আমার পছন্দের ৩৫টির বেশি সত্যাশ্রয়ী চলচ্চিত্র

চারিদিকে করোনাভাইরাস-এর (SARS-CoV-2) আতঙ্ক, সবাই ঘরে বন্দী। অনেকেই এসময় বসে বসে মুভি দেখছেন। তাই এই তালিকাটা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলাম।

এযাবৎ যতগুলো চলচ্চিত্র দেখেছি, তার মধ্যে সত্য ঘটনার উপর নির্মিত, সত্য ঘটনাশ্রয়ী কিংবা সত্য ঘটনায় অনুপ্রাণিত চলচ্চিত্রগুলো আমার সবচেয়ে প্রিয়। কারণ অন্যান্য চলচ্চিত্র দেখার পর এজাতীয় চলচ্চিত্রগুলো দেখলে আপনি নিজেই আলাদা করতে পারবেন, কতটা বাস্তব প্রতিটা দৃশ্য ― অবাস্তব ঘটনাক্রম আর ধুমধাম, ধুশধাশ-এর আতিশায্য থাকে না। বলে রাখা ভালো, আমি শুধু চলচ্চিত্র দেখিই না, আমি চলচ্চিত্রকে নিয়ে সমালোচনাও করি

কথা না বাড়িয়ে চলুন চলচ্চিত্রগুলোর নাম জানা যাক। এখানে ১, ২, ৩, … ইত্যাদি ভালোলাগার কোনো ক্রম নেই, শ্রেফ একটা তালিকা বলা যায়। চলচ্চিত্র সম্বন্ধে জানার সুবিধার্থে ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেযে (IMDb) লিংক দিয়েছি, সেখানকার পপুলারিটি কিংবা রেটিং আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। আমি শ্রেফ আমার ভালোলাগার স্থান থেকে তালিকা তৈরি করেছি।

Troy (2004)

ব্রোঞ্চযুগের শহর ট্রয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের পরের কথা। ট্রয়ের দুই রাজপুত্র, স্পার্টার (প্রাচীণ গ্রিসের শহর) রাজার সাথে একটি শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ হন। কিন্তু ট্রয়ের ছোট রাজপুত্র প্যারিস, স্পার্টার রাজার স্ত্রী হেলেন-কে ভালোবেসে ফেলেন আর ফিরতি পথে সাথে করে নিয়ে আসেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই শান্তিচুক্তি ভেঙ্গে যায় আর ট্রয়ের রাজপুত্রের এই কাজকে পুরো গ্রিসের বিরুদ্ধে আঘাত হিসেবে দেখা হয়। পুরো গ্রিস মিলে আঘাত হানে ট্রয়ে। অনেকেই এই যুদ্ধকে বলেন “হেলেনের জন্য যুদ্ধ”। আমরা এখন কম্পিউটার বিজ্ঞানে “ট্রোযান হর্স” (Trojan Horse) বলে যে টার্মটা শুনি, তা এসেছে এই ট্রয়ের যুদ্ধ থেকে। বাকিটা মুভিতেই দেখা যাবে, আমি আর বলছি না।

এই চলচ্চিত্রের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ছিল এর ডায়লগ (চরিত্রের মুখের ভাষ্য)। প্রতিটা ডায়লগ এতো নিখুঁত যে আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই। শুধু এই ডায়লগগুলো দেখার জন্য এই মুভিটা আমি সাবটাইটেলসহ দেখতে উৎসাহিত করবো। হলিউডের মুভিতে বিশাল সেট, ঐতিহাসিক বড় পরিসরের যুদ্ধ – এগুলো যে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়, তা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই।

1968 Tunnel Rats (2008)

১৯৫৯-১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন, ১৯৬৫ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামে সৈন্য পাঠায়। কিন্তু তারা বুঝতেও পারেনি, সেখানে তাদের জন্য কী বিভীষিকা অপেক্ষা করছিলো।

মুভিটা শুরু হবার পর প্রথম বেশ অনেকক্ষণ মোটেই আগ্রহ পাইনি। কিন্তু মোটামুটি আধা ঘন্টা পরে যখন সৈন্যদল প্রথমবার রেকি করতে বেরোল, তখন থেকে মুভিটা আসলে আরম্ভ হলো – একেবারে শ্বাসরুদ্ধকর এর পরের প্রতিটা মুহূর্ত। আমি ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে কিছুই জানতাম না। জানতাম না, মাটির নিচে আঁটোসাঁটো টানেলের ভিতরে থেকে একটা যুদ্ধ লড়া যায়। এই যুদ্ধে মার্কিন বাহিনী টিকতে পারেনি, প্রায় ৫৮,০০০ মার্কিন সেনা মারা যান। কেন পারেনি তারা, সেটা বুঝতে হলে এই মুভিটা অবশ্যই দেখা চাই। এরকম একটা টানেল-বাহিনীর বিরুদ্ধে পেরে উঠা চাট্টিখানি কথা না। শ্বাসরুদ্ধকর মুভি।

Hacksaw Ridge (2016)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন War Medic, মানে যুদ্ধকালীন ডাক্তার Desmond Doss-এর প্রচন্ড ধর্মপ্রাণ চেতনা আর মানুষের সেবা করার মনোষ্কামনার ঘটনা নিয়ে এই চলচ্চিত্র। প্রথমদিকে ডেসমন্ডের পারিবারিক জীবন, ধর্মপ্রীতি, আর প্রেমের ঘটনা থাকলেও, ডেসমন্ড যখন সৈনাবাহিনীর খাতায় নাম লেখালেন, তখনই আসল ঘটনার শুরু হলো। এরপর বাকি পুরোটা মুভি শ্বাসরুদ্ধকর! এই লোক যুদ্ধে যাবার জন্য সেনাবাহিনীতে নাম লেখালেন, কিন্তু সেখানে গিয়ে বলে কিনা, ‘আমি অস্ত্র ধরবো না’। তারপর কী হতে পারে বুঝতেই পারছেন; কোর্ট মার্শাল হলো…। কিন্তু কিভাবে এই লোক শেষ পর্যন্ত নিজে আহত হয়ে ৭৫জন সৈন্যের জীবন বাঁচিয়েছেন আর যুক্তরাষ্ট্রের সেরা সামরিক পুরষ্কার Medal of Honor-এ ভুষিত হয়েছেন – তা দেখার মতো।

Hidden Figures (2016)

শুধু যুদ্ধের চলচ্চিত্রের কথা বলছি দেখে নাখোশ যাতে না হন, তাই একটা অন্যরকম যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে করা এই চলচ্চিত্রের কথা বলছি এবার। ‘কম্পিউটার’ বললেই আপনার চোখের সামনে কী ভেসে উঠে? একটা যন্ত্র নিশ্চয়ই। আমি যদি বলি, NASA-তে একসময় রকেট সাইন্সের জটিল, জটিলতর, কিংবা হয়তো জটিলতম গাণিতিক গণনা, হিসাব-নিকাশের কাজ করতেন একদল মানুষ কম্পিউটার, বা মানব গণক, এবং তাঁরা ছিলেন নারী। মুভিটা নাসা’র একজন প্রথিতযশা গণিতজ্ঞ Katherine Johnson, নাসা’র একটি মানব-গণক দলের সুপারভাইসর Dorothy Johnson Vaughan, আর নাসা’র প্রথম আমেরিকান-নিগ্রো নারী প্রকৌশলী Mary Jackson-এই তিনজনকেন্দ্রীক হলেও এই চলচ্চিত্রে দেখা যাবে ষাট-এর দশকে আমেরিকাতে নিগ্রোরা কতটা নিগৃহীত, অবহেলিত ছিলেন। সেই অবহেলা, অবজ্ঞা ডিঙিয়ে এই তিন নারী কিভাবে নিজেদের কৃতিত্ব দিয়ে নিগ্রোদের মহান করেছেন আর করেছেন আমেরিকাকে অগ্রসর। ধারণা বদলে দেবার মতো একটা চলচ্চিত্র।

Green Book (2018)

নিগ্রোদের প্রতি মার্কিন মুলুকে যে অবিচার হতো, তার আরেকটা উজ্জ্বল নিদর্শন এক অ্যাফ্রো-আমেরিকান পিয়ানিস্ট Don Shirley’র জীবন। ঘটনাচক্রে তাঁর শোফার হয়ে যান ইতালীয়-আমেরিকান [নাইটক্লাবের বাউন্সার], শেতাঙ্গ Frank “Tony Lip” Vallelonga। সঙ্গদোষে যে লোহা ভাসে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই দুই ব্যক্তির জীবনী। একদিকে চরম বহির্মুখী (extrovert) টনি লিপ যেই-সেই জীবন-যাপনে অভ্যস্ত, অন্যদিকে চরম অন্তর্মুখী (introvert) শার্লী, নিগৃহীত নিগ্রো হলেও decent life কাটাতে অভ্যস্ত – এতোটাই নিভৃতচারী যে, KFC’র চিকেন পর্যন্ত খাননি। এই দুজনের অপূর্ব ক্যামিস্ট্রি আর ষাটের দশকের নিগ্রোদের নিগৃহীত জীবন, তার সাথে অসাধারণ পিয়ানোবাদক শার্লীর বর্ণিল জীবন – এক অনবদ্য মুভি।

The Way Back (2010)

ভ্লাদিমির লেনিন-এর সাইবেরিয়ার বরফে ঢাকা কারাগারের একদল বন্দী কারাগারের কঠিন অনিশ্চিত জীবন থেকে এক তুষারঝড়ের সময় পালাতে সক্ষম হন, বেরিয়ে সম্মুখিন হন আরেক অনিশ্চিত জীবনের। পথে একে একে বিসর্জন দিতে হয় অনেক সদস্যকে। বরফ পাড়ি দিয়ে, বৈকাল হ্রদ ছুঁয়ে, মঙ্গোলিয়া হয়ে, গবি মরুভূমিতে গিয়ে পড়েন। কঠিন, উষর পথ পাড়ি দিয়ে হিমালয় পার হয়ে তারা প্রায় ৪,০০০ মাইল পথ শুধু পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিয়ে পৌঁছান ভারতে। অসাধারণ এক অভিযাত্রা। রোমাঞ্চকর, হৃদয়বিদারক, আর আশাব্যঞ্জকও। দেখার মতো চলচ্চিত্র।

The Exorcism of Emily Rose (2005)

ভূতের ঘটনা, তাও বাস্তব ঘটনা দেখলে আমি একটু আগ্রহ ভরেই দেখি। ১৯ বছর বয়সী এক যুবতির মৃত্যু হয় ফাদার রিচার্ড মূর-এর এক্সরসিযম (ভূত তাড়ানোর আয়োজন)-এর সময়। ফাদার মূরকে আসামী করে মামলা হয়। সেই মামলায় আসামী পক্ষের উকিল হলেন এরিন ব্রুনার আর বাদী পক্ষের উকিল হলেন ক্যাম্পবেল স্কট। বসেছিলাম ভূতের ঘটনা দেখার জন্য, কিন্তু এই মুভি তারও চেয়ে বেশি কিছু: ভূত নিয়ে ধর্মের আর বিজ্ঞানের সে যে অপূর্ব খেলা, দুই পক্ষের উকিলের যুক্তি, পাল্টা যুক্তির অসাধারণ মিথস্ক্রীয়া। দেখার মতো এক মুভি।

The Imitation Game (2014)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর একটা চরম অস্ত্র ছিল ক্রিপটোগ্রাফ যন্ত্র এনিগমা। এই যন্ত্র দিয়ে গোপন সংকেতে তারা তথ্য আদান-প্রদান করতো, যে সংকেত ভাঙার কোনো উপায় ছিলো না কারোরই। বিপদে পড়ে একজন গণিতজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হলো। সেই ইংরেজ গণিতজ্ঞ Alan Turing, out-of-the-box চিন্তাভাবনা থেকে উদ্ভাবন করলেন এক বিশাল যন্ত্র – যা দিয়ে ভেদ করলেন ঐ সংকেতের অর্থ। মানুষের ক্ষমতার যে সীমা নেই, এই চলচ্চিত্রটা তার একটা উদাহরণ। কী অসাধারণ দক্ষতা, কী অসাধারণ গবেষণাধারা!

The Zookeeper’s Wife (2017)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পোল্যান্ডের এক চিড়িয়াখানার মালিক দম্পতি, কিভাবে আত্মবিসর্জন করে বিপুল সংখ্যক ইহুদির প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তাঁদেরই চিড়িয়াখানায় – তারই রোমহর্ষক ঘটনাবর্ণনা নিয়ে এই চলচ্চিত্র। যুদ্ধের ভয়াবহতা, আর ইহুদীদের বেঁচে থাকার আকুতির এক অপূর্ব চিত্রায়ন এই মুভি। তবে মুভিটাতে আরো যা একটা দেখার জিনিস আছে, সেটা হচ্ছে প্রকৃতি আর প্রাণীপ্রেম।

Lone Survivor (2013)

২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ঘটনা, আফগানিস্তানের একটা গ্রামে ঘাঁটি করে থাকা তালেবান শীর্ষ নেতা আহমদ শাহকে ধরার জন্য রাতের আঁধারে ৪ জনের একটা নেভি সীল দল পাঠায় নিকটবর্তী মার্কিন বিমানঘাঁটি। তারা গ্রামটির পাশেরই একটা পাথুরে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। কিন্তু পরদিনই এক স্থানীয় মেষপালক যুবকের কারণে তাদের অবস্থান ফাঁস হয়ে যায়। ব্যস, চারপাশ থেকে তাদের ঘিরে ধরে তালেবান যোদ্ধারা। শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। রীতিমতো নরক-যন্ত্রণা নেমে আসে তাদের উপর। সেখান থেকে স্থানীয় এক পশতুনের সহায়তায় বেঁচে ফেরা এক যোদ্ধার বর্ণনায় পুরো ঘটনার দৃশ্যায়ন। শ্বাসরুদ্ধকর!

The Professor and the Madman (2019)

অক্সফোর্ড ডিকশোনারি তৈরি করতে হবে। তো তৈরি করে ফেলো। কিন্তু ব্যাপারটা যে এতো সহজ না, তার প্রমাণ হচ্ছে, এই উদ্যোগ তাঁরা ২০ বছর ধরে নিয়েই যাচ্ছিলেন, নিয়েই যাচ্ছিলেন, নিয়েই যাচ্ছিলেন… (ধুতেই থাকো, ধুতেই থাকো…)। এতো সোজা!!!

শেষ পর্যন্ত সেভিয়র হিসেবে পাওয়া গেলো ঘাগু autodidact জেম্‌স অগাস্তাস হেনরি মারে-কে। যাঁর ব্যাচেলর ডিগ্রিই নাই, তাঁরে দিয়ে আবার ডিকশোনারি হবে নাকি? কিন্তু ঘরভর্তি অক্সফোর্ডের ঘাগু সব এডুকেটরের সামনে তিনি বোমা ফাটালেন, “I’m fluent in Latin and Greek…, Romance tounges: Italian, French, Spanish, Catalan, Portuguese, Vaudois, Provencal and other dialects; German, Dutch, Danish, and Flemish. I’m specialized in Anglo-Saxon and Moeso-Gothic. …Also Russian. Hebrew, Syriac. Aramaic Arabic, Coptic, and Phoenician.” — মানে কী? মানে একটা ভাষার সুপার কম্পিউটার আরকি। এই লোক না পারলে আর কে পারবে?

কিন্তু দেখা গেলো, বহুভাষাবিদ আচার্য হরিণাথ দে দিয়েও এই অসাধ্য সাধন করা এতো সোজা না। ভাষার শব্দকে ইতিহাস ধরে ধরে বিবর্তন বের করা এতো সোজা না। একটা ডিকশোনারি এতো সোজা না। জেম্‌স মারেও হয়তো একটা সময় পরে…

কিন্তু তখন পড়ন্ত বিকেলের অস্তমিত সূর্যটা হঠাৎ পশ্চিম দিকেই উঠলো: এক জাহান্নামে জ্বলতে থাকা মার্কিন মাথামোটা, খুনি, লুনাটিক, ডিমেনশিয়াগ্রস্থ এক পাগল, পাগলের মতোই করতে থাকলো। আর এই পাগলামিই জেম্‌স মারে আর তাঁর দলের জন্য হয়ে উঠলো প্রেরণা, এগিয়ে যাবার তরী।

সেই তরী বাওয়াও এতো সহজ ছিল না… বাস্তব বড়ই নির্মম। ঘাগুর পিছনে লেগে থাকে টাগু। আর তখন বাবার মতো মমতা দিয়ে, বন্ধুর মতো বুদ্ধি আর সাহচর্য্য দিয়ে আগলে রাখারও মানুষ লাগে। প্রোফেসর মারের সাত জনমের ভাগ্য যে, তিনি ফ্রেডেরিক জেম্‌স ফার্নিভ্যালের মতো বন্ধু, সহকর্মী পেয়েছিলেন।

In the Heart of the Sea (2015)

১৮২০ খ্রিষ্টাব্দের ঘটনা, তখন যে মানুষ তেল সংগ্রহ করতো সমুদ্রে বছরের পর বছর ভেসে থেকে ঝড়-ঝঞ্ঝার সাথে যুদ্ধ করে নিজেদের থেকে বহুগুণ বড় তিমি শিকার করে, তার ভিতর থেকে। কিন্তু তেল সংগ্রহকারী জাহাজ Essex সেই তিমির কাছেই ধ্বংস হলো। তারপর গভীর অন্তহীন সমুদ্র থেকে নিজেদের প্রাণ নিয়ে দুটো নৌকায় করে অসীমের পানে চলা একদল নাবিকের ঘটনা এটা। নির্মম বাস্তব সত্য। ফিরতে পারবে তারা? ফিরলেও বাঁচবে কি তারা?

Titanic (1997)

নন-ফিকশন, আজকের তালিকায় উল্লেখ করছি শ্রেফ R. M. S. Titanic জাহাজের বাস্তব ঘটনার কারণে। স্টিভেন স্পিলবার্গের সর্বকালের সেরা মুভি বোধহয় টাইটানিক। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আর ক্যাট উইন্সলেটের প্রেমের এমন এক উপাখ্যান, যার ঘটনার বুনন অপূর্ব, আর গল্পের প্রতিটা মোড়ে মোড়ে মূল টাইটানিকের ঘটনা এতো বাস্তব করে রূপায়িত হয়েছে যে, এটা অনেকটাই টাইটানিকের এক ঐতিহাসিক দলিল যেন।

47 Ronin (2013)

৪৭ জন রনিন (নেতৃত্বহীন সামুরাই)-কে নিয়ে জাপানে প্রচলিত ১৮শ শতকের ঘটনা নিয়ে নির্মিত। সামুরাই আমার সব সময়ের প্রিয় – এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বাস্তব-পরাবাস্তব মিলে মুভির অ্যানিমেশনগুলো ভালো লেগেছে। আর, নায়িকা Ko Shibasaki’র তো প্রেমেই পড়ে গেছি বলা যায়। Hiroyuki Sanada বরাবরের মতোই পিওর জাপানী ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন। Keanu Reeves-কে দিয়ে মুভিটা হলিউডী করা হয়েছে মাত্র, আর কিছু না।

The Wind Rises (2013)

এপর্যন্ত উল্লেখ করা প্রতিটা মুভি থেকে এটি আলাদা, কারণ এটি একটি বাস্তব জীবনীধর্মী অ্যানিমেশন মুভি। মূল চরিত্র: Jiro Horikoshi নামক উড়োজাহাজ ইঞ্জিনিয়ার, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের জন্য তৈরি করেন অসাধারণ, যুগোত্তর বিমান। আমি এমনিতেই anime মুভির ভক্ত – এই মুভি দেখেও আমি প্রেমাচ্ছাদিত ছিলাম। ❤️

The Haunting in Connecticut (2009)

আগেই বলেছি, বাস্তব ভৌতিক ঘটনানির্ভর মুভি হলে আমি গোগ্রাসে গিলি। এক পরিবার আমেরিকার কানেক্টকাটে নতুন বাড়িতে উঠে, আর তারপর শুরু হয় একের পর এক ভৌতিক ঘটনা। তারা জানতে পারে, এই বাড়ির এক মারাত্মক অতীত ছিল। এই মুভি দেখেই প্রথম আমি ectoplasm নামক নতুন একটি টার্মের সাথে পরিচিত হই।

Jungle (2017)

বলিভিয়ার আদিম জঙ্গলে একটি আদি-ইন্ডিয়ান গোত্রের সন্ধানে কয়েকজন বন্ধু একজন বিশ্বস্থ গাইডকে সাথে নিয়ে অভিযানে নামেন। কিন্তু সোৎসাহে শুরু হওয়া সেই অভিযান শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য শাপে বর হয়ে উঠে। মৃত্যুর সাথে লড়াই করে দুর্গম জঙ্গলে বাঁচতে পারবে তাঁরা? দম বন্ধ করা উত্তেজনাময় একটা মুভি। সাক্ষাৎ জঙ্গুলে অ্যাডভেঞ্চার আর দুর্গমতার স্বাদ।

The Bang Bang Club (2010)

যুদ্ধের আলোকচিত্রধারক চারজন আলোকচিত্রশিল্পীকে নিয়ে তৈরি এই চলচ্চিত্র, যাদের কাজের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দিনের চিত্র ফুটে উঠেছে। তাঁদেরই সংগঠন ছিল “The Bang Bang Club”, যা ১৯৯০-১৯৯৪’র দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্রে উত্থানের স্থিরচিত্র পৃথিবীর সামনে তুলে ধরে। কিন্তু এই সফলতার পিছনে যে এক করুণ কাহন আছে, তা এই মুভিকে অনুভব্য করে তুলেছে। মুভিটা দেখার পর আমিও নিজেকে এই প্রশ্নটা করেছি: “নিগৃহীতকে বাঁচানো উচিত, নাকি তার দায়িত্ব প্রকৃতির হাতে তুলে দিয়ে তার ছবি তুলে বাস্তবতাটা দেখানো উচিত?” আমি উত্তর পাইনি।

13 Hours – the Secret Soldiers of Bengazi (2016)

২০১২ – লিবিয়ায় গাদ্দাফি উৎখাতের পর অচলাবস্থায় সব দেশের ডিপ্লোমেটিক অফিস তুলে নেয়া হয়েছে, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এম্বেসি তখনও চলমান। সেখানে CIA’র একটা গোপন অফিস তখনও সচল আর তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত একটা প্রাইভেট মিলিটারি কনট্রাক্টরের ৬/৭জন সদস্য। কিন্তু হঠাৎই সেখানে এক রাত্রে হামলে পড়ে আনসার-আল-শারিয়াহ’র একদল

Birth of the Dragon (2016)

ব্রুস লী’র জীবন আমরা অনেকেই জানি। যিনি চীনা মার্শাল আর্টকে মার্কিন মুলুকে করেছেন সমাদৃত। কিন্তু তিনি নাকি হয়ে পড়েছিলেন আত্মম্ভরিতায় পূর্ণ। তাঁর সেই আত্মম্ভরিতা ভেঙে দেন Wong Jack Man নামক আরেক চীনা কুংফু ওস্তাদ – তাঁদের দুজনের মধ্যে সংঘটিত হয় এক ডুয়েল। অনেকেই বলেন, “এই ডুয়েলই নাকি ব্রুস লী-কে ব্রুস লী বানিয়েছে”।

Concussion (2015)

পিট্‌সবার্গে ডাক্তার Bennet Omalu একজন মানুষের লাশ ময়না তদন্ত করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন যে, মার্কিন ফুটবল (রাগবি) খেলোয়াড়দের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে জীবন ঝুঁকির মুখে। কিন্তু তিনি হয়ে উঠেন ক্রিড়া সংগঠকদের শত্রু। সত্য কথা প্রকাশ করে বিপদে পড়ে যান এই ডাক্তার। সত্যোদঘাটনের সেই যুদ্ধের ঘটনাই কনকাশন।

Invictus (2009)

“নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা” – এই কথাটা মুখস্ত জানতাম। জানতাম না এই লোকটা আসলে কী জিনিস! এক জঙ্গী হিসেবে জেল খেটেছেন এই লোক, তারপর বেরিয়ে এসে… পথ দেখিয়েছেন পুরো দক্ষিণ আফ্রিকাকে – নতুন এক দক্ষিণ আফ্রিকা তৈরি করে ফেলেছেন। আর সেই দক্ষিণ আফ্রিকা বানানোতে জাতীয় রাগবি দল যে কী ভূমিকা – সেটা জানতে হলে এই মুভিটা অবশ্যই দেখতে হবে।

Pele – Birth of a Legend (2016)

ব্রাজিল দলকে ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতাম। সেকারণেই শুধু না, পেলে বা কালো মানিক যে সব দলের উর্ধ্বে উঠে এক আলোকিত ব্যক্তিত্ব, তা স্বীকার করতেই হবে। নিতান্ত গরীব পরিবার থেকে উঠে আসা এই মহান ফুটবল খেলোয়াড়ের জীবনের সাথে, ক্রীড়াকৌশলের সাথে যে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী এক বিদ্রোহ জড়িত – সেটা এই মুভি না দেখলে জানতাম না।

Our Time will Come (2017)

এই তালিকায় একমাত্র চীনা ভাষার মুভি। পুরো মুভি শ্রেফ সাবটাইটেলে ভর করে দেখেছি। অসাধারণ একটা মুভি। চীন অধ্যুষিত হংকং-এ জাপানী আগ্রাসনের সময়কার গেরিলা যুদ্ধ আর এক অবিসংবাদিত নারী যোদ্ধা ফ্যাং গু’র আত্মত্যাগের কথা উঠে এসেছে এই মুভিতে। মুভিটা দেখছিলাম আর আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সিভিলিয়ানদের জীবন আর গেরিলা যুদ্ধের চিত্র।

The Lost of City Z (2016)

ব্রিটিশ অভিযাত্রী Percival Fawcett-এর অজানার পথে এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান। আমাজনের জঙ্গলে এক হারানো শহরের খোঁজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দুর্গম অভিযানে। ফিরে কি এলেন তিনি? রোমাঞ্চকর এক জঙ্গুলে অভিযান আর পুরাতত্ত্বের মেঠো স্বাদ এই পুরো চলচ্চিত্রজুড়ে।

The Rite (2011)

একজন অবিশ্বাসী ছাত্র ইতালিতে গেলেন এক্সরসিযম (ভুত তাড়নার ধর্মীয় কৌশল) শিখতে। সেখানে ফাদার লুকাসের সাথে দেখা হয় তাঁর। আর তারপরই অসম্ভব সব উদ্ভট ভৌতিক ঘটনার সম্মুখিন হতে থাকে সে যে, নিজেই সন্দিহান হয়ে পড়ে কিভাবে অবিশ্বাস করবে সে? শ্বাসরুদ্ধকর বাস্তব ভৌতিক ঘটনা।

The Conjuring (2013)

অতিপ্রাকৃত ঘটনার গবেষক, মীডিয়াম Ed Warren আর তাঁর স্ত্রী Lorrain Warren-এর বাস্তব জীবনের বিভিন্ন অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া Conjuring সিরিয, ভৌতিক বাস্তব ঘটনার ভালো সংগ্রহ। এড আর লোরেন তাঁদের কাজের কারণে অনেকের কাছে সমালোচিতও হয়েছেন, কিন্তু এই ধারাবাহিকে তাঁদের কাজের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা ছিল।

১৯৭১-এ রো’ড আইল্যান্ডের এক খামার বাড়িতে এক পরিবার গিয়ে উঠে। কিন্তু সেখানে শুরু হয় ব্যাখ্যার অতীত সব ঘটনা। পরিবারের কর্ত্রী এড আর লোরেনের নাম শুনে তাঁদের সহায়তাপ্রার্থী হন। কিন্তু তাঁরা এসে ঘটনায় জড়িয়ে নিজের জীবনকেই উল্টো বিপন্ন করে তোলেন।

The Conjuring 2 (2016)

কনজ্যুুরিং সিরিযের দ্বিতীয় মুভি – এড আর লোরেন একজন মা-কে হেল্প করতে যান, যিনি ৪ সন্তানকে নিয়ে একটি ভৌতিক বাড়িতে থাকছেন। কিন্তু এই বাড়ির অশুভ শক্তি লোরেনের জীবন বিপন্ন করে তুললো। হানা দিলো গিয়ে তাঁর বাড়িতে। যদিও মুভির শেষাংশটা একটু বেশিই নাটকীয় করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে, এই ঘটনাকে সবচেয়ে ডকুমেন্টেড অতিপ্রাকৃত ঘটনা নাকি বলা হয়। মুভি দেখা শেষ হলে আপনি গুগল করে এই ঘটনার বাস্তব ছবি দেখতে পারবেন, আর অডিও রেকর্ডিং পর্যন্ত শুনতে পারবেন।

America Made (2017)

১৯৮০’র দশকে, মার্কিন পাইলট Barry Seal, CIA’র হয়ে মাদক আর অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দিতে শুরু করেন। তারপর জড়িয়ে পড়েন মাদক চোরাচালানির সাথে। টম ক্রুযের মতো হাই প্রোফাইল নায়ককে দেখে নিশ্চয়ই আর বুঝতে বাকি নেই, কতটা রোমাঞ্চপূর্ণ পুরো মুভিটা। বিশ্বাস করুন, আপনি পদে পদে শিউরে উঠবেন।

Dunkirk (2017)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেলজিয়াম, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য আর ফ্রান্সের সমন্বিত যোদ্ধা দলকে Dunkirk-এ চারদিক থেকে ঘিরে ধরে জার্মান সৈন্যরা। জল, স্থল আর আকাশ পথে সে ভীষণ আক্রমণ পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে পুরো দল। তাদের দুর্বিষহ ঘটনা পরিক্রমা নিয়েই এই চলচ্চিত্র। শেষে শেষ হাসি কে হেসেছে? জানতে হলে দেখতে হবে এক নিঃশ্বাসে দেখে উঠার মতো এই মুভি।

Everest (2015)

নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী Robert Edwin Hall, Scott Fischer এভারেস্ট পর্বতে এক যৌথ অভিযানে যান। এভারেস্টের দুর্গম পরিবেশে জীবন এক হাতে আর মৃত্যু আরেক হাতে নিয়ে দুর্গম সেই অভিযানের পুরো ঘটনা পরিক্রমা এই চলচ্চিত্র। পাওয়া যাবে এভারেস্ট অভিযানের অতৃপ্ত স্বাদ।

The Stray (2017)

এক কুকুরের কাহিনী – যে হঠাৎই উদয় হয় এক পরিবারের মধ্যে। বাবা তাঁর ছোট ছেলে, ছেলের বন্ধুবান্ধব, আর এই কুকুরটাকে নিয়ে গেলেন কলোরাডোতে ক্যাম্পিং ট্রিপে। সেখানে তাদের তাবুতে আঘাত করলো বজ্রপাত। তারপর… এই ঘটনা একজন মানুষের লেখক হয়ে উঠারও গল্প। বিচিত্র এক অতিলৌকিক ঘটনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

Act of Valor (2012)

ফিলিপাইনে CIA’র এক নারী অ্যাজেন্টকে কিডন্যাপ করে দুবৃত্তরা। নেভি সীলদের একটা চৌকশ দল যায় তাঁকে উদ্ধার করতে। পরতে পরতে উত্তেজনাময় সেই অভিযান। পরের অভিযানটা ছিল এক জঙ্গীর আস্তানায় দুর্ধর্ষ জীবন-মৃত্যুর এক অভিযান।

127 Hours (2010)

একজন ট্রেকার, ক্যানিয়নিয়ার, পর্বতারোহী Aron Ralston একাই বেরিয়ে পড়েন উটাহ অঙ্গরাজ্যের ক্যানিয়নে ঘুরতে। কোলাহল থেকে হারিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলে কাউকে বলে যাননি কোথায় যাচ্ছেন। সেখানে একটা বোল্ডারের নিচে আটকা পড়ে যায় তাঁর একটা হাত। এখন? এই ঘটনা দেখলে দুটো শিক্ষা অবশ্যই হবে: কোথায় যাচ্ছি, কাউকে বলে যাওয়া; আর গিয়ার যা-ই কিনি, সেখানে ভালো জিনিস কিনতে কার্পণ্য না করা।

Dark Waters (2019)

“টেফলন” নামটা শুনেছেন? আমি শুনেছিলাম।
খুব শক্তিমত্তা আর উৎকর্ষের এক প্রতীক! 

কিন্তু…
জানতাম না, তা আমার শরীরের ভিতরেও চলে গেছে।
জানতাম না, তা আমার কিংবা আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শরীরে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ তৈরি করার জন্য ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে।
জানতাম না, এই খবর বিজ্ঞান-স্বীকৃত।
জানতাম না, বিজ্ঞানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এখনও ধ্বংস-অযোগ্য বিধ্বংসী এই উপাদান চালু রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা মরিয়া।
জানতাম না, একজন বৃদ্ধ তাঁর জীবন দিয়ে আর একজন আইনবিদ আর তাঁর ফার্ম তাঁদের নিষ্ঠা দিয়ে এই সত্য সামনে এনেছেন।
জানতাম না, আমরা টাকা দিয়েই এই মৃত্যু কিনে নিয়ে আসছি… হয়তো এখনও…

আরো কিছু…

আগেই বলেছি বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে মুভি হলে আমার আগ্রহ বেশি থাকে। তবু সব মুভি যে খুব ভালো হয়, তা না। আরো কিছু মুভির নাম বলতে পারি, যেগুলো খুব যে আহামরি তা বলবো না, তবে বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে কিংবা নিরিখে যেহেতু, ইতিহাস জানার জন্য হলেও দেখা তো যায়ই। এরকম কয়েকটার নাম দিচ্ছি:

  • First Man (2018) – নীল আর্মস্ট্রং-এর চাঁদে অভিযান (ভালো মুভি)
  • The Bounty (1984) – বাউন্টি নামক এক জাহাজের বিদ্রোহের ঘটনা – সতর্কতা: এই মুভিতে নগ্নতা আছে, দর্শকের সতর্কতা প্রত্যাশা করছি (এর বইটা বেশি আকর্ষণীয়: বইগুলো নিয়ে রিভিউ অবশ্যই দিবো ইনশাল্লাহ কোনো একদিন)
  • October Sky (1999) – একজন রকেট বিজ্ঞানীর আত্মনিয়োগ আর গবেষণা
  • Pearl Harbor (2001) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনা। মুভি ভালো কিন্তু মূল ঘটনার চেয়ে প্রেম আর নগ্নতার আধিক্যের কারণে মুভিটা আমার কাছে তেমন আকর্ষণীয় লাগে না
  • Apollo 13 (1995) – অ্যাপোলো ১৩ মিশনের আদ্যোপান্ত, লুনার মড্যুল, রকেট উড্ডয়ন, স্প্ল্যাশডাউন – এই বিষয়গুলো প্রথম বুঝতে পারি এই মুভিটা দেখে
  • Saving Mr. Banks (2013) – মূল চরিত্র: P. L. Travers নামক শিশুতোষ গল্পলেখিকা যিনি Marry Poppins নামক অভূতপূর্ব কল্পনাশ্রয়ী এক রূপক গল্পের জননী

কৃতজ্ঞতা

এই মুভিগুলো দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি অনেকের কাছে কৃতজ্ঞ। অনেক মুভিই মনে করতে পারছি না, কে দিয়েছিলেন, তবে আমার সহকর্মী লিস্টার সরকার, ইসমাঈল জাভেদ, শিপন হোসেন; বন্ধু নাকিব আহমেদ প্রমুখের নামোচ্চারণ না করলেই নয়। ইসমাঈল ভাইতো অনেকটা আমারই মতো একই জনরা’র চলচ্চিত্র দেখতে ভালোবাসেন বোধহয়। দুজনেই এই জায়গায় খাপে খাপে মিলে গেছে বলতে পারেন।

এই শেষ! আর কোথায়?

অনেক ভালো ভালো মুভি হয়তো বাদ পড়ে গেছে। তার কারণ হয় মনে করতে পারছি না, নয়তো দেখিইনি। যেগুলো বাদ পড়েছে, আপনারা পরামর্শ দিতে পারেন কোন কোনটা দেখা যায়…। তবে অসাধারণ কোনো চলচ্চিত্র যদি বাদ পড়েই যায়, অবশ্যই এই ধরণের আরো একটা পোস্ট ভবিষ্যতে পাওয়া বাকি রইলো, ইনশাল্লাহ।

ঈশ্বর আমাদেরকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দিন, আর তাঁর সব সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে নিরাপদ রাখুন।

– মঈনুল ইসলাম

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল প্রকাশ করা হবে না

আপনি এই HTML ট্যাগ এবং মার্কআপগুলো ব্যবহার করতে পারেন: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

*