বাংলাদেশ রেলওয়ে: ভ্রমণে স্বাগতম
বাংলাদেশ রেলওয়ে, ব্রিটিশ আমল থেকে আমাদেরকে রেল সুবিধা দিয়ে আসছে। ট্রেন নিয়ে সব অভিজ্ঞতা আর রেলওয়ে বিষয়ক বিস্তারিত রয়েছে এই ধারাবাহিকে…
বাংলাদেশ রেলওয়ে, ব্রিটিশ আমল থেকে আমাদেরকে রেল সুবিধা দিয়ে আসছে। ট্রেন নিয়ে সব অভিজ্ঞতা আর রেলওয়ে বিষয়ক বিস্তারিত রয়েছে এই ধারাবাহিকে…
যে দুজন আমাদের গাড়িতে লিফ্ট চাচ্ছিল, তাদের একজন বয়স্ক মানুষ, সাথে একটা ছোট্ট ছেলে। তাদেরকে নেয়ার প্রশ্নই উঠে না, কারণ এরা স্থানীয়। কিন্তু কেন জানি আমার মনে হলো এরা আসলেই বিপদগ্রস্থ। কারণ, আমাদের গাড়ি যখন নীলাচলে, ঢাল বেয়ে উঠছিল, তখনও এরা আমাদের গাড়ি থামাতে চাচ্ছিল, লোকটার গলায় একটা ঢোল ছিল, আর ছেলেটা নিয়ন্ত্রণ করছিল লোকটিকে।…
ভারতের দিল্লী থেকে বন্ধুবর অমিত রায় বাংলাদেশের গ্রাম সম্পর্কে জানতে চাইলে যদি সেখানে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকে, তাহলে বাংলাদেশী হওয়াসত্ত্বেয় আমার এবিষয়ে না লেখায় আশ্চর্যের সীমা থাকে না। তাই দেরিতে হলেও বাংলাদেশের তথাকথিত ৬৫,০০০ গ্রামের-খুব-অল্পটাই-দেখা-এই-আমি এই লেখায় ব্রতী হলাম। এজন্য যাবতীয় কৃতিত্ব অবশ্যই অমিত রায়ের। কিন্তু আমি আসলে হাবুডুবু খাচ্ছি, কী রেখে কী লিখব। তবু…
গাড়ি নীলগিরির চূড়ায় উঠলে একটা পার্কিং এলাকা। এখানে পার্কিংয়ের জন্য যে টাকা দিতে হবে (৳৩০০), তা আমাদেরকে বহন করতে হবে, ড্রাইভারের সাথে এমনটাই চুক্তি হয়েছিল। যাবতীয় খরচ একহাতে হচ্ছে, তাই ইফতি এগিয়ে গেলো আর্মির ছোট্ট কমান্ড পোস্টটার দিকে। সেখান থেকে আবার জনপ্রতি টিকিট (৳৫০) কেটে উপরের চূড়ায় উঠতে হয়। যারা কটেজ ভাড়া করে আসেননি, তাদেরকে…
রাতেই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, এদেরকে নিয়ে বগা লেকে যাওয়া যাবে না। বন্ধু সাকিবকে ফোনে জানালাম সিদ্ধান্তের কথা, সেও সায় দিল। এরকম পিছুটান নিয়ে কোনোভাবেই দুর্গম ভ্রমণে যাওয়া ঠিক হবে না, কারণ বগা লেক ভ্রমণে অনে-ক কষ্ট করতে হবে, চার-পাঁচটা পাহাড় ডিঙানো লাগবে, কম কথা না। যেহেতু একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, তাই বাকিগুলো এখন খুব…
কতজন যে যাবে তার ইয়ত্তা নেই। যাকেই বলি, সে-ই যেন যাবে। শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছিলো পুরো একটা গ্রামই কি যাচ্ছি নাকি? কিন্তু সব ট্যুরেই যা হয় আরকি, শেষ খেলায় থাকে হাতে গোণা ক’জন। প্ল্যানটা হলো বান্দবানের নীলগিরি আর বগা লেক (বগাকাইন হ্রদ) ভ্রমণ। বন্ধু সাকিব আর সাজ্জাদের কাছে বগা লেক-কীর্তণ শুনতে শুনতে যাওয়ার লোভ সামলাতে…
ভ্রমণ: বান্দরবান ও কক্সবাজার :: উদারতার মহাতটে ত্রয়ীর পদচিহ্ন :: আমার ঘরকুনো স্বভাবটাকে বেদুঈন স্বভাবে পাল্টে নিতেই কিছুটা জিদের বশবর্তী হয়ে উদ্যত হয়েছিলাম রাঙামাটি আর বান্দরবান ঘুরে দেখবো বলে। বন্ধুদের একেকজনের নানা কাজ, কেউই গেলো না। একমাত্র নাকিব রাজি: সে যে যাবে সেকথা বলাই বাহুল্য। আমার এই বন্ধুটি আনন্দে থাকাটাই জীবনের ব্রত করে নিয়েছে। ওদিকে…
~ রহস্য…সমাধান…কিন্তু… ~ কার্ত্তিকপুর যাবার সময় মাথার উপর দিয়ে অজানা বিচিত্র পাখির উড়ে যাওয়া, কার্ত্তিকপুরে পোল্টারগাইস্ট আক্রান্ত বাড়িতে রাত্রিযাপন, আসার সময় এক পথচারির সাথে মোটর সাইকেল এক্সিডেন্ট, অথচ উঠে দাঁড়িয়ে কাউকে না পাওয়ার ঘটনা একত্রিত করলে অনেকগুলো রহস্য। আর, যারা আমাকে জানেন, তারা হয়তো আরেকটু পিছন ঘাঁটতে গিয়ে রহস্যটাকে আরো ঘোলাটে করে ফেলবেন: কেননা বিগত…
~ মাদারিপুর, থোবাল ফেরি, অন্ধকার রাত, রক্তপাত ~ ফেরি মিস। ফেরি মিস করার দুঃসহ যন্ত্রণা আর ভালো লাগে না। অপেক্ষার প্রহর, আর যাই হোক, সুখের না। তার উপর আমরা ক্লান্ত। শিবচরে বসে কলা-রুটি দিয়ে হালকা নাস্তা সারলাম। টিউবওয়েলের ঠান্ডা পানি দিয়ে যখন উদরপূর্তি করলাম, তখন আবার যেন জানে পানি ফিরে পেলাম। এবং তার সাথে সাথে…
~ হাওয়া খাওয়া, ফাটানি খেলা, ফিরতি পথ ~ পোল্টারগাইস্ট আক্রান্ত বাড়িতে রাত্রিযাপন শেষে নদীতে দাপাদাপি আর এলাকায় ক্রিকেট খেলে, পরদিন, মার্চের ২৩ তারিখ ভোরবেলা উঠেই শাকিল ভাই আর আমি চললাম খেজুরের রস খেতে। নাকিব আর রবিনকে তুললাম না ঘুম থেকে, তাই ওদের জন্য নিয়ে আসবো বলে ফুফুর থেকে একটা বোতল চেয়ে নিলাম। দুজনে মোটর সাইকেল…
~ হাওয়া ভক্ষণ, নদী-হন্টন, কান ঝালাফালা ~ ঢাকা থেকে সারা বিকাল আর রাত ধরে মোটরসাইকেলে করে আমরা চারজন পৌঁছেছি রবিনের বাড়িতে, শরিয়তপুরের কার্ত্তিকপুরে। ফুফা-ফুফুর সাথে প্রাথমিক সাক্ষাৎপর্ব শেষ করে আমরা এসে খাবার টেবিল ঘিরে বসেছি। ফুফু আমাদের শরবত দিতে দিতেই বলতে শুরু করলেন আরেক কাহিনী: এই বাড়িতে ভূতের উপদ্রবের বিস্তারিত। ২০০৭ সালের ৬ জুলাই আমরা সাতজন…
~ দাড়িতে হাওয়া লাগানো অভিযাত্রা ~ বন্ধু নাকিবের ফুফাতো ভাই রবিন একটা মোটরসাইকেল কিনেছে ভাইয়ের টাকায়, সেটা তার বাবা-মাকে দেখাতে নিয়ে যাবে শরিয়তপুরের কার্ত্তিকপুরে, তাই নাকিবকে ধরেছে তাকে নিয়ে যেতে হবে। নাকিব কি আর আনন্দ করার সুযোগ ছাড়ে? সাথে সাথে খবর দিলো মামাতো ভাই শাকিল ভাইকে আর আমাকে। ফ্রি ছিলাম, তাই চল মামু ঘুইরা আসি…।…