের মতো চাষাভোষা-কুলি-মজুরদের স্বাধীনতাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে স্বাধীনতা অর্জনের এমন ইতিহাস আপনি আর পাবেন না, কোথাও পাবেন না।

শেষ কথা, কী বলবেন তবে সেই স্বেচ্ছাসেবকদের? তাদের ‘রাজাকার’ নামটিকে কি মূল অর্থ থেকে সরিয়ে ‘বিশ্বাসঘাতক’ অর্থে বদলে নিতে পারেন? অর্থ বদলে নিলে ইতিহাস বদলে যায়। তাছাড়া ‘ইতিহাস সবসময় জয়ীর হাতে লেখা হয়’ কথাটিকে সমর্থন করা হয়। বরং মূল অর্থেই তাদেরকে চিনুন, তাহলে দুপক্ষের যুক্তিকে জানা সহজ হবে। যতো জানবো, ততো পরিষ্কার হবে। কিন্তু তবুও তারা আর সেবক রইলেন না। তাই কী করা উচিত তাদের? ধরে ধরে মেরে ফেলা? কেউ বলবেন, পিষে ফেলা? …না, ইসলাম বলে, তাকে ক্ষমা প্রার্থণার সুযোগ দিন। তাকে শান্তির কথা বলুন, শান্তির দিকে আহবান জানান। যদি সে তা করে, তবে ক্ষমা করাই ইসলামের নীতি। কিন্তু যদি সে তা না করে, সে যদি আবারও বিরোধিতা করে, তবে সেখানে ইসলামী রাষ্ট্রে ইসলামিক নের্তৃত্বের অধীনে কঠোর বিচার প্রযোজ্য, আমি-আপনি বিচার করার কেউ নই।

যারা বিতর্ক পছন্দ করেন, তারা নানা বিতর্কের অবতারণা মুহূর্তেই করতে পারেন। কিন্তু প্রমাণসাপেক্ষে বিতর্ক ক’জন করেন? …আসুন, আজ স্বাধীনতার এতো বছর পরে হলেও আজই আমাদের এদেশের স্বাধীনতার পক্ষে এক এবং অভিন্ন মতে উপবিষ্ট হই। শপথ নিই: ‘‘আজ থেকে এই বাংলাদেশের প্রশ্নে আমি অন্তত দ্বিমত করবো না -এই শপথে [আল্লাহর ইচ্ছায়] এদেশের বিন্দুমাত্র ক্ষতির কাজও করবো না। আমীন।’’

মনে রাখতে হবে, যখন প্রশ্নটা ‘বাংলাদেশ’-এর, তখন সেখানে [মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ] ভারতও নয়, [মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ দেশ] পাকিস্তানও নয় -এক ‘বাংলাদেশ’-এর ন্যায্য স্বার্থ রাখতে হবে, থাকতে হবে।

– মঈনুল ইসলাম

____________________

এই লেখার সারমর্মটুকু খতিব মাওলানা শোয়ায়েব খান-এর জুম‘আর খুৎবা থেকে গৃহীত। লেখক এখানে তা সাজিয়েছেন এবং আরো কিছুটা যুক্তির ছাঁচে ঢেলে দেখার প্রয়াস চালিয়েছেন। যদিও মূল বক্তৃতাই যথেষ্ট যৌক্তিক ও পরিসংখ্যানপূর্ণ ছিলো। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে লেখকের বক্তব্য ভুল হতে পারে। তাছাড়া লেখক পরিসংখ্যান না দিতে পারার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

৪ thoughts on “রাজাকার দর্শন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা

  1. >That's a very nice, touchy and logical writing… I appreciate it from the core of my heart…However, in your 3rd (third)last para (line no 6 to 9) of the writing you have questioned and suggested that what to do with the "RAJAKAR" at this very moment (to forgive them) .. However, unfortunately you didn't mention that what will we do if those Traitors want to have power as a ruling Government…? and while still they say that they are the real savior of Islam in this country..!According to myself if they had a little bit of Dignity left in their life then they should remove themselves from the Politics and prevent themselves from searching of Power..At last, thank you again for this thought…Take Care

  2. মাঈনুল, ভালো লাগল লেখাটা পড়ে। অনেক thoughtful লেখা। comment না করে থাক্বেতে পারলাম না। আমিও রিফাতের সাথে একমত। এক্ষেত্রে তোমার reply-টাও ঠিক আছে।

    1. সকল প্রশংসা আল্লাহর।ধন্যবাদ যদি কিছু পাওয়ার থাকে, তবে সেটা শোয়ায়েব সাহেবের। তিনি মসজিদের মিম্বরে বসে মানুষকে এভাবে সুপথ দেখাবার সৎ সাহস দেখিয়েছেন, এটা অবশ্যই অনেক বড় পাওয়া।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল প্রকাশ করা হবে না

আপনি এই HTML ট্যাগ এবং মার্কআপগুলো ব্যবহার করতে পারেন: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

*