মন্দের ভালোয় নরম গরম সিলেট ভ্রমণ ২০০৭ ৩/৩

মন্দের ভালোয় নরম গরম সিলেট ভ্রমণ ২০০৭: প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব সিলেট শহর-পথে শুরু হলো নতুন অন্তর্দ্বন্ধ। এখন গাড়িতে দুই পক্ষ অবস্থান করছে, দুই পক্ষই অপরাপর পক্ষকে ভাবছে বিপদজনক। তাই শুরু হলো নতুন নাটক। আমি ভাবছি, সিলেট শহরে যেহেতু পণ্ডিত বাদলের ব্যবসাক্ষেত্র, তাই পরিচিত লোক দিয়ে আমাদের জন্য পিটুনি-ফাঁদ তৈরি করে রাখতে পারে। তাই…

বিস্তারিত

মন্দের ভালোয় নরম গরম সিলেট ভ্রমণ ২০০৭ ২/৩

« আগের পর্ব ঘোড়াশালেই আমাদের গাড়িটা গিয়ে উঠে পড়লো একটা আইসক্রিমের ত্রিচক্রযানের উপর। কোনো রকমে নিজেদেরকে নিয়ে যখন গাড়ি পালাতে উদ্যত, তখন সামনে পথ আটকালো ট্রাফিক সার্জেন্ট। গাড়ি থামতেই দুই বন্ধু নেমে গেলো ব্যাপারটার দফারফা করার জন্য। শুরুতেই সার্জেন্টকে উৎকোচ সাধলো দুজনে। এরই ফাঁকে আইসক্রিমওয়ালাকে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে বিদায় করে দিলো পণ্ডিত বাদল, যাতে ব্যাপারটা…

বিস্তারিত

মন্দের ভালোয় নরম গরম সিলেট ভ্রমণ ২০০৭ ১/৩

…চাকাটা সম্পূর্ণ ভচকে দিয়েছে গাড়িটা। …আইসক্রিমওয়ালাকে ওভাবে রেখেই দ্রুত গাড়ি নিয়ে কেটে পড়তে চাচ্ছিলো বাদল, কিন্তু সামনের রাউন্ড এ্যাবাউটেই দাঁড়ানো সার্জেন্ট ঘটনাটা দেখে ফেলায় হাত নাড়লো গাড়ি থামানোর জন্য। যাও, ঠ্যালা সামলাও!! ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭; রবিবার হঠাৎই আমার এক দূ-র সম্পর্কের চাচা বাসায় এসে হাজির। তাঁকে নিয়ে যেতে হবে তাঁর বাড়িতে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা…

বিস্তারিত

জ্বীন-ভূতের প্রথম অভিযান

জ্বিন-ভূত! সত্যি? ঘটনা # ১ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নিজের গ্রামে গিয়েছি ঈদের ছুটিতে, ঈদ পালন করতে। ক্বোরবানির আগে বসেছে গরুর হাট। গরুর হাট পেরিয়ে আমরা আরো সামনে চলে গেলাম, কারণ আমাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। ‘আমরা’ মানে, আমি; [চাচাতো ভাই] আউয়াল, আকবর, আমযাদ; [ফুফাতো ভাই] শাকির, নাসিম- এদের মধ্যে আমিই বয়সে সবার বড়; সবারই ‘বড় ভাই’, তাই অঘোষিত…

বিস্তারিত

বোবায় ধরা

জীবনে প্রথম ‘বোবায় ধরা’ নামক একটা অদ্ভূত অভিজ্ঞতার কথা শুনলাম আমার এক মামাতো বোনের কাছে, সেটা সম্ভবত ১৯৯৭ কি ১৯৯৮ সালের কথা। তিনি যে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন, সেটা শুনতে আমার কাছে অনেকটা গ্রামের মানুষের ভূতে চেপে ধরার অভিজ্ঞতার মতো মনে হচ্ছিলো। তাঁকে নাকি একজন সাদা চাদর পরা বিশাল মানুষ এসে চেপে ধরেছিল, তিনি তাঁর পাশে…

বিস্তারিত

অবক্ষয়ের সোপানে অজ্ঞ পদক্ষেপ: নারকীয় যুব সমাজ

ঘটনা ১: সেপ্টেম্বর ২০১০ | একটি প্রাইভেট ব্যাংক, মতিঝিল, ঢাকা: দুই সহকর্মী বসে কথা বলছেন। প্রথমজন দ্বিতীয় জনের মোবাইল ফোনটা টেনে নিলেন। জিনিসটা না দেখলেই নয়। দ্বিতীয় জন ইতোমধ্যেই জিনিসটা দেখতে দেখতে পঁচিয়ে ফেলেছেন। তার পাশে বসেই সহকর্মী, নিবিষ্ট মনে তাকিয়ে আছেন মোবাইল ফোনের পর্দায়। পরদিন অফিসে একটা কানাঘুষা চলছে কয়েকজন সহকর্মীর মধ্যে। তাদের একজোট…

বিস্তারিত

কেন শুধু ‘ভালো’র কথাই বলতে হয়

একটা ছোট্ট মেয়ের কাহিনী বলি, তার নাম সুযান পোলগার (Susan Polgar), থাকে আমেরিকায়, বংশে হাঙ্গেরীয়-আমেরিকান। এই ছোট্ট মেয়েটা দাবা খেলা জিনিসটাকে দুইচোখে দেখতে পারে না। কিন্তু তার মনোবিজ্ঞানী বাবা ছিলেন নাছোড়বান্দা। তিনি মেয়েকে নিয়ে বসে জোর করে দাবা খেলাতেন। এভাবে খেলতে খেলতে একদিন তিনি সুযানকে নিয়ে গেলেন স্থানীয় একটি চেয ক্লাবে, মানে দাবার সংগঠনে। দাবা…

বিস্তারিত